by : Ami Tanni
আজকে আমি যে রেসিপি টি আপনাদের সঙ্গে সেয়ার করবো সেটি বানানো খুব সহজ এবং চুলের জন্য অবশ্যই লাভদায়ি। মেয়নিজ!
মেয়নিজ বানাতে কি কি লাগবে
১ টা ডিম
তেল
লেবুর রস ৫ চামচ
মেয়নিজ বানানোর পদ্ধতি
মেয়নিজ বানাতে আমি ৫ চামচ করে তিন রকমের তেল ব্যবহার করেছি যেমন, নারকেল তেল, অলিভ তেল, এবং আমন্ড তেল। আপনারা চাইলে শুধু নারকেল তেল, অলিভ তেল, বা আমন্ড তেল ব্যবহার করতে পারেন। বা যে কোন দুটিও ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমেই আমি আমার তিন রকমের তেল একটি বাতিতে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। এবার এতে ডিম যোগ করে একটি মিক্সিতে রেখে খুব ভালো করে ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এই মিশ্রণটিতে লেবুর রস যোগ করে আবার ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য ব্লেন্ড করতে হবে। ব্যস তৈরি! এবার একটি চুলে ব্যবহার করুন।
মেয়নিজের জন্য আমি ১ টি ডিম ব্যবহার করেছি, আপনারা চাইলে দুটি ডিম ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে ভিনিগার ব্যবহার করেন। তবে আমি ভিনিগার ছাড়াই মেয়নিজ পছন্দ করি। মেয়নিজ বিভিন্ন ধরনের হেয়ার মাস্ক বানাবার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই রকমই কিছু হেয়ার মাস্ক আমি মেয়নিজ পর্বে আপনাদের সঙ্গে সেয়ার করবো।
কেমন লাগলো জানাবেন। আর এটি বানাতে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই জানতে চাইবেন।
আর পড়ুন মেয়নেজ লাগানোর পদ্ধতি
আর পড়ুন মেয়নেজ লাগানোর পদ্ধতি
by : Ami Tanni
পরিষ্কার,সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অতি আবশ্যিক কিছু স্টেপ অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন। যেমন
আমাদের ত্বক একটি স্বাভাবিক নিয়ম হল যে ত্বকের মৃত কোষগুলি নিজে থেকেই ঝরে যায় এবং নতুন কোষের প্রতিস্থাপন হয়। একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায়। কখনও কখনও পুরানো মৃত কোষ সরে যাওয়ার পরেও ত্বকের উপরের স্তরটি অমসৃন দেখায়। ত্বকের উজ্জ্বল্য ও তারুন্যকে ফিরে পাওয়ার জন্য অমসৃন ত্বকে অপসারণ করা প্রয়োজন হয়।
পরিষ্কার,সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অতি আবশ্যিক কিছু স্টেপ অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন। যেমন
স্টেপ ১, ক্লিনজিং
স্টেপ ২, স্ক্রাবিং
স্টেপ ৩, টোনিং এবং
স্টেপ ৪, ময়শ্চারাইজিং
আপনি যদি দীপ্ত সুন্দর ত্বকের অভিলাষী, তাহলে তো অবশ্যই এই চারটি স্টেপ অনুসরণ করুন। আপনি নিশ্চই সুন্দর ত্বকের অধিকারী হতে পারবেন।
সুন্দর ত্বকের গোপন চাবিকাঠি কিন্তু লুকিয়ে থাকে স্ক্রাবিং এর মধ্যে। এটি সহজেই ত্বকের মৃত কোষ অপসারণের সাহায্য করে।
বাজারে চলতি বিভিন্ন ধরনের ও দামের স্ক্রাবার পাওয়া যায়। কোনটাই খারাপ নয়। তবে ঘরে তৈরি যে কোন জিনিসের গুণই আলাদা। বারতি খরচ না করে, ঘরে রাখা সামগ্রির দিয়েই তৈরি করা যায় কিছু অত্যন্ত কার্যকর এবং সহজ স্ক্রাবার।
মুখের মৃত কোষগুলিকে দূর করতে স্ক্রাবার সপ্তাহে দুইবার বা তিনবার ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের পুনর্যৌবন এবং রক্তসংবহন বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল ও তরতাজা।
ঘরোয়া স্ক্রাবার তেরির পদ্ধতি
মধু দিয়ে তৈরি স্ক্রাবার : একটি বাটি মধ্যে লেবুর রস ১/২ চা চামচের সঙ্গে মধু ১ চামচ মেশান। ঠাণ্ডা জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এবার ৫ মিনিটের জন্য মিশ্রণটি আপনার মুখে ঘষুন এবং ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ও পরে একটা পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মিখ শুকিয়ে নিন। এটি মলিন ত্বকের জন্য একটি আদর্শ স্ক্রাবার। আবার মধুর সঙ্গে ব্রাউন সুগার মিশিয়েও স্ক্রাবার তৈরি করতে পারেন। ব্রাউন সুগার এর পরিবর্তে সাধারন চিনিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অলিভ তেল ও সামুদ্রিক লবণ দিয়ে তৈরি স্ক্রাবার : একটি ছোট পাত্রের মধ্যে ১/২ চা চামচের মতো সামুদ্রিক লবণ সঙ্গে ১ চা চামচ মেশান অলিভ তেল মেশান। ৫ মিনিটের জন্য আপনার মুখে মিশ্রণটি ঘষুন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল? আয়নাতে নিজেই দেখুন না! অসাধারণ! আপনি নিজেই দেখতে পাবেন আপনার মুখের উজ্জ্বলতা অলিভ তেল আপনার ত্বককে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
শসা দিয়ে তৈরি স্ক্রাবার : একটি মাঝারি আকারের শশার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং এতে বাদাম তেল ১ চামচ ও ১ চা চামচ গমের বীজ অল্প গুঁড়ো করে মেশান। ৫ মিনিটের জন্য এই পেস্টটি দিয়ে আপনি স্ক্রাবিং করুন। জল দিয়ে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। তফাৎটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
পেঁপে দিয়ে তৈরি স্ক্রাবার : এক টুকরা পেঁপের সঙ্গে ১/২ চা চামচের ব্রাউন সুগার মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং কয়েক মিনিটের জন্য আপনার মুখে ঘষুন। এই স্ক্রাবারটি আপনাকে তাজা অনুভূতি করাবে।
ব্যাস,আর কি! দেরী না করে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন আপনার যে কোন একটি মন পসন্দ স্ক্রাবার। চমক দিয়ে দিন কাছের মানুষটিকে।
by : Ami Tanni
শীতে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে পরে। তাই শীতে ত্বকের একটু বেশি যত্ন প্রয়োজন। তবে শুধুমাত্র বাজারচলতি ময়শ্চারাইজ়ারের উপর নির্ভর না করে, শীতের নানারকম ফলের দিকেও কিন্তু একটু নজর রাখতে পারি। কারণ, শীতের বাজারে নানা রঙের ফল আর সব্জির পসরা। এই মরসুমি ফলের কিন্তু আরও একটা সিক্রেট আছে, খুব সহজেই এই ফল দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় দুর্দান্ত সব ফেসপ্যাক। সেরকমই কয়েকটা হিট টিপ্স রইল আপনাদের জন্য।
স্ক্রাবিং, ক্লেনজ়িং ও টোনিং-এ কমলালেবু
স্ক্রাবিং, ক্লেনজ়িং ও টোনিং-এ কমলালেবু
কমলালেবু ছাড়া শীতকাল যেন ভাবাই যায় না। আর শীতে ত্বকের যত্ন নিতেও কমলালেবু একদম সুপারহিট। উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে প্রথমেই, কমলালেবুর খোসা কয়েকদিন ধরে রোদে শুকিয়ে নিন। সারা বছরই কিন্তু কমলালেবুর শুকনো খোসা ব্যবহার করা যায়। এবার এই শুকনো খোসা ভালভাবে গুঁড়ো করে ফেলতে হবে। এই গুঁড়ো দুধ অথবা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটা নিয়ে সারা মুখে, গলায় এবং ঘাড়ে লাগিয়ে ক্লকওয়াইজ় স্ক্রাব করুন। এতে মৃতকোষের সমস্যা সহজেই দূর হবে এবং মিশ্রণটি স্ক্রাবিংয়ের পাশাপাশি ক্লেনজ়িংয়ের কাজও করে। এরপর একটা বাটিতে চার-পাঁচটা কমলালেবুর কোয়া রস করে নিন। একটা তুলোয় ভিজিয়ে সেই রস হালকা হাতে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। নিজেই নিজের তফাত বুঝতে পারবেন।
অ্যাপল ফেস মাস্ক
অ্যাপল ফেস মাস্ক
একটা ছোট আপেল নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এর সঙ্গে একচামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বক হলে মধুর পরিমাণ হবে হাফচামচ। এবার আলতো করে সারা মুখে, গলায় এবং ঘাড়ে মিশ্রণটি ভাল করে লাগান। ১০মিনিট প্যাক লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই আপেল ফেসমাস্ক ত্বকের জন্য খুব উপকারী। কারণ, এর অন্তর্গত অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ত্বক আর্দ্র এবং নরম রাখে।
বেদানার জাদু
বেদানার রসও ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। শুষ্কতা দূর তো করেই, পাশাপাশি কালো দাগ, স্কিন পোরস এবং ফাইন লাইনসের সমস্যাতেও খুব ভাল কাজ দেয়। তাই উজ্জ্বল আর কোমল ত্বক পেতে একমুঠো বেদানার দানা বেটে নিয়ে এর সঙ্গে চার-পাঁচটি আমন্ড বাটা অথবা দেড়চামচ আমন্ড পাউডার এবং দু’চামচ মিল্ক পাউডার নিয়ে ভালভাবে মেশান। মিশ্রণ বেশি শুকনো মনে হলে, এক চামচ দুধ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এবার মিশ্রণটি নিয়ে নীচ থেকে উপরে সার্কুলারভাবে সারা মুখে লাগান। অল্প শুকিয়ে এলে প্রথমে দুধ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর জল দিয়ে হালকাভাবে মুখ ধুয়ে নিন। সব হয়ে গেলে নরম টাওয়েল দিয়ে আস্তে-আস্তে মুখ মুছে ফেলুন। আপনার ত্বক উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে। সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে এই প্যাকের তুলনা হয় না।
শুধু ফ্রুটপ্যাক লাগালেই কিন্তু চলবে না, শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে ফল ও জলও খেতে হবে।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
by : Ami Tanni
এছাড়া কাঁচা দুধ ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটা প্যাক বানাতে পারেন। ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে এই প্যাক মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এর ফলে ত্বকের ট্যান চলে যায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
সামান্য অ্যালোভেরা জেল নিয়ে হাতে ভাল করে ঘষে নিন৷ এতে ত্বক যেমন ভাল থাকবে তেমনই সান ট্যান থেকে রেহাই মিলবে৷ টানা দুই থেকে তিন মাস এটি ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ এছাড়াও এলার্জী, সংক্রমণ বা পোকা কামড়ালেও এই জেল ব্যবহার করে যেতে পারে৷
পাকা পেপে চটকে পেস্ট তৈরি করের ত্বকের উপর মাস্কের মতো করে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিন৷ এতে ট্যান যেমন দূর হবে তেমনই আপনার ত্বক অনেক বেশি ফর্সা দেখাবে৷ দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত এটি করলে উপকার পাবেন৷
সামান্য গোলাপজলে শশার রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন৷ এবার মিশ্রণটিকে দিনে একবার করে ত্বকে লাগান, তফাৎ নিজের চোখেই দেখতে পারেব৷
আমরা প্রায় প্রতিদিনই কোনও-না-কোনও কাজে বাইরে বেরই, এবং মুখে, হাতে, পায়ে নানা রকম ক্রিমও মাখি। কিন্তু বাইরের এই প্রচন্ড রোদের চোখরাঙানিতে ত্বকের তো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। মানে ত্বক পুড়ে হয়ে যায় তামাটে। আর এই তামাটে ট্যান পরা ত্বকে কোনও ফ্যাশনই যেন ভাল লাগে না! যেভাবেই সাজি না কেন কিছুই যেন মানায় না। কিন্তু এই ট্যান পরা ত্বকের থেকে মুক্তি পাব কী করে! ট্যান হয়ে যাওয়া ত্বকের সমস্যার সমাধান পেতে রইল কিছু ঘরোয়া টিপ্স।
এক কাপ কাঁচা দুধের সঙ্গে এক চামচ চন্দনগুঁড়ো মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মুখে, গলায় এবং ট্যান পরা অংশে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। প্যাক শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতিটি ত্বকের জন্য খুব ভাল কারণ এটি যেমন ট্যান দূর করে, তেমনই ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতেও সাহায্য করে।
কচি ডাবের জল ত্বকের জন্য খুব ভাল এবং ট্যান দূর করতেও সাহায্য করে। এর জন্য প্রতিদিন জল দিয়ে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে টাটকা ডাবের জল পুরো মুখে, গলায় ও হাতের ট্যান পরা অংশে লাগিয়ে নেবেন। কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নেবেন। এই পদ্ধতিটি প্রতিদিন করলে কিছুদিনের মধ্যেই আবার ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।
এছাড়া কাঁচা দুধ ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটা প্যাক বানাতে পারেন। ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে এই প্যাক মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এর ফলে ত্বকের ট্যান চলে যায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
সামান্য অ্যালোভেরা জেল নিয়ে হাতে ভাল করে ঘষে নিন৷ এতে ত্বক যেমন ভাল থাকবে তেমনই সান ট্যান থেকে রেহাই মিলবে৷ টানা দুই থেকে তিন মাস এটি ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ এছাড়াও এলার্জী, সংক্রমণ বা পোকা কামড়ালেও এই জেল ব্যবহার করে যেতে পারে৷
পাকা পেপে চটকে পেস্ট তৈরি করের ত্বকের উপর মাস্কের মতো করে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিন৷ এতে ট্যান যেমন দূর হবে তেমনই আপনার ত্বক অনেক বেশি ফর্সা দেখাবে৷ দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত এটি করলে উপকার পাবেন৷
সামান্য গোলাপজলে শশার রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন৷ এবার মিশ্রণটিকে দিনে একবার করে ত্বকে লাগান, তফাৎ নিজের চোখেই দেখতে পারেব৷
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Follow Tanni's board Beauty and Lifestyle of Tanni on Pinterest.