গরমকালের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা হল ঘামের বাজে গন্ধ। অনেকের তো আবার সারা বছরই কম বেশি ঘাম হয় আর তার থেকে গন্ধ। এর থেকে রেহাই পেতে বেশির ভাগ মানুষর ব্যবহার করেন ডিওড্রেন্ট। তবে খুব বেশি ডিওড্রেন্ট ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ধরুন, ত্বকে টিউমার, চর্মরোগ, এর মতো নানা সমস্যা। তাছার মেয়েদের তো বেশি ব্যবহার করা একদমই ঠিক না। বিভিন্ন গবেষণায় বলছে যে অতিরিক্ত ডিওড্রেন্ট এর ব্যবহার নাকি স্তন ক্যান্সারের কারন। আমি নিজেও কিন্তু একদম ডিওড্রেন্ট ব্যবহার করি না। এমনকি অন্য কোন Synthetic সুগন্ধিও না। কারন আমি মনে করি ত্বকের একটা আলাদা নিজেস্ব গুন আছে। যা এই সব Synthetic সুগন্ধি ব্যবহারের ফলে নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই হয় তো সামান্য ঘাম হলেই গন্ধ করে। আসলে Synthetic সুগন্ধি ব্যবহার করতে করতে ত্বক নিজেস্ব গুন হারিয়ে ফেলে। তবে সব সমস্যারই সমাধান থাকা দরকার। এরও আছে। ঘামের গন্ধও হবে না আবার Synthetic ডিওড্রেন্টও ব্যবহার করবো না? হ্যাঁ ঠিক তাই। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করুন না সুগন্ধি। নিজেই যদি তৈরি করতে পারেন সুগন্ধি তাহলে তো আর কোন সমস্যাই থাকবেনা। চলুন তাহলে দেখে নেই ঘরে ডিওড্রেন্ট বানানোর পদ্ধতি।
চা গাছের তেল
এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আমার খুব প্রিয় একটি উপায়। কারন এটি খুব সহজ ও চটজলদি ব্যবহার করা যায়।
আপনার তালুতে এই তেল ২-৩ ফোঁটা ঝরিয়া নিন। এর সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে নিন। এবার হাতের মধ্যে মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে শরীরের যে সব অংশে বেশি ঘাম হয় সেই সব অংশে প্রয়োগ করুন। টিস্যুর মধ্যে dabbing করেও এই তেলটি প্রয়োগ করতে পারেন। এই তেলটি সুবিধা হল, বোতলটি এত ছোট হয় যে কারণে আপনি সহজেই এটি আপনার ব্যাগের মধ্যে রাখতে পারেন। কোথায় ঘুরতে যাবার সময় সঙ্গে রাখুন।
আপনাকে চিন্তা করতে হবে না, এটা থেকে খারাপ গন্ধ নয় ভালো মিষ্টি গন্ধই আসে।
গোলাপফুল
গোলাপফুল দিয়ে সুগন্ধি বানানোর জন্য আপনার দরকার দুটি উপাদান। গোলাপজল আর চা গাছের তেল। এটি স্প্রে বোতল মধ্যে ১০০-১৫০ ml গোলাপজল এবং ১৫-২০ ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে একটু ঝাঁকিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি খুব ভালো সুগন্ধি হিসেবে কাজ করে।
গোলাপফুল দিয়ে সুগন্ধি বানানোর জন্য আপনার দরকার দুটি উপাদান। গোলাপজল আর চা গাছের তেল। এটি স্প্রে বোতল মধ্যে ১০০-১৫০ ml গোলাপজল এবং ১৫-২০ ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে একটু ঝাঁকিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি খুব ভালো সুগন্ধি হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া স্প্রে বোতলটি যদি ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করেন তাহলে এটি টোনার বা রিফ্রেশিং স্প্রে হিসেবেও কাজ করবে। গরমকালে নিয়ে বেরিয়ে পরুন। মাঝে মাঝে মুখে স্প্রে করুন, দারুন ফ্রেস লাগবে। আবার ডিওড্রেন্ট হিসেবেও ব্যবহার করুন।
১০ থেকে ১২ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল বা গন্ধসার তেল সঙ্গে ১/৪ কাপ বেকিং সোডা, ১/৪ কাপ অ্যারারূট গুঁড়া , ৪ বড় চামচ নারকেল তেল মিশিয়েও সুগন্ধি তৈরি করা যায়।
এছাড়াও আমি কিছু টিপস দিচ্ছে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য ট্রাই করে দেখতে পারেন।
১/ কচি গমের পাতা খুব ভাল কাজ করে শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে। এ ছাড়াও ব্যবহারের পর গ্রিনটি এর প্যাক আন্ডার আরম বা পায়ের পাতায় দিয়ে রাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
২/ ভিনেগার খুব ভাল প্রাকৃতিক উপায় ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার। তাই শরীরের যে যায়গা গুলোতে ঘামের দুর্গন্ধ বেশী হয় যেমন বগল, পায়ের পাতা ইত্যাদিতে ভিনেগার মেখে ৫-১৫ মিনিট পড়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন । ভিনেগার ছাড়াও লেবুর রস লাগাতে পারেন। তবে এই ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখবেন যদি ত্বকে লাল র্যাশের মত হয় তবে দুই একদিন বাদ রেখে অল্প অল্প করে আবার লাগানো শুরু করতে পারেন।
আপনাদের অন্য কোন টিপস থাকে তাহলে অবশ্যই সেয়ার করুন। আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে করতে ভুলবেন না। ট্রাই করবো যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।