আমার ব্যালকনি বাগানের প্রথম যে গাছটি লাগিয়েছিলাম সেটি ছিল অ্যালোভেরা গাছ। বাজারের কেনা অ্যালোভেরা জেল আমি ব্যবহার করি না। তাই যখনই অ্যালোভেরা জেলের দরকার হয় আমি আমার গাছ থেকে নিয়ে জেল তৈরি করে ব্যবহার করি। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের দেখাবো কি করে আমি ঘরে অ্যালোভেরা জেল তৈরি করি।
অ্যালোভেরা জেল তৈরি করতে যা করতে হবে
হাতের কাছে যে জিনিসগুলি চাই
১/ ছুড়ি
২/ কাঁচের পাত্র
৩/ প্লাস্টিকের ছুড়ি
৪/ চামচ
৫/ মিক্সি
৬/ সামান্য জল
প্রথমেই আপনার টবে বা বাগানে লাগানো অ্যালোভেরা গাছটি থেকে একটি পুষ্ট অ্যালোভেরা ছুড়ি দিয়ে কেটে নিন। ব্যবহারের আগে ছুড়িটি অবশ্যই আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
অ্যালোভেরার যে অংশটি কেটে আনলেন সেই অংশটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি পরিষ্কার ছুড়ি দিয়ে অ্যালোভেরাটি মাঝ বরাবর কেটে নিন(এ ক্ষেত্রে আমি প্লাস্টিকের ছুড়ি ব্যবহার করি)। অথবা যে অংশটিতে কাঁটা লাগানো রয়েছে আপনি সে দিকটিও লম্বা করে কাটতে পারে। আমি আবার ঐ দিকটা কাঁটি না, কাঁটার খোঁচা যদি লাগে, সেই ভয়ে।
যাই হোক, এবার দুটি অংশকে বিভক্ত করে নিন। দেখবেন থকথকে আঠার মতো স্বচ্ছ শাঁস। এই শাঁসকেই বলা হয় জেল। আর এই জেলটাই আপনাকে বের করতে হবে। যে ছুড়িটা দিয়ে অ্যালোভেরাটি কাটলেন অথবা কোন চামচ দিয়ে ঐ অংশটি টেনে বার করুন। এবার বের করে আনা জেলটি একটি কাঁচের পাত্রে রাখুন। পাত্রটি ফ্রিজে রেখে দিন। যখন প্রয়োজন পরবে ব্যবহার করুন।
এই অবস্থায় জেলটি একটু শক্ত মতো থাকে। আপনি চাইলে একে একটু লিকুইড ফর্মে রাখতে পারেন। তার জন্য আপনাকে যা করতে হবে, মিক্সিতে এই জেলটি নিন। এতে সামান্য পরিষ্কার জল দিন, চাইলে এর সঙ্গে গোপালজলও মেশাতে পারেন। এবার ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এই লিকুইড ফর্মেও ফ্রিজে রাখলে অনেক দিন ভালো থাকবে।
অ্যালোভেরার এই নির্যাসের সঙ্গে মধু মেশান এবং রোদে পোড়া ত্বকে নিয়মিত লাগান। দেখবেন জাদুর মতো কাজ করছে। চুলেও লাগাতে পারেন অ্যালোভেরার এই নির্যাস। এতে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়।খুশকি কমাতেও এটি সহায়ক। অনেকে আবার হজমের বা পেটের বিভিন্ন সমস্যার জন্য অ্যালোভেরার রস পান করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে আমি বলবো কোন এক্সপার্টের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।