Latest in Tanni


More

More

Posted on : Wednesday, January 30, 2013 [0] comments Label: Beauty & Care, ,

দিনের শেষে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যত্ন

by : Ami Tanni
মৌলিক কিছু পরিচর্যা আছে, যা প্রতিদিনই মেয়েদের এমন কি ছেলেদেরও করা উচিত।  রোজ রাতে একটু নিজের পরিচর্যা করে ঘুমালে জীবনভর সুস্থ-সুন্দর থাকা খুবই স্বাভাবিক। আর সকালে উঠে নিজেকেও দেখতে খুব ফ্রেশ ফ্রেশও লাগে। ত্বক তো ভালো থাকবেই সঙ্গে সঙ্গে মনও। তাহলে একবার দেখ নেই ঘুমোতে যাবার আগে কি করা উচিৎ।
প্রথমে আসি ত্বকের যত্নে 
মুখ ধুয়ে নিন আপনার ত্বকের সঙ্গে খাপ খায় এমন কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে। স্পর্শকাতর ত্বক হলে ব্যবহার করতে পারেন ভেষজ ফেসওয়াশ। যাদের  শুষ্ক ত্বক তাঁরা  ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, নয়তো  স্রেফ ২-৩ ফোঁটা যেকোনো বেবি অয়েল মেখে নিন। অলিভ তেল হলে তো খুবই ভালো হয়। আর যাদের তৈলাক্ত ত্বক ? তাদের কোন  কিছু ব্যবহার না করাই উচিত। 
মাঝেসাঝে রাতে ফেসপ্যাকও লাগাতে পারেন। এই যেমন যাদের শুষ্ক ত্বক তাঁরা ১ চা চামচ দুধের সরের সঙ্গে লেবুর রস ও একটু বেসন মিশিয়ে লাগাতে পারেন। আর যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাঁরা শুধু অ্যালভেরা জেল লাগাতে পারেন। বা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং ওটমিল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানান। লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। ত্বক তৈলাক্ত  আবার ব্রণের সমস্যা আছে তাহলে সিম্পল, গোলাপ জল দিয়ে চন্দন বেঁটে মুখে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। 


এবার আসি চোখের যত্নে
চোখে খুব ভালো করে জলের ঝাপ্টা দিয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চোখ মুছে নিন। চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে ঘুমানোর আগে কুরানো শসা বা আলু ঠান্ডা হলে ভালো বা ঠান্ডা টি-ব্যাগ চোখের ওপর দিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। তাছার বাজারে অনেক ধরনের আন্ডার আই ক্রিম পাওয়া যায়। চাইলে টাও ব্যবহার করতে পারেন।
হাত ও পায়ের যত্ন
সারা দিনের দখল কিন্তু  হাত ও পায়ের উপর দিয়েই যায়। তাই রাতে হাত ও পায়ের প্রতি একটু বেশি নজর দিলেই ভালো। অবশ্যই রাতে বিছানাতে যাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ও পা ধুয়ে নিয়ে হবে। তারপর লাগিয়ে নিন লোশন বা অলিভ তেল। এছাড়া চেষ্টা করুন যেন সপ্তাহে অন্তন একবার  পেডিকিওর ও মেনিকিওর করা যায়। নয় তো একটি সহজ পদ্ধতি বলে দিচ্ছি। আধা বলতি কুসুম গরম জলে ১ চামচ অলিভ অয়েল, সামান্য একটু নুন, এক চামচ কোন ভালো শ্যাম্পু, মিশিয়ে সেই জলে পা ডুবিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা জলে পা ধুয়ে নিন। তবে তার আগে সামান্য নুন নিয়ে পায়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন।  পা ধুয়ে লোশন লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। ঠিক এই কাজটি হাতের জন্যও করুন।
চুলের যত্ন
চুল যাঁদের বড় , তাঁরা বেণী করে নিন ঘুমানোর আগে। তাতে চুল  ঘষা খাবে না। ছোট চুল হলে খোলা রেখে শুলেও অসুবিধা নেই। পরের দিন শ্যাম্পু করার প্ল্যান থাকলে তেল ম্যাসাজ করে শুতে পারেন। তবে ত্বক  তৈলাক্ত হলে এই ভুলটি কখন করবেন না। বালিশের ডাকাটি যেন নরম থাকে সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
ঠোঁটের যত্ন
মাঝে মাঝে লেবুর রস ও মধু দিয়ে স্ক্রাব করে নিতে পারেন।  অথবা মধু অলিভ তেল এবং চিনি দিয়েও স্ক্রাব করতে পারেন। তাছাড়া প্রতি রাতে ভ্যাসলিন বা মধু লাগিয়ে শুয়ে পরুন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
রাতে  ঘুমোতে যাবার ২ ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে নিন। রাতে যতটা সম্ভব কম খাবার খান। আর ঘুমানোর আগে একগ্লাস জল খেয়ে নিন। 
take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন
Posted on : Wednesday, January 9, 2013 [0] comments Label: Beauty & Care,

ত্বকের যত্নে বেসনের ৮ টি ব্যবহার

by : Ami Tanni
- ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন এন্টি পিম্পল বেসন মাস্ক। ২ চা চামচ বেসন, ২ চা চামচ স্যানডালউড পাউডার, এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- ঘাড় এবং আন্ডারআর্মের কালো দাগ নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয় অনেককেই। এসব জায়গার কালো দাগ দূর করতে বেসনের একটি প্যাক খুব কার্যকর। বেসন, টক দই এবং কাঁচা হলুদ পরিমাণ মতো নিয়ে ঘাড়ে এবং আন্ডারআর্মের কালো জায়গায় লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ বার ব্যবহার করুন।

- মুখের কালচে ভাব দূর করতে ৪ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে শুকান পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকালে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক কে নরম এবং উজ্জ্বল করে। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ৪-৫ বার ব্যবহার করুন।

- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে লেবু এবং বেসনের ফেইস প্যাক খুব কার্যকর। ৪ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ কাঁচা দুধ ভালো মতো মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে সারকুলার মোশনে স্ক্রাবের মতো মাখুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

- যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ৩ চা চামচ বেসন এর সাথে ২ চা চামচ কাঁচা দুধ অথবা ২ চা চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমানোর সাথে সাথে ত্বকের ময়লা দূর করে।

- মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে বেসন। মেথি গুঁড়ো এবং বেসনের সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখের যেসব জায়গায় লোম রয়েছে সেখানে এই মিশ্রণটি লাগান। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এই ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করুন।

- ব্রণের কালো দাগ দূর করতে বেসনের সাথে শশা এবং লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যাবে।

- চেহারায় মুহূর্তের মধ্যে উজ্জ্বলতা আনতে ২ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ শুকনো কমলার খোসার গুঁড়ো এবং আধা চা চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। লাগানোর সময় মুখে হালকা ভাবে সারকুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং মসৃণ করে।
                                   take care
Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Posted on : Tuesday, January 8, 2013 [0] comments Label: Beauty & Care, , ,

চুলে কন্ডিশনার কি জরুরি ?

by : Ami Tanni

ক্যামিকাল বেস প্রোডাক্ট আমরা যত কম ব্যবহার করতে পারি ততই ভালো l প্রথমত, শ্যাম্পু করার কথাই যদি বলেন তাহলে বলবো যে রোজ শ্যাম্পু না করাই ভালো। যাদের প্রতি দিন বাইরে যেতে হয় তার না হয় এক দিন অন্তর অন্তর করুন। খুব ভালো হয় যদি অন্ততপক্ষে ঘরে বানানো শ্যাম্পু সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করা যায়। বাকি দিন অন্য কোন হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করলেন। 

এবার আসি কন্ডিশনারের কথায়। আসলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগানো টা তখনি জরুরি যদি আপনার চুল খুব বেশি মাত্রায় রুক্ষ হয় আর যদি মনে করছেন আপনার চুল তৈলাক্ত তবে সপ্তাহে ২ দিন কন্ডিশনার লাগলেই যথেষ্ট প্রতিদিন কন্ডিশনার লাগানোর পরিবর্তে আপনি যদি শ্যাম্পু করার আগের রাত্রে বা ঘণ্টা দুই এক আগে হট অয়েল মাসাজের করতে পারেন তাহলে কন্ডিশনার ব্যবহার না করলেও চলবে l আবার এও করতে পারেন, হট অয়েল মাসাজের পর চুলে মধু লাগিয়ে নিলেন।

এছাড়া কন্ডিশনারের বদলে আপনি চায়ের লিকারও ব্যবহার করতে পারেন l চায়ের লিকার কিন্তু খুব ভালো প্রাকৃতিক কন্ডিশনার l ১ কাপ জলে ২ চামচ চা-পাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন তারপর ঠান্ডা হলে আপনার চুলের লেংথ অনুযায়ী জল মিশিয়ে শ্যাম্পু করার পর সেই জল চুল ধুয়ে নিলেন। এতে যেমন চুলের সাইন আসবে তেমনি চুল সিল্কিও হবে।

আর আপনার চুল যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে চা এর লিকারের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন,তাহলে extra অয়েলটা কন্ট্রোল হবে l চায়ের লিকার একই সাথে আপনার চুলকে কন্ডিশনিং করবে আবার একটা সান-সাইন কালার ইফেক্টও দেবে l

ক্যামিকেল কন্ডিশনার রোজ রোজ ব্যবহার না করে ট্রাই করুন ঘরে তৈরি কন্ডিশনার ব্যবহার করার। এতে আপনার চুলের কোয়ালিটি যেমন ভালো থাকবে, তেমনি চুলের নানান সমস্যা নিয়ে ঝামেলাও পোহাতে হবে না।
Posted on : Wednesday, January 2, 2013 [0] comments Label: Beauty & Care,

৩ টি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুশকি দূর করুন

by : Ami Tanni


মাথার  তৈলাক্ততায় দরুন ধুলোবালির এসে ত্বকে জমা হয়। আর এর থেকেই খুশকির উপদ্রব দেখা দেয়। তবে এটাই কিন্তু একমাত্র কারন নয়। খুশকি হওয়ার পেছনে আরও নানা কারন আছে। সে নিয়ে অন্য দিন আলোচনা করবো। যাই হোক, খুশকি থেকে মুক্তি পেতে আমরা নামিদামী অনেক শ্যাম্পু ও অন্যান্য চুলের প্রসাধন ব্যবহার করি। কিছুটা উপদ্রব কমলেও সব সময়ের জন্য কিন্তু এর হাত থেকে রেহাই মেলে না। তাছাড়া খুশকির শ্যাম্পুগুলির  মধ্যে এতো বেশি রাসায়নিক জিনিস থাকে, যার প্রভাবে চুলও হয়ে যায় রুক্ষ। কিন্তু তাই বলে তো আর হাতগুঁটিয়ে বসে থাকা যায় না। এই খুশকি দূর করতে বাজারের সামগ্রী  ব্যবহার না করে সব থেকে ভালো উপায় হল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ের উপর নির্ভর করা। যা আমাদের প্রত্যেকেরই ঘরে আছে। আজকের পোস্টে আমি তেমনি তিনটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে চুলকে খুশকি মুক্ত করার উপায় বলে দিচ্ছি। আশা করি  কাজে আসবে। 

তেলের ব্যবহারে দূর করুন খুশকি

অনেকেই অবাক হতে পারেন তেল ব্যবহার করার কথা শুনে। কারন সবাই জানেন তেল চিটচিটে থাকলে চুলে খুশকির উপদ্রব আরও বেড়ে যায়। কিন্তু এটা ভুলবেন না যে মাথার ত্বক একেবারে শুষ্ক হয়ে গেলেও খুশকি দেখা দেয়। তেল ব্যবহার করবেন কিন্তু বেশি সময় চুলে তেল রাখবেন না। তেল আপনার মাথার ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচায় ও খুশকি মুক্ত করে। যাদের ঠাণ্ডা লাগার ধাত আছে বা ব্রণের সমস্যা আছে তাঁরা বেশিক্ষণ তেল লাগিয়ে রাখবেন না।

পদ্ধতিঃ
চুলকে খুশকি মুক্ত রাখতে চাইলে আপনার লাগবে দু ধরণের তেল। জলপাই তেল (অলিভ অয়েল) এবং বাদামের তেল (আলমন্ড অয়েল) একসাথে মিশিয়ে নেবেন। চাইলে বোতলে একসাথে জলপাই তেল এবং বাদামের তেল মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন। দুই তেলের এই মিশ্রণটি চুলে খুব ভালো ভাবে লাগাবেন। বিশেষ করে চুলের গোড়ায়, মাথার ত্বকে। আরেকটা কথা তেল লাগানোর আগে একটু গরম করে নিতে ভুলবেন না। তেল লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের মতো। পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন যতদিন না চুল থেকে খুশকি দূর হচ্ছে। বিশেষ টিপ্পনী – তেলে সামান্য কর্পূর মিশিয়ে নিলে আরও ভালো উপকার পাবেন।


ডিম ও লেবুর রসের ব্যবহার

খুশকির উপদ্রব দূর করতে খুবই কার্যকরী ও সহজ একটি পদ্ধতি হচ্ছে লেবুর রসের ব্যবহার। লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূর করে। এবং ডিমের প্রোটিন চুলকে ভেতর থেকে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল করে ও পুনরায় খুশকির আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

পদ্ধতিঃ
প্রথমে একটি বাটিতে চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী ১ টি বা ২ টি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ফেটিয়ে নিন। পরে এর মধ্যে একটি গোটা লেবুর রস চিপে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন এই পদ্ধতিতে অবশ্যই তাজা লেবু ব্যবহার করতে হবে। এরপর মিশ্রণটি ভালো ভাবে পুরো চুলে লাগিয়ে নেবেন। মাথার ত্বকে ভালো করে লাগাবেন। ১৫ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি ও মৃদু কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে খুশকির হাত থেকে রেহাই পাবেন।


নিম পাতার ঔষুধি গুণ

নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। যা মাথার ত্বক থেকে শুধুমাত্র খুশকিই দূর করে না সাথে মাথা ত্বকের ফুসকুড়ি ও অন্যান্য রোগ থেকেও মুক্তি দেয়। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুল খুশকিমুক্ত ও সুন্দর থাকবে।

পদ্ধতিঃ
সাধারণত যারা অল্প ও সাময়িক খুশকির সমস্যায় ভুগছেন তারা ১০-১৫ টি নিম পাতা ৫/৬ কাপ ফুটন্ত গরম জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হবে সহজেই। আর যারা দীর্ঘসময় ধরে এই খুশকির উপদ্রব সহ্য করে যাচ্ছেন, তারা প্রথমে নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। এরপর ৩০ মিনিট মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। এই নিম পাতা বাটা নিয়ম করে মাথার ত্বকে লাগাবেন প্রতিদিন। এতে করে কয়েকদিনের মাঝেই দীর্ঘস্থায়ী খুশকির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।

 take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Posted on : Tuesday, January 1, 2013 [0] comments Label:

৩ টি সহজ ঘরে তৈরি মাস্ক

by : Ami Tanni


তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হলুদ ও বেসনের মাস্ক

এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার সময়ে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। এর সাথে তেলতেলে ভাবের জন্য ত্বক কালোও হওয়া শুরু করে দেয়। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন এই ফেস মাস্কটি।

উপকরণঃ ৪ টেবিল চামচ বেসন, অর্ধেক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো/ বাটা, সামান্য দুধ ও দুধের সর।

পদ্ধতিঃ প্রথমে বেসন ও হলুদ গুঁড়ো বা বাটা নিয়ে একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এতে অল্প অল্প করে দুধ ঢালুন। পেস্টের মতো তৈরি হয়ে গেলে দুধ ঢালা বন্ধ করে এতে সামান্য দুধের সর বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। ত্বকে মাস্কটি একেবারে শুকিয়ে যেতে দেবেন না। মুখ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে অন্তত ১ দিন এই মাস্কটি লাগাবেন।

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য মধু ও লেবুর মাস্ক

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের সমস্যা হলো ত্বকের উপরিভাগ খুব অল্পতেই ফেটে যায়। এবং উপরের চামড়া ভালো করে স্ক্রাব না করলে কালচে ভাব দেখা যায়। চিন্তা নেই, সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।

উপকরণঃ ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ

পদ্ধতিঃ প্রথমে গুঁড়ো দুধ ও মধু একসাথে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নেবেন। এরপর এতে তাজা লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মাস্কটি চোখের আশেপাশে ছাড়া পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ১০-২৫ মিনিট পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে শুকিয়ে নিন। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে এর জুড়ি নেই।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বেসন, লেবু ও হলুদের মাস্ক

স্বাভাবিক ত্বকে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার প্রভাব খুব খারাপ ভাবে পরে থাকে। হয় ত্বক খুব তৈলাক্ত হওয়া শুরু করে অথবা একেবারে রুক্ষ হয়ে যেতে থাকে। ত্বকটাকে ঠিক রাখার জন্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।

উপকরণঃ ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও সামান্য গোলাপ জল।
পদ্ধতিঃ বেসন ও হলুদ গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে এতে অল্প করে গোলাপজল দিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরপর এতে দিন তাজা লেবুর রস। খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান মাস্কটি। ১৫ মিনিট রেখে মুখ খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ত্বকের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।                              
 take care


Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Newer Posts Home
Follow Tanni's board Beauty and Lifestyle of Tanni on Pinterest.