Latest in Tanni


More

More

Posted on : Sunday, June 30, 2013 [0] comments Label: , Life & style

ডায়েটে রাখুন লেটুস পাতা

by : Ami Tanni
3922green_lettuce
লেটুস পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। এ ছাড়াও লেটুস পুষ্টিকর সালাদ জাতীয় সবজি, কাজেই সুষম খাদ্যের জন্য এটা বেশ প্রয়োজনীয়। আপনি জানেন কি, নিরীহ চেহারার এই পাতাটির রয়েছে কত অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা? শুধু স্বাস্থ্যের নয়, লেটুস উপকার করে নানান রকম চিকিৎসায় ও রূপচর্চাতেও। আসুন, জেনে নিই গুণের পাতা লেটুসের ১৫ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ব্যবহার।
১) আঁশযুক্ত খাবার দেহের জন্য উপকারী। এটি হজমও হয় দ্রুত। লেটুস একটি আঁশযুক্ত সবজি। এতে অতি অল্প পরিমাণ কোলেস্টরেল রয়েছে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
২) কিডনির সমস্যার জন্য যেসব রোগীদের প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় তাদের জন্য লেটুসপাতা ভীষণ উপকারী। এই পাতার সোডিয়াম ভিটামিন ‘বি’ ওয়ান, ‘বি’ টু, ‘বি’ থ্রি শরীরের যেকোনো অঙ্গে  জল জমে যাওয়া রোধ করে।
৩) লেটুসপাতাতে রয়েছে ৯৫.৫ গ্রাম জল। এই জল রক্তের লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেতকণিকা, অনুচক্রিকা ও অন্যান্য উপাদানকে সুস্থ-সবল রাখে। এতে জলের পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য মোটা ব্যক্তিদের চর্বি ও ওজন কমায়।
৪) কিছু লেটুসের জাত রয়েছে যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। বিপাকক্রিয়ায় এর ভূমিকা অপরিহার্য। তা ছাড়া এই পুষ্টি উপাদানকে বলা হয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ভিটামিন ‘এ’-এর অন্যান্য গুণের কথা সবাই জানেন।
৫) ত্বকের কোথাও কেটে বা ছিঁড়ে গেলে এই পাতাকে থেঁতলে ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা ভালো হয়।
৬) গর্ভবতী মায়েরা কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে।
৭) সব ধরনের সবুজ পাতার সবজিতে কিছু না কিছু আয়রন রয়েছে। নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায়, সে সময় আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে পছন্দমতো উপায়ে লেটুস ব্যবহার করুন।
৮) যারা লেটুসপাতা নিয়মিত খান তাদের পেট ভার হয়ে থাকা, গ্যাস হওয়া, ক্ষুধা না লাগা, অ্যাসিডিটি—এই সমস্যাগুলো দূর হয়। বার্ধক্য আসে দেরিতে, ত্বকে বলিরেখাও পড়ে দেরিতে।
৯) খুব অল্প পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন পেতে লেটুস একটি উপায় হতে পারে। প্রোটিন দেহের পেশি গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। তাই সালাদে শিমের বীচির সঙ্গে লেটুস ব্যবহার করলে প্রচুর প্রোটিন পাবেন।
১০) চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যায় (যেমন—চোখ ওঠা) এক বা দুই লিটার জলে সামান্য লেটুসপাতা (৫০ গ্রাম) প্রায় ছয় মিনিট ফুটিয়ে সেই জলে চোখ ধুলে চোখ ওঠা দ্রুত ভালো হয়। চোখের অতিরিক্ত পরিশ্রমের পরও এই ফুটানো জল ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করলে চোখের ক্লান্তি দূর হয়।
১১) এই উপাদানটিও খুব বেশি থাকে না। তবুও নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে পারেন লেটুস থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশাতে পারেন।
১২) ভিটামিন ‘বি’-এর বিভিন্ন ধরন রয়েছে। এগুলো ভিন্ন ভিন্ন খাবারের উৎস থেকে আসে। বিশেষ করে মাংসে পাওয়া যায়। কিন্তু লেটুসে কয়েক ধরনের ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে। তাই লেটুস খেতে পারেন।
১৩) খুশকির বিরুদ্ধেও কাজ করে এই পাতা। অনেক শ্যাম্পুতে লেটুসপাতার গুঁড়া ব্যবহার করা হয়।
১৪) দীর্ঘ সময় রৌদ্রে থাকলে ত্বকে কালচে পোড়া ভাব হয়। লেটুসপাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।
১৫) এই উপাদানটি রক্তের জন্য উপকারী। রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। লেটুস পাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম পাওয়া যায়।

লেটুস পাতা দিয়ে বানিয়ে নিন একটি অসাধারন ফ্রুট সালাড। 


উপকরণঃ টমেটো (কাটা) ২টি, শশা কাটা ১টি, কলা কাটা ২টি, পেয়ারা ১টি, লেটুস পাতা পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, চার্ট মসলা টেবিল চামচ, লাল সবুজ কাঁচা মরিচ ২টি, লেবুর রস আড়াই টেবিল চামচ। সমস্ত উপকরণ এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই সালাড রোজ খান। আর সব সব দিক থেকে সুস্থ থাকুন।
  
take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Posted on : Sunday, June 2, 2013 [0] comments Label: Gardens & Terrace, Life & style

স্বল্প জায়গায় লেটুস পাতার চাষ

by : Ami Tanni
Lettuce


আপনার বাড়ির আঙ্গিনার এক কোণে বা টবে চাষ করতে পারেন পুষ্টিকর সালাড জাতীয় সবজি লেটুস। শাকসবজি উৎপাদনের জন্য একখণ্ড জমি না থাকলে বাসাবাড়ির ছাদে বা বারান্দায় টবে, মাটির চাড়িতে, ড্রামে বা কাঠের বাক্সে অনায়াসেই লেটুস চাষ করতে পারবেন। লেটুস পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। এ ছাড়াও লেটুস পুষ্টিকর সালাদ জাতীয় সবজি, কাজেই সুষম খাদ্যের জন্য এটা বেশ প্রয়োজনীয়। চাষপদ্ধতি সহজ ও চারা লাগানোর মাত্র এক মাসের মধ্যেই লেটুস পাতা খাওয়ার উপযোগী হয়। 

চারা রোপণের সময় ও প্রাপ্তিস্থান 

 ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি পর্যন্ত অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বীজ থেকে চারা তৈরি করে রোপণ করতে হবে। বিভিন্ন নার্সারি থেকে ১০ টাকার পলিব্যাগে একটি চারা অথবা ৩০০ টাকায় এক হাজার বীজ কিনতে পারবেন।

মাটি তৈরি 

মাটি অবশ্যই উর্বর, হালকা এবং ঝুরঝুরে হতে হবে। জল শুকিয়ে গেলে টবের মাটি যেন ফেটে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিমাণমতো মাটি ও গোবর অথবা রাসায়নিক সার মিশিয়ে ভালোভাবে ড্রেসিং করতে হবে। টবের মাটি ঝুরঝুরা রাখতে হলে সমপরিমাণে দো-আঁশ মাটি ও জৈবসার একসাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এঁটেল মাটিতে জৈবসারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রতি টবের মাটিতে চা চামচের চার চামচ টিএসপি সার ও পাঁচ-ছয় দিন আগে ভেজানো ১১৬ গ্রাম পরিমাণ সরিষার খৈল মেশানো যেতে পারে। 

বীজ বপন

 মাটি নরম থাকা অবস্থায় বীজগুলো ছিটিয়ে নিয়মিত জল দিন। চারার চার-পাঁচটি পাতা গজালে টবে লাগানোর উপযুক্ত হবে। পড়ন্ত বিকেলে চারা লাগাতে হয়। চারা রোপণের সময় চারার গোড়ার মাটি খুবই হালকাভাবে চেপে দিতে হয়, যাতে চারার নরম শিকড় চাপে ছিঁড়ে না যায়। চারা লাগানোর পর তিন থেকে চার দিন ঢাকনা দিয়ে চারাকে রোদবৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে হবে ও সকাল-বিকেল চারার গোড়ায় জল দিতে হবে। 

রোগবালাই 

লেটুসের পাতায় কখনো কখনো ‘ছাতা’ রোগ দেখা দিতে পারে। এ রোগ দেখা দিলে গাছের পাতা নুইয়ে পড়ে এবং পাতার অগ্রভাগ পুড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত গাছ অবশ্যই ধ্বংস করে ফেলতে হবে। তবে বীজ ও মাটি শোধন করে এ রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়াও লেটুস পাতায় জাবপোকার ভয়ঙ্কর আক্রমণ দেখা যায়। জাবপোকা গাছের পাতার রস চুষে খেয়ে ফেলে। পোকার সংখ্যা কম হলে হাত দিয়ে ধরে মেরে ফেলতে পারেন। আক্রমণ ভয়াবহ হলে কীটনাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ওষুধ ছিটানোর ৭-১০ দিনের মধ্য লেটুস পাতা খাওয়া উচিত নয়। গোড়া পচা, আগা পোড়া দেখা দিলে গাছ তুলে ফেলতে হবে। 

পরিচর্যা

মাটিতে রস না থাকলে সেচ দেয়া জরুরি। আবার জল জমে থাকলে সাথে সাথে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। চারা পাতলা করে রোপণ করলে ফলন ভালো হয়। টবে চারা লাগানোর পরপরই অনেক সময় দেখা যায় চড়াই, শালিক, বাবুই ইত্যাদি ছোট ছোট পাখি চারার কচি পাতা ও ডগা খেয়ে ফেলে, অনেক ক্ষেত্রে চারা উপড়ে ফেলে। সে ক্ষেত্রে দু-চারটা ছিদ্রবিশিষ্ট পাতলা পলিথিন কাগজ বা লোহার নেট দিয়ে আলতোভাবে টবটি ঢেকে রাখতে পারেন।
কিভাবে টব তৈরি করবেন নীচে ছবির মাধ্যমে দেখানো হল।



Newer Posts Older Posts Home
Follow Tanni's board Beauty and Lifestyle of Tanni on Pinterest.