একটা ভয় আজকাল সব সময়ই আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। ভেজালের ভয়। ঠিক বলছি তো। ফল, সবজি যাই কিনি মনে একটাই ভয় থাকে। সেই ভয়টা প্রসাধন সামগ্রী কেনার সময় কি হয় না ? নিশ্চয় হয়। কোন জিনিসের সত্যতা যাচাই করা আমাদের মতো সাধারন মানুষের পক্ষে খুব কঠিন। অগত্যা মনে ভয় নিয়েই কিনি। ব্যবহারও করি। তবে কিছু কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আমরা ঘরেই তেরি করতে পারি। যেমন গোলাপ জল। যে কোন তন্বী নারীর রূপটানের অঙ্গ গোলাপ জল। চলুন আজ ঘরোয়া উপায়ে গোলাপ জল তৈরির পদ্ধতি শিখি।
পদ্ধতি
১. একটি তাজা গোলাপ থেকে শুধু তার পাপড়িগুলো সংগ্রহ করুন। পাপড়ি সংগ্রহ করার আগে আবশ্যকই দেখে নেবেন, যে গোলাপ গাছটি থেকে পাপড়ি সংগ্রহ করেছেন তাতে যেন কোন প্রকারের কীটনাশক বা রাসায়নিকের ব্যবহার না হয়ে থাকে।
২. সূর্যোদয়ের দুই থেকে তিন ঘন্টা পর সকালের শিশির যুক্ত ফুলগুলো চয়ন করুন।
৩. পাপড়ি সংগ্রহের পর ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
৪. একটি বড় পাত্রের মধ্যে জল নিন ও তাতে গোলাপ পাপড়িগুলো রাখুন।
৫. খুব বেশী জল ব্যবহার করবেন না। কারন বেশি পরিমাণ জল গোলাপের নিজেস্ব ফ্লেবারকে নষ্ট করে দেয়। তাই পাপড়িগুলো ডুবে থাকবে সেই পরিমাণে জল ব্যবহার করুন।
৬. এবার একটি ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন এবং কম অল্প আঁচে জল গরম করুন। তবে মনে রাখবেন জল যেন না ফুটে।
৭. পাপড়ির রং যতক্ষণ না সাদা হচ্ছে ততক্ষণ জল গরম হতে দিন। পাপড়ি রং ছাড়লে আঁচ বন্ধ করুন ও জল ঠাণ্ডা হতে দিন।
৮। গোলাপ জল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এই গোলাপ জল দীর্ঘ দিন ভালো থাকে।
নিজের হাতে তৈরি নির্ভেজাল গোলাপ জল আপনাকে আরও সুন্দরী করে তুলবে। তাই বলছি তন্বীরা, দেরী না করে তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলুন আপনার গোলাপ জল।
গোলাপ জল ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এই গোপাল জল দীর্ঘ দিন ভালো থাকে।
গোলাপ জল ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এই গোপাল জল দীর্ঘ দিন ভালো থাকে।