Latest in Tanni


More

More

by : Ami Tanni

অধিকাংশ ফ্যাশন ব্রান্ডের পত্রিকায় আমরা প্রায়ই দেখে থাকি যে মডেলদের দিয়ে কোন লিপস্টিক এর প্রচারের সময় খুব চামড়া রং ব্যবহার করা হয়। আর আমরা সেই সুন্দর সুন্দর রং দেখে, তাদের অন্ধভাবে তাদের অনুসরণ করি। আসলে এই সব ম্যাগাজিনগুলিতে শুধু মাত্র একই ধরনের গায়ের রঙের মানুষের কথা ভেবে প্রচার চালায়। আর আমরা সেই সব লিপস্টিকের রং দেখেই অভিভূত হয়ে যাই। একবারও কি ভাবি যে রংটা পছন্দ হল সেই রং টা কি আমার শরীরের রঙের সঙ্গে সত্যি কি যাচ্ছে! আজকাল বিভিন্ন ধরনের প্রচারগুলিই যেন আমাদের লিপস্টিক কিনতে গাইড করছে। সে রং আমাদের মানাক বা নাই মানাক।

মেকআপ এর একটা গুরুত্বপূর্ন অংশ হচ্ছে লিপস্টিক। তাই এর নির্বাচন অবশ্যই সঠিক ভাবে হওয়া উচিৎ। প্রথমত, কোন লিপশেডটি বাছবেন সেটি নির্ভর করে আপনার ঠোঁটটি কী ধরনের তার ওপরে। অর্থাৎ, মোটা না পাতলা।দ্বিতীয়ত, আপনার গায়ের রংটি কী রকম। যেমন, ফর্সা ও শ্যামবর্ণাদের ক্ষেত্রে পৃথক ধরনের রং বাছতে হবে। তৃতীয়ত, পোশাকের ধরন ও রঙের ওপর নির্ভর করবে লিপস্টিকের রং। 

লিপস্টিকের রং বাছাই করার আগে জেনে নিতে হবে আপনার গায়ের রং কি। তার পর জানতে হবে যে আপনার  warm undertone নাকি  cool undertone ? সাধারণত undertone জানার উপায় হচ্ছে হাতের শিরা  দেখে। যদি আপনার হাতের শিরার রং সবুজ হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি ওয়ার্ম টোন যুক্ত। আর যদি নীল হয় তাহলে আপনার টোন হল কুল। 

আমাদের দেশের মেয়েদের গায়ের রং সাধারণত ওয়ার্ম টোন। সে ক্ষেত্রে হালকা গোলাপি, কমলা, বাদামি, হালকা বেগুনি লিপস্টিকের রং বেশি মানায়।
ফর্সা ত্বকের জন্য লিপস্টিক শেড
মাঝারি ত্বকের জন্য লিপস্টিক শেড
শ্যামবর্ণাদের ত্বকের জন্য লিপস্টিক শেড
কালো ত্বকের জন্য লিপস্টিক শেড
পছন্দ যখন গাঢ় রং 

আপনার গাঢ় রং পছন্দ হলে লাল অথবা মেরুন রং ব্যবহার করতে পারেন। পৃথিবীর সর্বত্র লাল রঙের লিপস্টিক বহুল প্রচলিত। কিন্তু লাল রং ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ লাল রঙের অনেক ধরনের শেড হয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রেও আপনার গায়ের রং অনুযায়ী শেডটি বাছবেন। যাঁরা ফর্সাতাঁরা উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় লাল অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন। যাঁরা শ্যামবর্ণাতাঁরা হালকা লাল রং ব্যবহার করবেন।

বিভিন্ন গাঢ় শেড-এর মধ্যে রেজিনওয়াইনকমলাবেগুনি এই রংগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এগুলি সমস্তই সান্ধ্য রং এবং পার্টির জন্য উপযুক্ত। এই রঙের লিপস্টিক ব্যবহারের সময় মাথায় রাখতে হবেচোখের মেকআপ যেন হালকা হয়। নয়তো সমস্ত মেকআপটি খুবই চড়া হয়ে উঠবে। এ ছাড়া গাঢ় রং ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন ঠোঁটটি যেন অতিরিক্ত গ্লসি না হয়ে যায়।

সকলের জন্য কিছু বেসিক শেড
যে কোনও গায়ের রং এবং যে কোনও আউটফিট (পোশাক)-এর সঙ্গে ব্রাউন অথবা ন্যুড কালারটি একমাত্র বিবেচ্য। এই রংটি খুব স্বাভাবিক এক লুক এনে দেয়। ন্যুড রঙের লিপস্টিক দিনের যে কোনও সময় এবং যে কোনও অনুষ্ঠানে স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। যদি ফরসা হন, তবে পিচ, হালকা পিঙ্ক, ব্রাউন অথবা বেজ রংগুলি আপনার জন্য হবে ন্যুড শেড। কিন্তু শ্যামবর্ণা হলে ন্যুড শেড হবে গাঢ় ব্রাউন, ব্রিক ব্রাউন, রেজিন এই রংগুলি। প্রকৃত অর্থে, আপনার গায়ের রঙের সঙ্গে খুব কাছাকাছি শেডগুলিকে ন্যুড শেড বলা হয়। ন্যুড শেড-এর লিপস্টিক ব্যবহার করলে চোখকে সব সময় হাইলাইট করতে হবে। না হলে প্রাণহীন লাগবে।
হালকা রঙের লিপস্টিক দিনে আর গাঢ় রং রাতে ভালো মানায়। সাধারণত মেকআপ যদি হালকা হয়, সে ক্ষেত্রে গাঢ় লিপস্টিক ব্যবহার করুন। আর খুব ভারী চোখের মেকআপ হলে হালকা বা ন্যাচারাল টোন ভালো মানাবে।মেকআপ ছাড়া শুধু লিপস্টিক ব্যবহার করলে ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই ন্যুড শেড বেছে নিন।
লিপস্টিকের সঙ্গে সঙ্গে লিপ লাইনারও গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় লিপস্টিকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লিপ লাইনার কিনবেন, অন্য কালারের লিপ লাইনার ব্যবহার করবেন না, দৃষ্টিকটু লাগবে।
এ ছাড়া প্রিয় দু-একটি রং মিলিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন পছন্দের রং। যাঁদের ঠোঁট একটু চওড়া তাঁরা বাদামি, বেগুনি বা তামাটে রং ব্যবহার করুন। ঠোঁট যাঁদের পাতলা, তাঁরা গোলাপি, পিচ, হালকা কমলা বা ন্যাচারাল টোনের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। পাতলা ঠোঁটে গাঢ় শেড লাগালে ঠোঁটটি বেশি সরু লাগবে।
                                                    take care
Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।

Posted on : Wednesday, July 30, 2014 [0] comments Label: , Life & style

ঘরে তৈরি করুন এয়ার ফ্রেশনার

by : Ami Tanni
বর্ষাকাল আমার একদমই পছন্দের না। প্রথম এক দুদিন বৃষ্টি ভালো লাগে। কিন্তু সারা দিন যে টিপটিপ করে বৃষ্টি আমার একদমই পোষায় না। অনেকে হয় তো খুব ভালো লাগে।আমার রে বাবা একদমই না!!! এই সময় ঘর যতই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি না কেন ফ্রেশ ফ্রেশ লাগেনা। তার উপর তো আছে কেমন যেন চাপা একটা গন্ধ। কেনই না হবে না ? কোন জামাকাপড় শুকোতে চায় না, পাখার চালিয়ে শুকোতে হয়। এতে ঘরের ফ্রেশনেশটাও চলে যায়। আমি এর উপায় হিসাবে বাজারে বিভিন্ন ধরণের সুগন্ধি এয়ার ফ্রেশনার কিনে আনতাম। কিন্তু পরে মনে হল এগুলোর এতো দাম তার উপর শরীরের জন্য ঠিক নয় তাই নিজেই ঘরে তৈরি করলাম এয়ার ফ্রেশনার। দেখলাম যে রান্না ঘরেরই মজুত আছে আমার  এয়ার ফ্রেশনার তৈরির সব সামগ্রী।

লেবু ও বেকিং সোডা হচ্ছে চিরাচরিত দুর্গন্ধ নাশক এবং ফ্রেশনার তৈরির জন্য এর চেয়ে সহজ পদ্ধতি আর হতে পারে না। এক্ষেত্রে আমি যা করেছি একটি কাঁচের জারে বেশ কিছুটা বেকিং সোডা নিয়েছি এবং তাতে লেবু স্লাইজ করে কেটে রেখেছি। জারের মুখটি বন্ধ করার জন্য আমার ঘরে রাখা একটি বস্তার সামান্য অংশ কেটে নিয়েছিলাম। দড়ি দিয়ে সেই বস্তার অংশটি জারের মুখ বেঁধে দেই। আর তৈরি হয়ে গেলো আমার এয়ার ফ্রেশনার। চাইলে জারের মুখ বন্ধ করার জন্য জারের ঢাকনি ব্যবহার করতে পারের। তবে এক্ষেত্রে জারের ঢাকনিতে ছোট ছোট ছিদ্র করে নেবেন। ছিদ্র করার কারনটা হল, যাতে সুগন্ধ সহজে ছবিয়ে পড়তে পারে।

আরেকটা করতে পারেন লেবুর বদলে ৩-৪ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার ওয়েল ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে কৌটার চার ভাগের তিন ভাগ অংশ বেকিং সোডা দিয়ে পূর্ণ করুন।  ৩-৪ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার ওয়েল বা সুগন্ধি তেল বেকিং সোডাতে ঢালুন ও এরপর ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর কৌটাটির মুখ বন্ধ করে দিন ও ঘরের যে কোন কোণায় রেখে দিন। ল্যাভেন্ডার ওয়েল বাজার থেকে কিনে আনতে পারেন অথবা অনলাইন ওর্ডার দিয়েও বাড়িতে আনাতে পারেন। আমি এই দুটি এয়ার ফ্রেশনারই ট্রাই করছি। ভালো ফল পেয়েছি তাই সেয়ার করলাম। যদি অন্য কোন  এয়ার ফ্রেশনার তৈরি করতে পারি অবশ্যই সেয়ার করবো। আপনাদের যদি কিছু জানা থাকে তাহলে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু :) ।
                                           take care
Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
by : Ami Tanni
আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন অতো ভাবিনি যে ঠোঁটেরও যত্ন করতে হয়।যদিও রূপচর্চা আমার তখন থেকেই একটা প্রিয় বিষয় ছিল। টিনেজ কাল থেকেই আমি চুলের যত্ন বা ত্বকের যত্ন করতাম। কিন্তু ঠোঁট নিয়ে কোন ভাবনাই ছিল না। ধীরে ধীরে ধরা পড়লো যে আমার ঠোঁট কালো হতে লেগেছে। এর কারন কিছুটা ছিল আমি কফি খেতে খুব ভালোবাসতাম। আর বিকেলে তো চা বাঁধাই ছিল। তখন একটা ম্যাগাজিনে পড়লাম যে চা কফি নাকি ঠোঁট কালো হওয়ার কারন। চা কফি তো আর ছাড়া যায় না কিন্তু কমিয়ে ফেলেছিলাম অনেকটাই। আর তার সঙ্গে নিয়মিত ব্যবহার করতে শুরু করলাম কিছু ঘরোয়া স্ক্রাবার। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে এমনই কিছু সহজ উপায় সেয়ার করবো যা ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

জলপাই তেল দিয়ে তৈরি ঠোঁটের স্ক্রাবার

মধু দিয়ে তৈরি ঠোঁটের স্ক্রাবার

চিনি দিয়ে তৈরি ঠোঁটের স্ক্রাবার
take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
by : Ami Tanni
চোখ শরীরের সবচেয়ে সূক্ষ্ম এবং সংবেদনশীল অঙ্গ।  আমরা এই চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ব্যহার করি বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় কাজল। আরও যে প্রসাধনী রয়েছে তার মধ্যে মাস্কারা, আইলাইনার, আইসেডো ইত্যাদি। কিন্তু এই ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের আগে কি আমরা একবারও ভাবি যে এর ব্যবহার  আমাদের চোখ ক্ষতি করতে পারে? আমরা চোখের মেকআপের জন্য যতই নামীদামী ব্র্যান্ড ব্যবহার করি না কেন কোনটাই কিন্তু বিপদমুক্ত নয়।তাই চোখের মেকআপ করার আগে অবশ্যই সাবধান থাকুন। 

প্রাচীনকাল থেকেই নারী-পুরুষ উভয়েই কাজল ব্যবহার করতেন। তখন বিশ্বাস ছিল যে কাজল তাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করবে। দেখা গেছে যে প্রাচীন মিশরীয়রা সীসা বা সালফাইড এর সঙ্গে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে সুর্মা বা কাজল তৈরি করতো। দক্ষিণ এশিয়ার একটি পিতলের পাত্রকে জ্বলন্ত লম্প বা ল্যাম্পের শিখার উপর ধরে রাখা হতো। পিতলের পাত্রের মধ্যে যে কালো প্রলেপ পড়তো তার সঙ্গে তেল মিশিয়ে সেটি একটি ছোট বাক্সে সংরক্ষণ করা হতো। যা পরে কাজল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আজও বিভিন্ন স্থানে এই ভাবে কাজল তৈরি করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের কাজল পোড়া কার্বন ছাড়া আর কিছুই না। যা সংবেদনশীল চোখের জন্য একেবারেই প্রযোজ্য নয়।

আমাদের দেশে দেখছি নবজাতকের  চোখে কাজল প্রয়োগ করার পদ্ধতি সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। এখনো এর চল রয়েছে। শিশুর চোখে এই কাজল লাগানোর অর্থ ছিল আত্মীয় এবং বন্ধুদের কুনজর থেকে রক্ষা করা। এছাড়া এমনও বলতে শুনেছি যে শিশুর চোখ, উজ্জ্বল বড় এবং আকর্ষণীয় করতে নাকি কাজল বা সুরমা ব্যবহার করা হয়। আদতেও যে এই কথার কতটা সত্যতা রয়েছে এর কিন্তু কোন প্রমান এখনো পাওয়া যায় নি।

আধুনিকে কালের তন্বীদের মধ্যে চোখের মেকআপ করার প্রবনতা খুব বেড়েছে। অনেকটা এক জন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমগুলি দায়ি বলেই আমার মনে হয়। চোখকে আকর্ষণীয়, মায়াবী ও সুন্দর করে তুলতে কত ধরনের মেকআপ সামগ্রী যে এখন বাজারে পাওয়া যায়, তার কোন
শেষ নেই।এর মধ্যে কাজল এরই ব্যবহারই সব থেকে বেশি। কাজল থেকে সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়ে থাকে। অনেকেই হয় তো দেখেছেন যে কাজল লাগানোর পর চোখ একটু লাল হয়ে যায়। এটা কিন্তু হওয়ার কথা নয়। যদি এমনটি হয় তাহলে বুঝতে হবে কাজল টি আপনাকে সুট করছে না। তখনই কাজলটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। তাছাড়া অনেক সময় দেখা গেছে যে কাজল চোখের এলার্জির কারণও বটে। মাস্কারা, আইলাইনার, আইসেডো ব্যবহার থেকে যদি চুলকানির সমস্যা হয় তাহলেও বুঝতে হবে প্রডাক্টটি আপনার জন্য সঠিক নয়। মাস্কারা আমরা চোখের পাতা ঘন দেখানোর জন্য ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই মাস্কারা থেকে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হয়ে অনেকেই পাতা ঝরে গেছে।

এছাড়া আজকাল বিউটি ব্র্যান্ড এমন কাজল বা মাস্কারা কথা বলে বেড়ায় যা নাকি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখ রক্ষা করে বলে কাস্টমারের মনে দীর্ঘ বিশ্বাস তৈরি করে। কিন্তু  বিশেষজ্ঞরা তা মনে করেন না। তাদের মত এই বিষয়ে একটু অন্য রকম। আসলে কাজল ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি করা জন্যই বিউটি ব্র্যান্ড এই ধরনের প্রচার করে থাকে।

চোখের মেকআপ বিষয়ের আরও কিছু তথ্য আপনার জানা দরকার।

প্রসাধনী তৈরীর জন্য বিভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন। তাদের অধিকাংশই আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকারী বিশেষ করে এতে কিছু উপাদান আছে যা চোখে  ক্ষতিকারী প্রভাব ফেলতে পারে।সাধারণভাবে ব্যবহৃত চোখের প্রসাধনীর অন্তর্ভুক্ত হল - মাস্কারা, আইলাইনার (তরল এবং পেন্সিল),  আইশেডো এবং কাজল বা সুর্মা।   US পণ্য উৎপাদানের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম অবলম্বন করে। যেকোন প্রসাধনীতে একটি নিদিষ্ট মাত্রায় কোন উপাদান ব্যবহার করা হয়। এবং  লেবেলে একটি পণ্যের উপাদানের ও তার মাত্রার উল্লেখ রাখাও কঠোর নিয়ম রয়েছে। ভারতে এই বিষয়ে ততটা কঠোরতা নেই। প্রসাধনী  ড্রাগস এবং প্রসাধনী আইনের ১৯৪০ এবং  ১৯৪৫ এর বিধি অনুযায়ী বলা হয়েছে যে কঠিন বস্তুর এবং সামান্য কঠিন বস্তুর (semisolids ) যদি ৩০গ্রামের নীচে হয় এবং তরল যদি  ৬০ মিলির কম হয় তাহলে লেবেলের গায়ে উপাদানের বা তার মাত্রা উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন নেই। চোখের প্রসাধনী সাধারণত ছোট প্যাক আসে। এই নিয়মের ফলে চোখের প্রসাধনীতে কি ধরণের উপাদানের ব্যবহার করা হয়েছে তা আমরা যাচাই করতে পারিনা। কম্পোজিশন না দেখে কিনলে একটা ভয় সব সময়ই মনে কাজ করে। কারন চোখের প্রসাধনীতে ব্যবহার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্ধত্বের কারণও হতে পারে।

তাহলে কি একেবারেই চোখের মেকআপ ব্যবহার করা যাবে না? সে কথা নয়। অবশ্যই মেকআপ ব্যবহার করুন, তবে ট্রাই করুন তা যেন কেমিক্যাল ফ্রি হয়। চোখের মেকআপ সামগ্রী যেন প্রাকৃতিক হয়।  আরও পড়ুন কিভাবে ডার্ক সার্কল তাড়াবেন

আজকাল বাজারে বিভিন্ন কেমিক্যাল ফ্রি বা প্রাকৃতিক মেকআপ পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। আপনি তা ব্যবহার করে দেখুন এবং তাতে আপনার চোখের ক্ষতি হচ্ছে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। কিন্তু সতর্কতার একটি শব্দ আমাকে বলতেই হবে,  অন্ধভাবে কোন ভেষজ পণ্যকে বিশ্বাস করবেন না। কোন কোম্পানী এবং তারা যে উপাদানগুলো ব্যবহার করছে  তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। কোন একটি ব্র্যান্ডের প্রতি যদি আপনি বিশ্বাস থাকে তাহলে সেই ব্র্যান্ডের পণ্যই ব্যবহার করুন। আর একটা অবশ্যই পালনীয় বিষয় যে কোন পণ্যেরই মেয়াদের শেষ হওয়ার তারিখ দেখে কিনুন। যদি মেয়াদের তারিখ অতিক্রম হয়ে যায় তাহলে সেই প্রসাধনী ব্যবহার না কারাই ভালো। শুধুমাত্র আপনার চোখের সুরক্ষার জন্যই এই কাজটি করতে হবে।

সহজ টিপস

চোখের মেকআপ প্রথম নিয়ম হল কাজল বা অন্য সামগ্রী  কোন অন্য  ব্যক্তি এমনকি আপনার সেরা বন্ধু বা বোনের সাথেও সেয়ার করবেন না। কারন চোখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ খুব সহজেই হয় থাকে।
যদি আপনি লেন্স পরেন তাহলে বিশেষ করে চোখের ভিতরের অংশে কোন কিছু প্রয়োগ না করাই ভালো।

চোখের সংক্রমণ কোন রকমের সমস্যা থাকলে কোন মেকআপ প্রয়োগ করবেন না।  মেকআপ প্রয়োগের ফলে আরও সংক্রমণ বেড়ে যাবে।

মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ অতিক্রম হয়ে গেছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না।

সব সময় দিনের শেষে অর্থাৎ রাতে মেকআপ তুলে ফেলুন।

সংক্রমণের  সুযোগ এড়াতে ব্যবহারের পর প্রসাধনী ক্যাপ লাগাতে ভুলবেন না।

মেকআপ করার সময় চোখ লাল হয়ে গেলে বা irritate হলে এর ব্যবহার বন্ধ করুন।

চোখের মেকআপ কখনই চলন্ত গাড়ির মধ্যে করবেন না।  

নতুন কোন প্রডাক্ট ব্যবহারের আগে ফ্রেন্ড সার্কেলে যদি কেউ ব্যবহার করে থেকে, তবে তার থেকে রিভিউটা অবশ্যই জেনে নিন।

অনেকটা কথা শিশুদের কুনজর থেকে রক্ষা করতে হলে, চোখে নয়, কাজলের নজর টিকা মাথায় বা পায়ের নীচে লাগিয়ে দিন।

আপনার চোখের ক্ষতি এড়াতে এই সহজ টিপসগুলি অনুসরণ করুন।এবং সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপদের ব্যবহার করুন চোখের প্রসাধনী। আর বিশ্বের সৌন্দর্যকে উপভোগ করুন।
take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।


তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে :
thehealthsite.com
ncbi.nlm.nih.gov
deccanherald.com
by : Ami Tanni


আমার ব্যালকনি বাগানের প্রথম যে গাছটি লাগিয়েছিলাম সেটি ছিল অ্যালোভেরা গাছ। বাজারের কেনা অ্যালোভেরা জেল আমি ব্যবহার করি না। তাই যখনই অ্যালোভেরা জেলের দরকার হয় আমি আমার গাছ থেকে নিয়ে জেল বানিয়ে নেই। তারপর প্রয়োজন মতো ব্যবহার করি।
 
 অ্যালোভেরা জেল তৈরি করতে যা করতে হবে

হাতের কাছে যে জিনিসগুলি চাই
১/ ছুড়ি
২/ কাঁচের পাত্র
৩/ প্লাস্টিকের ছুড়ি
৪/ চামচ
৫/ মিক্সি
৬/ সামান্য জল

প্রথমেই আপনার টবে  বা বাগানে লাগানো অ্যালোভেরা গাছটি থেকে একটি পুষ্ট অ্যালোভেরা ছুড়ি দিয়ে কেটে নিন। ব্যবহারের আগে ছুড়িটি অবশ্যই আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
 
অ্যালোভেরার যে অংশটি কেটে আনলেন সেই অংশটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি পরিষ্কার ছুড়ি দিয়ে অ্যালোভেরাটি মাঝ বরাবর কেটে নিন(এ ক্ষেত্রে আমি প্লাস্টিকের ছুড়ি ব্যবহার করি)। অথবা যে অংশটিতে কাঁটা লাগানো রয়েছে আপনি সে দিকটিও লম্বা করে কাটতে পারে। আমি আবার ঐ দিকটা কাঁটি না, কাঁটার খোঁচা যদি লাগে, সেই ভয়ে।
যাই হোক, এবার দুটি অংশকে বিভক্ত করে নিন। দেখবেন থকথকে আঠার মতো স্বচ্ছ শাঁস এই শাঁসকেই বলা হয় জেল। আর এই জেলটাই আপনাকে বের করতে হবে। যে ছুড়িটা দিয়ে অ্যালোভেরাটি কাটলেন অথবা কোন চামচ দিয়ে ঐ অংশটি টেনে বার করুন। এবার বের করে আনা জেলটি একটি কাঁচের পাত্রে রাখুন। পাত্রটি ফ্রিজে রেখে দিন। যখন প্রয়োজন পরবে ব্যবহার করুন।

এই অবস্থায় জেলটি একটু শক্ত মতো থাকে। আপনি চাইলে একে একটু লিকুইড ফর্মে রাখতে পারেন। তার জন্য আপনাকে যা করতে হবে, মিক্সিতে এই জেলটি নিন। এতে সামান্য পরিষ্কার জল দিন, চাইলে এর সঙ্গে গোপালজলও মেশাতে পারেন। এবার ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এই লিকুইড ফর্মেও ফ্রিজে রাখলে অনেক দিন ভালো থাকবে।



অ্যালোভেরার এই নির্যাসের সঙ্গে মধু মেশান এবং রোদে পোড়া ত্বকে নিয়মিত লাগান। দেখবেন জাদুর মতো কাজ করছে। চুলেও লাগাতে পারেন অ্যালোভেরার এই নির্যাস। এতে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়।খুশকি কমাতেও এটি সহায়ক। অনেকে আবার হজমের বা পেটের বিভিন্ন সমস্যার জন্য অ্যালোভেরার রস পান করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে আমি বলবো কোন এক্সপার্টের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
                                             take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
by : Ami Tanni
Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Newer Posts Older Posts Home
Follow Tanni's board Beauty and Lifestyle of Tanni on Pinterest.