ইন্টেরিয়রের সাথে সংযুক্ত করতে এই সিড়ি নানান ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সিঁড়ির ব্যবহার নির্ভর করছে আপনার বাড়ির আকৃতি, আয়তন ও ঘরের বাদবাকি ইন্টেরিয়রের অবস্থানের উপর। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার জায়গাটা তাই আগে ঠিক করে নিন।
সিঁড়ি তৈরিতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন:
১। সিঁড়িটা এমন জায়গাতে হতে হবে যে স্থানটার অবস্থান মোটামুটি ঘরের সব জায়গা থেকেই দেখা যাবে।
১। সিঁড়িটা এমন জায়গাতে হতে হবে যে স্থানটার অবস্থান মোটামুটি ঘরের সব জায়গা থেকেই দেখা যাবে।
৩। যদি সিঁড়ি ছাদের সাথে জুড়তে হয় তাহলে সিঁড়ির অবস্থান হতে পারে ঘরের ঠিক মাঝখান থেকে। আর এই সিঁড়ির অবস্থান এমন হতে হবে যেনো সব ঘর থেকেই সহজে এই সিঁড়ি ব্যবহার করে উপরে ছাদে ওঠা যায়।
৪। অনেক সময় বাড়ির বাইরের বাগান থেকে সিঁড়ি পেঁচিয়ে ঘরের মধ্যে টেনে আনা যায়। তবে সেক্ষেত্রে বাইরের সিঁড়িটা কোনো বড় জানালা, দরজা অথবা কাঁচের দেয়াল ঘেষে হওয়া উচিৎ যেন ঘরের ভেতর থেকেও বাহিরের সিড়িটার অবস্থান টের পাওয়া যায়।
এথনিক ইন্টেরিয়র
আরও পড়ুন
জিওমেট্রিক স্টাইলের
যদি ইন্টেরিয়র পুরোপুরি জিওমেট্রিক স্টাইলের হয় তাহলে সিঁড়িতেও তার একটা আঁচ রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিড়ি তৈরিতে অ্যালুমিনিয়াম অথবা স্বচ্ছ কাঁচ ব্যবহার করতে পারেন।
যদি ইন্টেরিয়র পুরোপুরি জিওমেট্রিক স্টাইলের হয় তাহলে সিঁড়িতেও তার একটা আঁচ রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিড়ি তৈরিতে অ্যালুমিনিয়াম অথবা স্বচ্ছ কাঁচ ব্যবহার করতে পারেন।
সিঁড়ির হাতলের স্টাইল
সিঁড়ির হাতলে কিছুটা ভিন্নতা আনতে স্টেইনলেস স্টিলের ফ্রেম অথবা রাফ কাঠ ব্যবহার করতে পারেন। অন্দরের সিঁড়িগুলোতে হাতলটা একটু হালকা গড়নে তৈরি করুন। তবে যদি বাড়িতে বাচ্চা-কাচ্চা খুব বেশী ছোট না থাকে তাহলে হাতল ছাড়াই ছেড়েদিন সিঁড়িটাকে। তবে এক্ষেত্রে একটা দেয়ালকে সাপোর্ট হিসাবে রাখতে পারেন। দেখতে মন্দ লাগবে না।
যদি পুরো সিঁড়িটা সিমেন্টে তৈরি করতে হয় তাহলে সিমেন্টের তাক দিয়ে তৈরি করুন সিঁড়ির তাকগুলো। খেয়াল রাখুন তাকগুলোর মাঝে যেনো ফাঁকা জায়গা থাকে।
পুরানো বাড়ি ঘরে অনেক সময় সিঁড়ি খারাপ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সিঁড়িগুলি টালি দিয়ে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারেন। এতে আপনার পুরানো চেহারা একেবারে পাল্টে যাবে। আর ঘরও নতুন এর মতো দেখাবে।
ঘরের এই সিঁড়িকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজাতে ইন্টেরিয়রের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আনুন। এতে করে আপনার সিঁড়িটা আর একটু প্রাধান্য পাবে।
প্রথমেই এর জন্য সিঁড়ির পাশের দেয়ালটাতে একটু পরিবর্তন আনুন। দেয়ালটা একটু রাফ হতে পারে। এর জন্য রাফ টাইলস ব্যবহার করতে পারেন বা পাথর ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঠের কোনো পরত দিয়েও তৈরি করতে পারেন এমন একটা দেয়াল।
তাছাড়া আপনি যদি আপনার ঘরের চেহারাটা ভালো ভাবেই বদলাতে চাইছেন তাহলে পুরনো দেয়ালটা ভেঙে ফেলুন। কাঁচের ব্লক দিয়ে তৈরি করুন নতুন দেয়াল। এতে করে আলোর যোগাযোগটা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি দেয়ালটাও ভিন্নতা পাবে।
দেয়াল সাজাতে ব্যবহার করুন বড় কোনো পেইন্টিং। অথবা ছোট ছোট ৩-৪টা পেইন্টিং ব্যবহারও করতে পারেন।
সিঁড়ির চারপাশের লাইটিং এর প্রতি একটু মনোযোগ দিতে পারেন। ফুট ল্যাম্প এর ব্যবহার করুন। সিঁড়ির আলোকসজ্জাটা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজাতে উপযোগী অনেক ধরনের লাইট এখন সব দোকানেই পাওয়া যায়। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঝুলে থাকবে এমন কিছু লাইটও আপনি লাগাতে পারেন। এছাড়া সিঁড়ির উপর থেকে স্পট লাইট সাজিয়ে তৈরি করুন আলো ছায়ার ছায়াপথ। পাশাপাশি সিঁড়িতে রাখতে পারেন কোন পাতা বাহার গাছ বা ফুলের টব।
ঘর ছোট হলে সিঁড়িটা এমন করে তৈরি করুন যেনো এর বাইরের অংশটা ব্যবহার করা যায়। সিঁড়ির পাশ ঘেষে একটা ছোট্ট বসার জায়গা সাজাতে পারেন। অথবা সিঁড়ির নিচের অংশে সাজাতো পারেন ছোট একটা ডাইনিং। আবার ছোট একটা বই এর তাকও সাজিয়ে নিতে পারেন সিঁড়ির নীচে। আমি অন্য আরেকটা পোস্টে উল্লেখ করবো কি কি ভাবে আমরা সিঁড়ির নীচের জায়গাটুকু ব্যবহার করতে পারি।
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
প্রথমেই এর জন্য সিঁড়ির পাশের দেয়ালটাতে একটু পরিবর্তন আনুন। দেয়ালটা একটু রাফ হতে পারে। এর জন্য রাফ টাইলস ব্যবহার করতে পারেন বা পাথর ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঠের কোনো পরত দিয়েও তৈরি করতে পারেন এমন একটা দেয়াল।
দেয়াল সাজাতে ব্যবহার করুন বড় কোনো পেইন্টিং। অথবা ছোট ছোট ৩-৪টা পেইন্টিং ব্যবহারও করতে পারেন।