Latest in Tanni


More

More

by : Ami Tanni

আপনি কি জানেন তাজা সবজি এবং ফল থেকে পাওয়া রস আপনার চুল স্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে? হ্যাঁ, আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের মধ্যে এই যে  রস  রয়েছে তা আসলে  আপনার চুলের যত্নের চাহিদা মেটাতে পারে।

তাজা ফল ও সবুজ শাক সবজি আমাদের শরীরের পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে  চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। টাটকা ফল ও সব্জির রস চুল ভাঙ্গনের সম্ভাবনা হ্রাস করা এবং  একই ভাবে চুল বৃদ্ধি  করতে সহায়তা করবে। রস থেকে পুষ্টি দ্রুত আমাদের শরীরের মধ্যে শোষিত হয় এবং এর ফলাফল দ্রুত লাভ করতে পারি। আজকের পোস্টে চুল বৃদ্ধির জন্য এমনই কয়েকটি কার্যকর রস এর কথা উল্লেখ করলাম।

চুল বৃদ্ধি জন্য সেরা ১১ টি রস 

নীচে তালিকাভুক্ত রসগুলি যদি নিয়মিত আমরা আমাদের ডায়েটে রাখি তাহলে,চুলের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। সুতরাং আসুন দেখে নেওয়া যাক এই তালিকায় কোন কোন তাজা ফল ও সবুজ শাক সবজির রস রয়েছে। 

১। ঘৃতকুমারী বা অ্যালভেরার রসঃ 

Aloe Vera Juice
ঘৃতকুমারী গাছের রস চুল ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ঘৃতকুমারী উপস্থিত ভিটামিন চুলকে শক্তিশালী এবং চুলের ভঙ্গুর হওয়ার সম্ভাবনাকে কম করতে সাহায্য করে। ঘৃতকুমারীর পুষ্টিকর ও ময়শ্চারাইজিং রস মাথার খুশকির হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।আপনার চুলে  ঘৃতকুমারীর রস নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল হয়ে উঠবে চিকন ও নরম। এই রস চুল বৃদ্ধির জন্য সেরা রস। নতুন চুল গজানোর জন্য অ্যালভেরার রস নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসেজ করে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন, সপ্তাহে ২ বার করে ২ মাস। পরিবর্তন নিজেই লক্ষ করতে পারবেন। এ ছাড়াও অ্যালভেরার রস চুল কে কন্ডিশনিং করে মোলায়েম হতে সাহায্য করে যা অনেকদিন স্থায়ী থাকে। এমনকি এটি রক্তের কলেস্টরেল দূর করতে সাহায্য করে।

২। কিউই রসঃ

Kiwi Juice
কিউই রস দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিউই রস ভিটামিন ই, সমৃদ্ধ হওয়াতে এটি দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিউই রস শরীরে শোধক এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। ফলে এটি সহজেই শরীরের দূষিত জিনিস বেড় করে দিতে সাহায্য করে। এতে চুলে দ্রুত বৃদ্ধিতে প্রভাব পরে। কিউই রস চুলের গোঁড়া শক্ত করতে সাহায্য করে।

৩।পেঁয়াজ রসঃ

Onion Juice
পেঁয়াজ রস সরাসরি মাথার লাগানো যায়। পেঁয়াজ রস চুল বৃদ্ধিতে ও চুলকে সাদা হতে বাধা দেয় পেঁয়াজ সালফারের সমৃদ্ধ উৎস। চুল গজানোর জন্য এ উপাদানটি খুবই জরুরি। চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজানোর সহায়তার জন্য এটা অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।একটি মাঝারি আঁকারের পেঁয়াজ নিন। পেঁয়াজটি কুচি করে কেটে কিংবা গ্রেটারে গ্রেট করে নিয়ে চিপে এর রস বের করুন। যদি প্রয়োজন বোধ করেন তো ২টি পেঁয়াজ নিতে পারেন। এই পেঁয়াজের রসে ২ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় লাগাবেন। সব চাইতে ভালো ফল পেতে এই মাস্কটি রাতে ব্যবহার করুন। পুরো রাত এই হেয়ার মাস্কটি চুলে লাগিয়ে রাখুন। সকালে হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ বার ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।

৪। পালং শাক রসঃ

Spinach Juice
এটি  ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী সব্জি। যা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, আয়রন ইত্যাদি সমৃদ্ধ। পালং শাকের অনেক প্রয়োজনীয় উপকারিতার মধ্যে আরেকটি হচ্ছে নিয়মিত পালং শাক খাওয়ার মাধ্যমে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারেন নিজের ত্বক। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি যা সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। পালং শাক চুলের বৃদ্ধি ত্বরাণ্বিত করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি এবং ই, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সহ আরও অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান যেগুলোর সবই চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। পালং শাকে থাকা আয়রন চুলের ফলিকলে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখে যার ফলে চুল ঠিক মতো বাড়ে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।চুল পড়া রোধ করতে নিয়মিত পালং শাক খান। কারণ পালং শাকে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স চুলের গোঁড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পালং শাকের জুস খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ১ কাপ পালং শাক এবং পরিমাণ মতো পানি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে পান করতে পারেন। খেতে একটু কষ্ট হলেও ফলাফল টা কিন্তু মধুর হবে। চাইলে পালং শাকের সাথে টমেটো, শশা বা অন্যান্য সবজি মিক্স করতে পারেন।

৫। পেয়ারা রসঃ

Guava Juice
পেয়ারাতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট, আর আছে কালসিয়াম , আইরন ও ফলিক এসিড।পেয়ারার রস ও খালি পেয়ারা , যে কোন ভাবেই এটি গ্রহন করা যেতে পারে । পেয়ারার পাতা ২০ মিনিট সিদ্ধ করে , সেই জল চুলে প্রয়োগ করতে পারেন এটি চুল পরা প্রতিরোধ করে ।

৬। রসুন রসঃ
garlic
রসুনের ব্যবহার  চিকিত্সা ক্ষেত্রে সেই ঐতিহাসিক কাল থেকে চলে আসছে। রসুন চুলের মান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুলে পুষ্টি  যোগায়। মাথায় রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এটি চুলের নিষ্প্রভতা দূর করে এবং চুল মসৃণ করে তোলে। রসুনের রস সপ্তাহে একদিন মাথার স্কাল্পে লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন অনেক নতুন হেয়ার গ্রোথ হয়েছে |

৭। শসার রসঃ
Cucumber Juice
খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ শসা নখ, দাঁত ও মাড়ির জন্য ভালো। চুল ও নখকে উজ্জ্বল করে। শশায় আছে সালফার ও সিলিকা নামের দুটি উপাদান, যা আমাদের মাথার চুল ও নখকে উজ্জ্বল  ও শক্ত করে তোলে। এগুলো চুলের বৃদ্ধিকেও তরান্বিত করে। নিয়নিত শসার রস  পান করলে শরীরের ইউরিক এসিডের ব্যথা দূর হয়।শসা রস চুলের  সঠিক বৃদ্ধির সহায়তা করে এবং চুল মান উন্নত করে। এক গ্লাস প্রতিদিন শসার রস পান করুন। এই রস চুলের সমস্যার আরোগ্যকরণ সহায়তা করবে।

৮। ধনে পাতার রসঃ
Coriander Juice
ধনে পাতার রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ।বাজারে এখন এর দাম সহনীয় কাজেই আমরা যদি মাঝে মাঝে খাবারের বা সালাডের সাথে পরিমিত মাত্রায় এটি খেতে পারি তাহলে অনেক ধরনের রোগ-বালই প্রতিরোধ সম্ভব হবে। ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন ‘সি’ , ফলিক এসিড  যা ত্বকের উপকারের জন্য যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিনগুলো প্রতিদিনের পুষ্টি জোগায়, ত্বক, চুলের ক্ষয়রোধ করে, মুখের ভেতরের নরম অংশগুলোকে রক্ষা করে। ধনেপাতার ভিটামিন ‘এ’ চোখের পুষ্টি জোগায়, রাতকানা রোগ দূর করতে ভূমিকা রাখে। কোলেস্টেরলমুক্ত ধনেপাতা দেহের চর্বির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাছাড়া চুল পড়া রুখতে ধনে পাতা রসের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে।সবুজ ধনে পাতার রস নিয়মিত চুলে লাগালে, চুল পরা বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়।

৯। গাজরের রসঃ
Carrot Juice
গাজরের রস একটি গুরুত্বপূর্ন পুষ্টিকর রস। ভিটামিন সি যুক্ত এই রস চুলের জন্য খুবই উপকারি।গাজরের রসে আছে বিটা–ক্যারোটিন যা চুলের জেল্লা বাড়াতে ও চুলের প্রাকৃতিক বর্ণ বজায় রাখতে সাহায্য করে । চুলের গোঁড়া মজবুত করতে ও পুষ্টি যোগাতে এটি অনেক ভূমিকা পালন করে ।


১০। স্ট্রবেরির রসঃ
benefits of strawberry juice for skin

স্ট্রবেরির রস এ আছে প্রচুর ভিটামিন–সি, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে ও চুলে প্রোটিনের অভাব পুরন করে । মাথার ত্বকে স্ট্রবেরির রস নিয়মিত ব্যবহারে তা চুলের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে ।

১১। আমলকীর রসঃ



আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে। আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

এই রসের বিভিন্ন বেনিফিট পড়ার পর, আমি আপনাদের কাছে এখন নিশ্চয় এই আশাই করবো যে এখন থেকে রোজ কোন একটা জুস তো আপনার ডায়াটে থাকছে। এখন শুধু আপনাকে যা করতে হবে তা হল আপনার খাবার চার্টের তালিকায় কোন একটা জুস জুড়ে দিন। যখন যে রস সহজ লভ্য তাই পান করুন। দীর্ঘ চিকন চুল পেতে এই টুকু তো করাই যেতে পারে। এতে যে আপনারই লাভ!  
Follow Me on Pinterest       Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।

by : Ami Tanni


বাদশাহ আকবর একবার তাঁর দরবারে সভাসদবৃন্দদের ভোজ খাইয়ে ছিলেন৷ আকবর বীরবলকে খুব ভালবাসতেন৷ তিনি খুব যত্ন করে বীরবলকে খাওয়ান৷ যখন বীরবল অত্যাধিক খেয়ে বিরক্ত হয়ে গেলেন তখন তিনি আকবরকে বললেন আমার পেটে জায়গা নেই৷ আমি আর খেতে পারব না৷ আমি আপনার এই আজ্ঞাটা পালন করতে পারব না৷
তখন একজন আম কেটে প্লেটের মধ্যে রাখল৷ প্লেটের মধ্যে আম দেখে বীরবলের খুব আম খাবার ইচ্ছা হল৷ বীরবল হাত বাড়িয়ে আমের প্লেট থেকে আম নিয়ে খেলেন৷ বীরবলকে আম খেতে দেখে বাদশাহ আকবর খুব রাগ করলেন৷ তিনি চিত্কার করে বীরবলকে ডাকলেন৷ তখন বীরবল হাত জোড় করে বাদশাহের কাছে গিয়ে বললেন রাস্তায় যখন খুব ভিড় থাকে তখন বেরোনোর জায়গা থাকে না৷ সেই পথ দিয়ে যদি মহারাজ আপনি যান তখন সবাই সরে গিয়ে আপনাকে যাবার জায়গা দেন৷ আপনি যে রকম আমাদের রাজা সেই রকম আমও হল ফলের রাজা৷ আপনাকে যে রকম আমরা রাস্তা ছেড়ে দিই৷ পেটও সেই রকম আমকে দেখে রাস্তা তৈরী করে দিয়েছে৷ তাই আমি আম খেতে পেরেছি। গল্প হলেও কথাটা কিন্তু একদম সত্যি। আম ভালোবাসেন না এমন মানুষ হয় তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। 
আম কাঁচা কি পাকা দুটোই খেতে ভালো। পাকা সুস্বাদু আম শুধু খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি বিভিন্ন রেসিপিও বানানো যায়। বিশেষ করে, আমের লস্যি, কাস্টটার্ড, পুডিং, কেক, আইসক্রিম, ডেজার্ট এর মতো রেসিপি। আমি তো এই সিজনের এতো রকমারি আম দেখে লোভই সামলাতে পারচ্ছি না। তাই আজকের এই পোস্টে আমের বিভিন্ন রেসিপির সন্ধান দিলাম।  আশা করি কোন একটা রেসিপি আপনি ঘরে মাস্ট ট্রাই করবেন।

পেঁপে-আম আইসক্রীম দাইকুইরি
Papaya-Mango Ice Cream Daiquiri

                                     রেসিপি ও ছবি - recipe.com
 আমের লস্যি

রেসিপি ও ছবি -foodfor7stagesoflife.com

আমের আপসাইড ডাউন কেক 
                                  
                                     রেসিপি ও ছবি - frombraziltoyou.org
ম্যাংগ মস্তানি

                                     রেসিপি ও ছবি -creativesaga.com
'ম্যাংগমিসু'

                                         রেসিপি ও ছবি - taste.com
আম পান্না কোট্টা
                               mango dessert recipes
  Follow Me on Pinterest                                       
                                        রেসিপি ও ছবি - sailusfood.com
আমের ডেজার্ট

রেসিপি ও ছবি -grandmotherskitchen.org
আম সরবেত

                          রেসিপি ও ছবি -willcookforfriends.com
ম্যাংগ স্মুথি

                                  রেসিপি ও ছবি- avocadopesto.com

ম্যাংগ ইটালিয়ান আইস

                               রেসিপি ও ছবি- aspicyperspective.com

আম দইয়ের ললি আইসক্রিম

উপকরণঃ

পাকা আম ২টি

কনডেনসড মিল্ক ৪ টেবিল চামচ

টক/মিষ্টি দই (স্বাদ মত যতটুকু প্রয়োজন)

চিনি (ইচ্ছা)

প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে পাকা আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। এরপর আম গুলোকে হাত দিয়ে ভালো করে চটকে নিন।

এরপর ব্লেন্ডারে পাকা আম ও কনডেনসড মিল্ক একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। আমের মিশ্রণে জল মেশাবেন না। আমের মিষ্টি কম হলে প্রয়োজনে চিনি মেশাতে পারেন।

এরপর আইসক্রিমের ছাঁচে প্রথমে আমের মিশ্রণ এরপর অল্প দই দিন। এভাবে আম ও দই দিয়ে কয়েক লেয়ারে ছাঁচ ভরে নিন।

ডিপ ফ্রিজে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা রেখে জমিয়ে ফেলুন।
Follow Me on Pinterest       Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।

Posted on : Friday, June 27, 2014 [0] comments Label: , Life & style

সিঁড়ির ভাষায় পাল্টে দিন ঘরের ছবি

by : Ami Tanni

একটা সময় আমাদের দেশে বাড়ি তৈরি করার সময় সিঁড়ি নিয়ে মাথা ব্যাথা খুব একটা ছিল না। সিঁড়ি এক রকম হলেই হল।একতলা বাড়ি হলে সিঁড়ি ছিল ছাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যম। সিঁড়ি যে বাড়ির অন্দর সজ্জা বা বাইরের রূপ বদলে দিতে পারে এমন চিন্তা হয় তো খুব একটা কাউকেই ভাবিয়ে তোলে নি। কিন্তু আধুনিক ইন্টেরিয়র কনসেপ্ট বলছে ভিন্ন কথা। ইন্টেরিয়রের অংশ এই সিঁড়ি খুব সহজেই বাড়িতে পুরো দৃশ্যপট বদলে দিতে পারে। সিঁড়ি যে শুধুই দুটি ভিন্ন তলার মাঝে যোগাযোগ তৈরি করবে এমন কিন্তু নয়। এক চিলতে নান্দনিক সিঁড়ি ঘরের অভ্যন্তরিন সৌন্দর্যে বিরাট ভুমিকা রাখতে পারে। 

ইন্টেরিয়রের সাথে সংযুক্ত করতে এই সিড়ি নানান ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সিঁড়ির ব্যবহার নির্ভর করছে আপনার বাড়ির আকৃতি, আয়তন ও ঘরের বাদবাকি ইন্টেরিয়রের অবস্থানের উপর। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার জায়গাটা তাই আগে ঠিক করে নিন। 

সিঁড়ি তৈরিতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন:
১। সিঁড়িটা এমন জায়গাতে হতে হবে যে স্থানটার অবস্থান মোটামুটি ঘরের সব জায়গা থেকেই দেখা যাবে।
২। উপরটা জুড়ে দিতে পারেন ডুপ্লেক্স দোতলায়। সেক্ষেত্রে সিড়ির অবস্থানটা ঘরের এক পাশ থেকে তৈরি করুন। আর চেষ্টা করুন সিঁড়ির নিচটা ব্যবহার উপযোগী করে রাখতে।

৩। যদি সিঁড়ি ছাদের সাথে জুড়তে হয় তাহলে সিঁড়ির অবস্থান হতে পারে ঘরের ঠিক মাঝখান থেকে। আর এই সিঁড়ির অবস্থান এমন হতে হবে যেনো সব ঘর থেকেই সহজে এই সিঁড়ি ব্যবহার করে উপরে ছাদে ওঠা যায়।
৪। অনেক সময় বাড়ির বাইরের বাগান থেকে সিঁড়ি পেঁচিয়ে ঘরের মধ্যে টেনে আনা যায়। তবে সেক্ষেত্রে বাইরের সিঁড়িটা কোনো বড় জানালা, দরজা অথবা কাঁচের দেয়াল ঘেষে হওয়া উচিৎ যেন ঘরের ভেতর থেকেও বাহিরের সিড়িটার অবস্থান টের পাওয়া যায়।


সিড়ি তৈরির উপকরণেও ভিন্নতা রাখতে পারেন। এমন কি বিভিন্ন ডিজাইন ও নক্সার ব্যবহার করে চমক তৈরি করতে পারেন। এই সিড়িটা এমন হতে হবে যেনো এই সিঁড়িতেই প্রকাশ প্রায় আপনার রুচি, নান্দনিকতা আর ঘরময় ইন্টেরিয়রের একটা  সুন্দর  প্রতিচ্ছবি।

এথনিক ইন্টেরিয়র
পুরো ঘরের ইন্টেরিয়রে যদি এথনিক ভাবটা বজায় রাখতে চান তাহলে সিঁড়িটা কাঠের তৈরি করুন। ঘরের মাঝের সিঁড়িটা একটু হালকা ডিজাইনের হলেই ভালো। এই ধরুন মোটা একটা থামের গায়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ল্যাকার পলিশ কাঠের এক একটা তাক দিয়ে তৈরি করুন সিড়ি, সঙ্গে কাঠের হাতল ব্যবহার করতে পারেন। এমন সিঁড়ি কিছুটা আধুনিক আবার সাথে এথনিক ভাবও বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন
জিওমেট্রিক স্টাইলের
যদি ইন্টেরিয়র পুরোপুরি জিওমেট্রিক স্টাইলের হয় তাহলে সিঁড়িতেও তার একটা আঁচ রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিড়ি তৈরিতে অ্যালুমিনিয়াম অথবা স্বচ্ছ  কাঁচ ব্যবহার করতে পারেন।
সিঁড়ির হাতলের স্টাইল
সিঁড়ির  হাতলে কিছুটা ভিন্নতা আনতে স্টেইনলেস স্টিলের ফ্রেম অথবা রাফ কাঠ ব্যবহার করতে পারেন। অন্দরের সিঁড়িগুলোতে হাতলটা একটু হালকা গড়নে তৈরি করুন। তবে যদি বাড়িতে বাচ্চা-কাচ্চা খুব বেশী ছোট না থাকে তাহলে হাতল ছাড়াই ছেড়েদিন সিঁড়িটাকে। তবে এক্ষেত্রে একটা দেয়ালকে সাপোর্ট হিসাবে রাখতে পারেন। দেখতে মন্দ লাগবে না।
সিমেন্টের তাক
যদি পুরো সিঁড়িটা সিমেন্টে তৈরি করতে হয় তাহলে সিমেন্টের তাক দিয়ে তৈরি করুন সিঁড়ির তাকগুলো। খেয়াল রাখুন তাকগুলোর মাঝে যেনো ফাঁকা জায়গা থাকে। 
টাইলসের সিঁড়ি
পুরানো বাড়ি ঘরে অনেক সময় সিঁড়ি খারাপ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সিঁড়িগুলি টালি দিয়ে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারেন। এতে আপনার পুরানো চেহারা একেবারে পাল্টে যাবে। আর ঘরও নতুন এর মতো দেখাবে।


ঘরের এই সিঁড়িকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজাতে ইন্টেরিয়রের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আনুন। এতে করে আপনার সিঁড়িটা আর একটু প্রাধান্য পাবে। 

প্রথমেই এর জন্য সিঁড়ির পাশের দেয়ালটাতে একটু পরিবর্তন আনুন। দেয়ালটা একটু রাফ হতে পারে। এর জন্য রাফ টাইলস ব্যবহার করতে পারেন বা পাথর ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঠের কোনো পরত দিয়েও তৈরি করতে পারেন এমন একটা দেয়াল।
তাছাড়া আপনি যদি আপনার ঘরের চেহারাটা ভালো ভাবেই বদলাতে চাইছেন তাহলে পুরনো দেয়ালটা ভেঙে ফেলুন। কাঁচের ব্লক দিয়ে তৈরি করুন নতুন দেয়াল। এতে করে আলোর যোগাযোগটা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি দেয়ালটাও ভিন্নতা পাবে। 
দেয়াল সাজাতে ব্যবহার করুন বড় কোনো পেইন্টিং। অথবা ছোট ছোট ৩-৪টা পেইন্টিং ব্যবহারও করতে পারেন।
সিঁড়ির চারপাশের লাইটিং এর প্রতি একটু মনোযোগ দিতে পারেন। ফুট ল্যাম্প এর ব্যবহার করুন। সিঁড়ির আলোকসজ্জাটা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজাতে উপযোগী অনেক ধরনের লাইট এখন সব দোকানেই পাওয়া যায়। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঝুলে থাকবে এমন কিছু লাইটও আপনি লাগাতে পারেন। এছাড়া সিঁড়ির উপর থেকে স্পট লাইট সাজিয়ে তৈরি করুন আলো ছায়ার ছায়াপথ। পাশাপাশি সিঁড়িতে রাখতে পারেন কোন পাতা বাহার গাছ বা ফুলের টব।

ঘর ছোট হলে সিঁড়িটা এমন করে তৈরি করুন যেনো এর বাইরের অংশটা ব্যবহার করা যায়। সিঁড়ির পাশ ঘেষে একটা ছোট্ট বসার জায়গা সাজাতে পারেন। অথবা সিঁড়ির নিচের অংশে সাজাতো পারেন ছোট একটা ডাইনিং। আবার ছোট একটা বই এর তাকও সাজিয়ে নিতে পারেন সিঁড়ির নীচে। আমি অন্য আরেকটা পোস্টে উল্লেখ করবো কি কি ভাবে আমরা সিঁড়ির নীচের জায়গাটুকু ব্যবহার করতে পারি। 

Follow Me on Pinterest      Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Posted on : [0] comments Label: Beauty & Care, ,

ট্যানহীন ত্বক

by : Ami Tanni
আমরা প্রায় প্রতিদিনই কোনও-না-কোনও কাজে বাইরে বেরই, এবং মুখে, হাতে, পায়ে নানা রকম ক্রিমও মাখি। কিন্তু বাইরের এই প্রচন্ড রোদের চোখরাঙানিতে ত্বকের তো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। মানে ত্বক পুড়ে হয়ে যায় তামাটে। আর এই তামাটে ট্যান পরা ত্বকে কোনও ফ্যাশনই যেন ভাল লাগে না! যেভাবেই সাজি না কেন কিছুই যেন মানায় না। কিন্তু এই ট্যান পরা ত্বকের থেকে মুক্তি পাব কী করে! ট্যান হয়ে যাওয়া ত্বকের সমস্যার সমাধান পেতে রইল কিছু ঘরোয়া টিপ্স।
এক কাপ কাঁচা দুধের সঙ্গে এক চামচ চন্দনগুঁড়ো মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মুখে, গলায় এবং ট্যান পরা অংশে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। প্যাক শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতিটি ত্বকের জন্য খুব ভাল কারণ এটি যেমন ট্যান দূর করে, তেমনই ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতেও সাহায্য করে।
কচি ডাবের জল ত্বকের জন্য খুব ভাল এবং ট্যান দূর করতেও সাহায্য করে। এর জন্য প্রতিদিন জল দিয়ে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে টাটকা ডাবের জল পুরো মুখে, গলায় ও হাতের ট্যান পরা অংশে লাগিয়ে নেবেন। কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নেবেন। এই পদ্ধতিটি প্রতিদিন করলে কিছুদিনের মধ্যেই আবার ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।
Follow Me on Pinterest
এছাড়া কাঁচা দুধ ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটা প্যাক বানাতে পারেন।  ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে এই প্যাক মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এর ফলে ত্বকের ট্যান চলে যায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ।

সামান্য অ্যালোভেরা জেল নিয়ে হাতে ভাল করে ঘষে নিন৷ এতে ত্বক যেমন ভাল থাকবে তেমনই সান ট্যান থেকে রেহাই মিলবে৷ টানা দুই থেকে তিন মাস এটি ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ এছাড়াও এলার্জী, সংক্রমণ বা পোকা কামড়ালেও এই জেল ব্যবহার করে যেতে পারে৷


পাকা পেপে চটকে পেস্ট তৈরি করের ত্বকের উপর মাস্কের মতো করে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিন৷ এতে ট্যান যেমন দূর হবে তেমনই আপনার ত্বক অনেক বেশি ফর্সা দেখাবে৷ দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত এটি করলে উপকার পাবেন৷


সামান্য গোলাপজলে শশার রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন৷ এবার মিশ্রণটিকে দিনে একবার করে ত্বকে লাগান, তফাৎ নিজের চোখেই দেখতে পারেব৷

 take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Newer Posts Older Posts Home
Follow Tanni's board Beauty and Lifestyle of Tanni on Pinterest.