by : Ami Tanni
গলা ব্যাথা বা কাশির সমস্যায় আমরা প্রায়ই কম বেশি কষ্ট পাই। এর জন্য ডাক্তারের চেম্বারে বা ওষুধের দোকান ছুটতে হয়। সামান্য গলা ব্যাথা বা কাশিতে ওষুধপত্র না খাওয়াই ভালো। তাহলে কি করবেন?
গলা ব্যাথা বা কাশির সমস্যায় আমরা প্রায়ই কম বেশি কষ্ট পাই। এর জন্য ডাক্তারের চেম্বারে বা ওষুধের দোকান ছুটতে হয়। সামান্য গলা ব্যাথা বা কাশিতে ওষুধপত্র না খাওয়াই ভালো। তাহলে কি করবেন?
আমাদের প্রকৃতিতে এতো উপকারি উপাদানের সম্ভার আছে যে, সেগুলিকে সঠিক ভাবে যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় কিছু উপকারি ওষুধ। যেমন আজ আমি আপনাদের কি ভাবে বাড়িতে গলা ব্যাথা বা কাশি সিরাপ বানানো যায় সেই পদ্ধতি দেখাবও। এই সিরাপ যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টির সমৃদ্ধ। গরম চা বা জলের সঙ্গে এই প্রাকৃতিক সিরাপটি আপনি গ্রহণ করতে পারেন।
মধু, লেবু, এবং চায়ের সমম্বয় কাশি বা গলা জন্য খুবই উপকারি। এর পিছনে কিছু বিজ্ঞান সম্মত কারনও আছে। গলা ব্যাথা বা কাশিতে এই উপদানগুলির ব্যবহার আজ থেকে নয় বহু প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। বিভিন্ন স্টাডিজ থেকে জানা যায় যে মধু কাশি নিবারণের ক্ষেত্রে এক মহা ওষুধ হিসাবে কাজ করে। মধু মধ্যে Antimicrobial এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে যা ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে সাহায্য করে।
মধুর সঙ্গে লেবু ও অন্যান্য সাইট্রাস এবং প্রাকৃতিক মশলা একত্রিত করে আপনি ঠান্ডা এবং ফ্লু উপসর্গ দেখা দিলে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। মধু এবং লেবু এক সঙ্গে মিশিয়ে গরম জল বা গরম চায়ের সঙ্গে শীতকালে গ্রহণ করলে গলা ব্যাথা বা খুসখুসে কাশির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
যে সিরাপের কথা আজ বলছি তার জন্য যে যে সামগ্রী প্রয়োজন তা হল
১. মধু – সাধারণত আমরা যে মধু ব্যবহার করে থাকি তা চলবে। তবে মধুর বিশদ্ধতা অবশ্যই জেনে নেবেন। (আরও পড়ুন : মধু খাঁটি না নকল কি ভাবে বুঝবেন )
২. সাইট্রাস হিসেবে – লেবু, কমলা, লাইম, এবং Clementine
৩. হার্বস – তাজা পুদিনা পাতা ও রোজমেরি
৪. মশলা - আদা, গোটা লবঙ্গ, দারুচিনির গুঁড়ো এবং এলাচির গুঁড়ো
সিরাপ তৈরি করতে কি পদ্ধতি অনুসরণ করবেন
সাইট্রাস জাতীয় উপদানগুলি নিম্নের দেওয়া ছবি অনুযায়ী কেটে নিন।
আদা নিচের দেওয়া ছবি অনুসারে থেঁতো করে নিন।
সিরাপ তৈরি করতে উপরের উপকরণগুলি মিশ্রিত করা পদ্ধতি আমি নীচের ছবির মধ্যে দিয়ে বর্ননা করছি। প্রথম প্রয়োজন একটি পরিষ্কার জার। জার আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী নিন। জারটি লেবুর স্লাইস আদা মধু দিয়ে অর্ধেক পূরণ করুন। এবার এই মিশ্রণটি একটু নাড়িয়ে নিন। অবশিষ্ট লেবু, আদা, এবং মধু সঙ্গে একই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি করুন। মিশ্রণটি নাড়িয়ে বয়ামটির মুখ বন্ধ করে দিন। ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনার সিরাপ তৈরি হয়ে যাবে। আপনি এই সিরাপটি পরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। অনেক দিন ভালো থাকবে।
এই একই পদ্ধতিতে আপনি অন্যান্য উপাদানগুলি মিশিয়ে বাকি কম্বিনেশনের সিরাপগুলি তৈরি করে নিতে পারেন।
কিভাবে এই সিরাপ ব্যবহার করবেন
>কাশি বা গলা ব্যাথা সময় এই মধু সিরাপ একটি চামচে নিয়ে ধীরে ধীরে সেবন করেন।
>এক কাপ গরম জলের মধ্যে দুই চামচ সিরাপ মিশিয়ে পান করুন।
>গরম এক কাপ চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও এই সিরাপ পান করা যেতে পারে।
take care
source : MayoClinic, ,
ABC News,
Livestrong,
Worlds Healthiest Foods,
theyummylife.com
by : Ami Tanni
নিয়মিত ত্বকের যত্নের একটা অংশ হলো ঘষা-মাজা, অর্থাৎ স্ক্রাবিং। ত্বক পরিষ্কারের অন্যতম পদ্ধতি হলো স্ক্রাবিং করা। এর মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যায়। উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় ত্বকের। তবে ত্বকের ধরন বুঝে স্ক্রাবিং করতে হবে। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সপ্তাহে অন্তত এক দিন মুখসহ সারা শরীর স্ক্রাবিং করা উচিত। এতে একদিকে ত্বক পরিষ্কার হয়, অন্যদিকে শরীর-মন ঝরঝরে থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ভালো কোনো পার্লারে গিয়েও স্ক্রাবিং করাতে পারেন। তখন ১৫ দিনে একবার করা যেতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের প্রবণতা থাকে, তাই ব্রণ থাকলে স্ক্রাবিং করা যাবে না। এতে ব্রণের প্রকটতা বেড়ে যাবে। নাক-কপালে ব্রণ না থাকলে শুধু সেই অংশটুকু স্ক্রাবিং করলেই হবে। তাতেও কাজ হবে।
বাজারে ত্বকের ধরন অনুযায়ী নানা ধরনের স্ক্রাব পাওয়া যায়। কোনোটা শুধু মুখের জন্য, কোনোটা হাত-পা আবার কিছু আছে পুরো শরীর স্ক্রাবিংয়ের জন্য। তবে ভালো মানের স্ক্রাব ব্যবহার করাটাই শ্রেয়। তবে ব্যবহারের পর ত্বকে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে ব্যবহার না করাই ভালো। এক্ষেত্রে কোন এক্সপার্টের এর পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
হাতের কাছে যেসব উপাদান পাওয়া যায় সেসব দিয়েও স্ক্রাবিং করা যেতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন আলস্য দূর করে একটুখানি ইচ্ছা-আগ্রহ। ঘরে বসেই স্ক্রাব করার বিভিন্ন প্যাক বানিয়ে নিতে পারি। আজ আমি ত্বকের ধরন অনুসারে বিভিন্ন স্ক্রাবিংয়ের প্যাক কিভাবে বানাতে হয় তা বলবো।
স্বাভাবিক ত্বকের জন্য
কাঁচা হলুদের পেস্টের সঙ্গে চালের গুঁড়া, দুধ, মধু ও জলপাই তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এটি সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া বেসনের সঙ্গে গ্লিসারিন, গোলাপজল, জলপাই তেল মিশিয়েও প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ডিমের কুসুম (হলুদ অংশ), ১ টেবিল চামচ বেসন ও দুধের প্যাক বেশ কার্যকর।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
বেসন, শসার রস ও গাজরের রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে নাকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রবণতা দেখা যায়। এসব দূর করতে ডিমের সাদা অংশ নাকে ম্যাসাজ করে এর ওপর টিস্যু চেপে ২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর এক টানে তুলে ফেলতে হবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
সয়াবিন পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ, গাজরের রস ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি শুষ্ক ত্বকের মৃত কোষ যেমন পরিষ্কার করে, তেমনি উজ্জ্বলতাও বাড়ায়।
মিশ্র ত্বকের জন্য
মিশ্র ত্বকে শুধু টি-জোন অর্থাৎ নাক-কপালই তৈলাক্ত হয়। ডিমের সাদা অংশ, মধু, দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস, দুধের সর এবং ওটমিল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে।
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য
সয়াবিন গুঁড়া, দুধ ও মধু এই ধরনের ত্বকের জন্য ভালো।
এসব প্যাক পুরো শরীরেও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক পরিষ্কারের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এবার আপনার পালা। আপনি আপনার ত্বকের ধরন অনুশারে স্ক্রাবার বেছে নিন।
take care
Posted on : [0] comments Label: Beauty & Care, Feature
২৫ টি জাদুকারি ব্যবহারে লেবুর রস
রূপচর্চার একটি শ্রেষ্ঠতম হল লেবু উপাদান। সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর ব্যবহার আজ থেকে হয়নি। প্রাচীন মিশর এবং গ্রীস্মের রাজকুমারীরাও লেবুর সমাদর করতেন। লেবুকে তারা তাদের রূপচর্চার একটি বিশেষ উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করতেন। এজন্য চীন দেশে লেবুকে বলা হতো ‘লিমুং’। অর্থাৎ মেয়েদের জন্য উপকারী। চীনের উপকথায় আছে- কোন এক রূপসী সম্রাজ্ঞী লেবু থেকে তার রূপচর্চার উপকরণ তৈরি করতেন এবং তার সৌন্দর্যের তথ্যটি গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে গেল। আর তখন থেকে মেয়েরা রূপচর্চায় লেবু ব্যবহার করে আসছেন।
আজকের আধুনিক নারীদের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবুর কার্যকারিতা অনেকখানি। প্রসাধন সামগ্রী হিসেবে আপনি যে মেকআপ ব্যবহার করছেন তাতে আপনার মুখে যে পরিচ্ছন্নতা বা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, তা সাময়িক। কিন্তু প্রাকৃতিক সামগ্রীর ব্যবহারে সৌন্দর্য হয় স্থায়ী। আর এই স্থায়ী সৌন্দর্য লাভের একটি চাবিকাঠি হল লেবু। রূপ চর্চায় লেবুর অনেক রকমের ব্যবহার আছে। আজ আমি বাছাই করা ২৫ টি জাদুকারি লেবুর ব্যবহার আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। রোজকার জীবনে লেবুর এই ব্যবহার সত্যিই মন্ত্রে মতো কাজ করে।
১. তৈলাক্ত ত্বকের প্যাক
লেবুর রসের সাথে এক চামচ গমের গুঁড়ো ও দই ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মুখে লাগান। ৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি প্যাক দারুন উপকারি।
২. আদর্শ স্ক্রাবার
লেবুর রসের সাথে চিনি মিশিয়ে পুরো মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য এই স্ক্রাবার আদর্শ।
৩. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি
লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেইসঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তাই শুধু জলের সঙ্গেও লেবুর মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
৪.নখের সৌন্দর্য বর্ধক
লেবুর রস অলিভ তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে ১০ মিনিট নখ ভিজিয়ে রাখুন। ক্ষয়প্রাপ্ত নখ সুন্দর ও সুস্থ হয়ে উঠতে এটি দারুন উপকারি।
৫. ক্লিনজারে লেবুর রস
এক চামচ লেবুর রসের সাথে দু’চামচ দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে প্রলেপ লাগাবেন। পনেরো-বিশ মিনিট এই প্রলেপ রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৬. মেকআপের আগে ব্যবহার করুন
আধা চা-চামচ লেবুর রস, এক চা-চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। পনেরো মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে আদ্রতা আনবে। মেকআপ করার আগে এই প্যাকটি লাগাল মুখ উজ্জ্বল তো হবেই পাশাপাশি মেকআপ সহজে নষ্ট হবে না।
৭.বলিরেখার দাগ হালকা করে
লেবুর রস এবং টমেটোর রস একত্রে মিশিয়ে বলিরেখার উপর লাগিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। এটি নিয়মিত করুন বলিরেখা থাকবে না।
৮. চুলের তেল চিটচিটে ভাব দূর করতে
চুলে তেল দিতে হয়। কিন্তু শ্যাম্পু করার পরও তাতে তেল চিটচিটে ভাব থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে লেবুর রস বিস্ময়কার কাজ দেয়। লেবুর রসে অ্যাসট্রিনজেন্ট রয়েছে যা তেলতেলে অংশ শুষে নেয়। চুল হয় ঝরঝরে।
৯.দাঁত পরিষ্কার করে
দাঁতের যত্নে ভালো পেস্টের চেয়েও দারুন কাজ করে লেবুর রস। অল্প পরিমাণ বেকিং সোডার সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো বানিয়ে দাঁত ঘষুন। তার পর দেখুন কী ফল দাঁড়ায়।
১০. দুর্গন্ধ দূর করে
ডিওডরেন্ট ব্যবহার না করলেও চলবে। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড থাকে যা বাজে গন্ধ হটিয়ে দেয়। তাই দুর্গন্ধের স্থানে লেবুর রস মেখে নিন। দুর্গন্ধ চলে যাবে।
১১. চুল স্ট্রেট করতে
পাকা কলা, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ৩০-৪০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। চুল ধোঁয়ার পর তফাতটা ঠিক বুঝতে পারবেন।
১২. পোড়া স্থানে লাগান
লেবুর রসের সঙ্গে দুধ ও চন্দনের গুঁড়া দিয়ে পেস্ট করে পোড়া জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এতে ক্ষতের স্থান তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।এই পেস্টটি দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
১৩. অ্যান্ট্রিনজেন্ট লোশন
লেবুর রস ও শসার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। ব্যস, হয়ে গেল অ্যান্ট্রিনজেন্ট লোশন তৈরি। এটি ত্বকে লাগেয়ে দেখুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ত্বকের তেলতেলে ভাব কমে যাবে।
১৪. কোমল ত্বক
কোমল ত্বক পেতে লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমানে গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজনমত মুখে লাগাতে পারেন। গরমে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটা ভালো কাজ দেবে। ব্যবহার করবেন ময়েসচারাইজার ক্রিমের মতই।
১৫. হেয়ার লাইটেনার
লেবুর রস চুলের দারুণ লাইটেনার হিসেবে করে। অন্য কোনো কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। হালকা ভেজা চুলে লেবুর রস চুলে লাগিয়ে নিন।
১৬. হেয়ার কন্ডিশনার
শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে লাগিয়ে নিন লেবু রস ও চা পাতার লিকারের মিশ্রন। এটি চুলের কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে।
১৭. ঠোঁটের যত্নে
শীতের শুষ্ক ঠোঁটে যেমন চামড়া ওঠে, আপনার ঠোঁট তেমন হয়ে থাকলে লেবুই ভরসা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মধু ও লেবুর রস ঠোঁটে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। এতে আপনার অধর হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ।
১৮.রোদে পোড়া দাগ
তিলের তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন । এটি নিয়মিত করুন রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যাবে।অথবা মধু ও দুই ফোঁটা লেবুর রস, মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ত্বক উজ্জ্বলতা আসবে ও দাগ দূর হবে। আলু রস ও লেবুর রসও এক্ষেত্রে উপকারি।
১৯. খসখসে ত্বককে মসৃণ করে
যাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব রয়েছে তারা ডাবের জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। দেখবেন, ত্বক সুন্দর কোমল হয়েছে। আবার লেবুর রসে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
২০. ব্ল্যাক হেড ট্রিটমেন্ট
নাকের ওপর বা ত্বকে ব্ল্যাক হেড সৌন্দর্যহানি ঘটায়। লেবুর রস ব্ল্যাক হেডের গোড়া নরম করে এবং তা দূর করতে সাহায্য করে। তুলোর বল এর সাহায্যে ব্ল্যাক হেডসের উপর শুধু লেবুর রসে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর একটা শুকনো সূতির কাপড় দিয়ে সেই স্থানটি ঘষুন। দেখবেন ব্ল্যাক হেডস আর নেই।
২১. কনুই এবং হাঁটুকে মসৃণ করে
মানুষের কনুই এবং হাঁটুর অংশটি খসকসে হয়। এই অংশ দুটিকে মসৃণ এবং সুন্দর করে দেয় লেবুর রস। এক টেবিল চামচ লবণ, সামান্য অলিভ ওয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। দেখুন জাদুর মতো কাজ করবে।
২২. মেদ ঝরানো
শরীরের মেদ কমানোর জন্য রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খান।
২৩. ব্রণের দাগ সারাতে
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ চামচ দুধের সরের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ধীরে ধীরে তা ত্বকে মালিশ করে নিন। সকালে উঠেই তা ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উপর যে ব্রণের দাগগুলো রয়েছে তা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।
২৪. টোনার বানান
লেবুর রস গোলাপ জল ও শসার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে টোনার বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন।
২৫. খুশকি দূর করে
২৫. খুশকি দূর করে
রাতে শোওয়ার আগে নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর ও আমলকীর রস মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। সকালে শ্যাম্পু করুন। এতে খুশকি দূর হবে।
Follow Tanni's board Beauty and Lifestyle of Tanni on Pinterest.