by : Ami Tanni
হাতে সময়ের অভাব বলে আমরা রেডিমেট ফেসপ্যাক ব্যবহার করি। রেডিমেট ফেসপ্যাক থেকে তো তাৎক্ষনিক ফল পাওয়াই যায়। তবে আপনার যদি মনে হয়, যে কোন ভালো ব্র্যান্ড এর ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন,তাও অনেক সময় সম্ভব হয় না অতিরিক্ত দামের জন্য। মতটাও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু নো টেনশন। আজ এমন কিছু চটজলদি ফেস প্যাক বলবো যা বাজার চলতি ফেস প্যাক থেকে কম নয়। আপনাকে মিনিটে সুন্দরী করে তুলবে।
উজ্জ্বল রাখতে মধুর জুড়ি নেই। তাই মধু দিয়েও ঝটপট কতগুলো ফেসপ্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়। এক চা-চামচ মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ গোলাপ মিশিয়ে ভাল করে মুখে ও ঘাড়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। গোলাপজলের বদলে পাতিলেবুর রস বা দইও ব্যবহার করতে পারেন।
একটা পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগিয়ে নিন, চাইলে মধু মেশাতে পারেন। তারপর মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলতে পার। বাড়িতে পাকা পেঁপে না থাকলে, আঙুর, স্ট্রবেরি বা অ্যাভোকাডোও একইভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
বাড়িতে গাজর থাকলে, সামান্য পেস্ট করে নিয়ে তার সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়েও লাগানো যেতে পারে।
সমান পরিমাণ আলু ও লেবু রস মেশান এবং আপনার শরীরের যে অংশ উন্মুক্ত তার উপর প্রয়োগ করুন১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
দুধ তিন চামচ, লেবুর রস এক চামচ, অল্প হলুদ গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখের ওপর প্রয়োগ করুন এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
দুধের উপর থেকে তার সর তুলে নিয়ে মুখে ঘষুন। দুধের সরই ক্লেনজ়ারের কাজ করে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দুধের সরের সঙ্গে আমন্ড অয়েলও মেশাতে পারেন। তবে তৈলাক্ত ত্বক হলে আমন্ড তেল ব্যবহার করবেন না।
নারকেল মিক্সিতে গ্রাইন্ড করে তার যে সাদা দুধটা বের করে,সেটা মুখে মাখতে পারেন। মিনিট তিনেক পর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা গাছ যদি বাড়িতে থাকে, তবে সেটা সামান্য কাটলে যে আঠার মতো পদার্থ বেরোয় সেটাকে বলে অ্যালোভেরা জেল। সেই জেল মুখে লাগালেও ফেসপ্যাকের কাজ করে। তবে ত্বক যদি সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর হয়, তবে এই জেল ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে হাতের উপর সামান্য বা কানের পাশে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
by : Ami Tanni
২. চুলে বাদামি রং কি ভাবে আসবে –
সমস্যা আমাদের জীবনে সকলেরই কম বেশি আছে। আর ত্বক, চুল নিয়ে সমস্যা? সে তো বলেই লাভ নেই। কেউই আমরা এব্যাপারে একেবারেই নিখুঁত নই। এই যেমন ধরুন চুলের কথাই আসি। কত সমস্যা। এরকমই একটি সমস্যা হল আকাল পক্কতা। তবে আজ আমরা এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছি না। কিভাবে পাকা চুলকে কালার করা যায় তা জানবো। না না রাসায়নিক রং ব্যবহার করে নয়, স্বাভাবিক রং দিয়ে কিভাবে পাকা চুলে দারুন কালার করা যায় তাই বলবো।
১. চুলে কালো রং কি ভাবে আসবে –
প্রথমেই জেনে নেই কি কি জিনিস আমাদের লাগবে ২ টো আমলকী, ২ কি ৩ চামচ চা পাতা, ২০০ গ্রাম মেহেন্দি বা হেনা পাউডার, ১ লিটার জল আর একটি ছোট লোহার পাত্র বা কড়াই।
পদ্ধতি
আমলকী ২ টো থেঁতো করে, ২ কি ৩ চামচ চা পাতা সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার থেঁতো করা আমলকী ও চা পাতা একটি লোহার পাত্রের মধ্যে রেখে পুড়িয়ে নিতে হবে। এরপর এতে ১ লিটার জল দিয়ে ফোটান যতক্ষণ না ১/২ লিটার হয়। অল্প গরম থাকতে থাকতে ২০০ গ্রাম মেহেন্দি বা হেনা পাউডার ঘন করে মিশিয়ে নিন। এবার ভালো করে সমস্ত মাথায় ও চুলে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মাসে তিন বার করে দেখুন ভাল ফল পাবেন।
২. চুলে বাদামি রং কি ভাবে আসবে –
যে যে জিনিস আমাদের লাগবে ৪ থেকে ৫ বড় টুকরো করে নিয়ে আখরোটের ছাল, ১ কাপ জল,২০০ গ্রাম মেহেন্দি বা হেনা পাউডা, আর একটি ছোট লোহার পাত্র বা কড়াই।
পদ্ধতি
আখরোটের ছাল ১ কাপ জলে ফুটিয়ে ১/২ কাপের আনতে হবে। এর মধ্যে মেহেন্দি বা হেনা পাউডা মিশিয়ে সারা রাত একটি লোহার পাত্রে রেখে দিতে হবে। পরের দিন মিশ্রনটি মাথায় ও চুলে লাগিয়ে ৩ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর স্বাভাবিক জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তখনই শ্যাম্পু করার কোন প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে ১দিন করতে পারেন।
৩. চুলে লালচে-কালো রং কি ভাবে আসবে –
এর জন্য যে যে জিনিস আমাদের চাই ১৫০ গ্রাম মেহেন্দি বা হেনা পাউডা, চায়ের লিকার, কফি পাউডার ও কোকো পাউডার।
পদ্ধতি
মেহেন্দি বা হেনা পাউডা, চায়ের লিকার, কফি পাউডার ও কোকো পাউডার এক সঙ্গে মিশিয়ে ঘন লেই তেরি করে মিশ্রণটি ৩ ঘণ্টার জন্য মাথায় লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তখনই শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই।
টিপস : হেনা করার পরে যদি চুলে রুক্ষ ভাব আসে, তবে ব্রাহ্মী আমলা তেল একটু গরম করে হালকা ভাবে চুলে লাগিয়ে নিন। চুলের রুক্ষতা দূর হবে এবং চুলে চকচকে ভাব আসবে। চুলে রংও আর ভালো ভাবে বসবে।
আপনি আপনার মতামত Facebook এও দিতে পারেন।
আপনি আপনার মতামত Facebook এও দিতে পারেন।
by : Ami Tanni
আচ্ছা ধরুন কোন কাজের জন্য আপনি বাইরে গেলেন কিন্তু ব্যাগ নিলেন না,এরকম কি কখন হয়েছে ? আশা করি না। ভুল করে যদি হয়েও থাকে তখন আবার বাড়ি ফিরে ব্যাগ নিয়ে গেছেন তাই তো। আমার সঙ্গে এমন বহু বার হয়েছে। স্টাইল ফ্যাশন যাই বলুন ব্যাগ কিন্তু খুব দরকারি। অফিস বা কোন কাজে বাইরে যাবার সময় যাবতীয় জরুরী জিনিসপত্র যে ঐ ছোট্ট সুন্দর ব্যাগটির মধ্যে দারুন ভাবে নিজের যায়গা করে নিতে পারে। তাছাড়া সুদৃশ্য ব্যাগ নারীকে যে আরও সুন্দর করে তোলে। আজ আসাধারন কতগুলি হলুদ ব্যাগের কালেকশন আপনাদের কাছে তুলে ধরা হল।
Posted on : Tuesday, March 11, 2014 [0] comments Label: Beauty & Care, Diy Beauty Product, hair, Mayonnaise
চুলের যত্নে মেয়নেজ
অনেকেই হয় তো জানেন চুলের যত্নে মেয়নেজর ব্যবহার। বাড়ি ঘরে এর প্রয়োগও করে থাকেন। তবুও মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, বিশেষ করে যারা এই কথাটি প্রথম শুনেছেন, যে সত্যি কি মেয়নেজ চুলের জন্য লাভদায়ি ? আমি কিন্তু এক বাক্যে বলবো , হ্যাঁ ।
দুঃখজনক বিষয় কোন মানুষের সঙ্গে রূপচর্চা বিষয় নিয়ে কথা বললে, বেশির ভাগ সমস্যা থাকে চুল সংক্রান্ত। কিন্তু কেন এই সমস্যা ? আজ আমি সেই সমস্যার কারন খুঁজবো না। সেটা না হয় অন্য কোন পোস্টে লিখবো। তবে চুলের যে সমস্যা বেশি দেখা যায় তা হলো চুলের damage গত সমস্যা । আর এটা একটা চুল ঝরার কারনও বটে।
আজকাল বাজারে চুলের জন্য বিভিন্ন রকমের স্টাইলিশ প্রডাক্ট রয়েছে। হেয়ার কলার, নানান ধরনের শ্যাম্পু , হেয়ার স্প্রে, তাছাড়া, চুল স্ট্রেট করবার পদ্ধতি ইত্যাদি। এগুলির ব্যবহার এক দিকে যেমন আমাদের আজ জীবনশৈলীর অংশ তেমনি এর ব্যবহার মানে গাদাগাদা রাসায়নিক প্রডাক্ট চুলে প্রয়োগ। এক্ষেত্রে আমাদের সব সময়ই ওয়াকিবহাল থাকতে হবে যে , যাই ব্যবহার করি না কেন পাশাপাশি চুলের আলাদা যত্ন নিয়মিত করে যেতে হবে।
Hair Treatment এর জন্য এখন অনেক পার্লার বা স্যালন রয়েছে । যেখানে অনেক আধুনিক পদ্ধতিতে চুলের চিকিত্সা করা হয়। কিন্তু সেই চিকিৎসা অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার সময় সাপেক্ষও হতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ এমন কিছু করা যা ব্যালেন্স থাকে। আর এই ক্ষেত্রে মেয়নেজ হচ্ছে একটি উত্তম Hair Treatment Recipeহবে পারে। মেয়নেজ দিয়ে চুলে যত্ন আক্ষরিক অর্থে অনেক কম খরচে হয় আর জাদুর মতো কাজ করে।
মেয়নেজ লাগানোর পদ্ধতি-
১। আপনার স্থানীয় মুদি দোকান বা কোন departmental store থেকে কেনা মেয়নেজও চুলে ব্যবহার করতে পারেন। কোন ব্র্যান্ড এর মেয়নেজ ব্যবহার করবেন সেটা আপনার পছন্দ। তবে রেগুলার মেয়নেজটা কেনাই ভালো। চর্বি যুক্ত মেয়নেজ কিনেও কোন আসুবিধা নেই। কারন এটি আপনি চুলের জন্য ব্যবহার করবেন খাবার জন্য হলে অবশ্যই না।
২। প্রথমে হালকা গরম জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন।
৩। চুল সামান্য ড্রাই করে কন্ডিশনার যে ভাবে লাগান সেই রকম করে চুলের গোঁড়া থেকে আগা অব্দি ভালো করে লাগিয়ে নিন। কতটা পরিমাণে লাগাবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার চুলের দৈর্ঘ্য এর উপর।
৪। এবার plastic bag or shower cap দিয়ে মাথা মুড়ে রাখুন।
৫।অন্তত ২০-৩০ মিনিটের জন্য এটি চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে।
৬। মেয়নেজ ধুয়ে ফেলার জন্য কোন মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। খুব ধীরে ধীরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ও স্কাল্প মাসাজ করে ধুয়ে নিন।
বাজার থেকে কিনে আনা মেয়নেজের সঙ্গে চাইলে, আপনি বাদাম তেল, ভিনেগার, জলপাই তেল, আভাকাডো, বা ডিমের মতো অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যোগ করতে পারেন। বিশেষভাবে বাদাম তেল ও ভিনেগারের যোগ উকুন থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।
মেয়নেজ চুলের জীবনীশক্তির পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।এটি আপনার চুলকে করে উজ্জ্বল । মেয়নেজ একটি কার্যকর হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। চুলের দীপ্তি ফিরিয়ে এনে চুলের মধ্যে যোগ করে একটা আলাদা চমক। মেয়নেজ বিশেষ করে শুষ্ক এবং মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য খুব লাভদায়ি।
by : Ami Tanni
১. শীতকালের শুষ্কতা কে দূর করতে আপনি নিয়মিত লিপ বাম, অ্যালভেরা যুক্ত ভ্যাসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি, বোরলিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে বোরলিন দিনে ব্যবহার না করে রাতে ব্যবহার করাই ভালো।
যে কোন অনুষ্ঠান সে পুজো বলুন আর বিয়েই বলুন, আগে নিজের শ্রীমুখের ছিরি ফেরাতে তো আর কম দৌড়ঝাঁপ করি না। মুখের দাগছোপ তোলো, পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করা, এই ক্রিম সেই লোশন, সব মিলিয়ে কি যে ঝামেলা করতে হয়। আর এত সবের মধ্যে বেচারা ঠোঁটের কথা কেউ ভাবে না। ওমা সেকী! ঠোঁটের কথা আবার আলাদা করে বলার কী আছে? সে তো মুখের মধ্যে দিব্যি আছে। তা বললে কি আর হয়? ঠোঁটের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে তারও আলাদা পরিচর্যার প্রয়োজন আছে, সেটুকু না পেলে ঠোঁটও কিন্তু অভিমানে ‘ঠোঁট’ ফোলাবে! তাছার ঠোঁটের সব থেকে বড় শত্রু হচ্ছে শীতে। এই সময় সব থেকে বেশী বিরক্তির ব্যাপার হচ্ছে ঠোঁট ফাটা। শীতের আদ্রতার জন্য এমনটা প্রায়ই হয়ে থাকে। নিজেরাই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। যেমন:
১. শীতকালের শুষ্কতা কে দূর করতে আপনি নিয়মিত লিপ বাম, অ্যালভেরা যুক্ত ভ্যাসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি, বোরলিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে বোরলিন দিনে ব্যবহার না করে রাতে ব্যবহার করাই ভালো।
২. প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করুন। এতে শুষ্কতা দূর হবে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশন এর ফলে ডার্ক লিপ্স এর সমস্যা হতে পারে | তাই দিনে ৮ থেকে ১০ গ্ল্যাস জলপান করুন যাতে আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকে |
৩. খুব ঠান্ডা হাওয়া থেকে মুখ বাঁচাতে স্কার্ফ পরতে পারেন।
৪. ঠোঁটে প্রসাধনী যেমন—লিপস্টিক ব্যবহার করতে সতর্ক হোন। এগুলো যেন বেশি শুষ্ক বা ম্যাট না হয়।
৫. জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজাবার চেষ্টা করবেন না বা ঠোঁটের চামড়া টেনে ওঠাবেন না।
এতো গেলো আপনি শীত কালে কি করবেন না করবেন। তাছাড়া এখন তো শীত যাই যাই করছে। কিন্তু তাই বলে সারা বছর কি আর যত্ন নেব না। ঠোঁটের কিছু না কিছু যত্ন তো অবশ্যই নেওয়া দরকার। তবেই তো নরম গোলাপি ঠোঁটের অধিকারী হওয়া যাবে। ঝটপট দেখে নেই কি কি করতে হবে।
প্রথমেই আসছি কি ভাবে ঠোঁট পরিষ্কার করা যায়। খুব সিম্পল। কাঁচা দুধ আর মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার সাদা পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ভিজিয়ে ঠোটে ঘষুন। এতে ঠোঁট পরিষ্কার তো হবেই পাশাপাশি মসৃণ ও সুন্দর হবে।
এবার স্ক্রাবিং পদ্ধতি।এক চা-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ঠোঁটের জন্য ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করা যায়। এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট ধরে আলতো করে ঘষে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ঠোঁটে কোনও লিপ বাম লাগিয়ে নেওয়া। এই ঘরোয়া স্ক্রাব ঠোঁটের মরা কোষগুলোকে তুলে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করতে সাহায্য করে।
ঠোঁটে সফ্টনেস বা নরমভাব আনতে হলে পাকা পেঁপে চটকে তার সঙ্গে দুধের মাঠা মিশিয়ে একটা মিশ্রণ করতে হবে। সেটা ঠোঁটে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রলেপ ঠোঁটের পুষ্টিও জোগাবে।
শুকনো খরখরে ঠোঁট বা কালচে ভাব দূর করে গোলাপি ঠোঁট কি করে পাওয়া যাবে তা দেখে নেওয়া যাক!
১. লেমন হানি লিপ সিরাম: এই সিরাম সান ট্যান বা রোদে পোড়া কালো দাগ মেটানোর জন্য আদর্শ | সমান পরিমানে লেবু আর মধু মিশিয়ে নিন | এরপর ভালো করে এটা ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন | এক ঘন্টা রেখে তারপর নরম কোনও ভেজা কাপড় দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে তুলে দিন | দিনে যত বার পারবেন এটা ব্যবহার করুন |
২. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন : সান ট্যান ছাড়াও ড্রাই লিপ্স এরজন্যও ঠোঁটে পিগমেন্টেশন হতে পারে | রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে ভালো করে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন | এর ফলে হারানো ময়শ্চার ফিরে পাবেন আর দেখবেন ধীরে ধীরে ঠোঁট আবার ন্যাচারাল কালার ফিরে পাবে | ঠোঁটে যদি কালো স্পট থাকে তাহলে তার জন্যেও এই পদ্ধতি খুব ভালো |
৩. বিট রস লাগান : ঠোঁটে এক টুকরো বিট নিয়ে হাল্কা করে ম্যাসাজ করুন | বিটের রসে ট্যান দূর হবে আর কিছুদিনের মধ্যেই আপনি গোলাপি ঠোঁটের এর অধিকারিণী হবেন |
৪. শসার রস: শসার রস খুব ভালো কালো দাগ মেটাবার জন্য | রোজ যদি নিয়ম করে ঠোঁটে শসার রস লাগান তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন ঠোঁটের কালো ভাব অনেকটাই কমে গেছে | এছাড়া নারকেল তেল লাগালেও কিছু দিনের মধ্যেই টুকটুকে লাল ঠোঁট পাবেন |
সস্তা বা কম দামি লিপ প্রোডাক্ট একদমই ব্যবহার করবেন না । এতে অনেক সময় ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে | তাই লোকাল কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো | হার্বাল লিপ বাম ব্যবহার করুন | বা দামি কোন কোম্পানির ফ্রুট বাম ব্যবহার করতে পারেন বা অন্য কোন নামী প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।| ঠোঁটের বিষয়ে কোন পাঙ্গা না নেওয়াই ভালো।
স্পেশ্যাল টিপ্স
প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে যে ফাইনাল কাজ থাকে সেগুলো সারতে সারতে ঠোঁটে মধু লাগিয়ে রাখুন। লাইট নেভাবার আগে ঠোঁট ধুয়ে নিন। এটা নিয়মিত করুন ঠোঁট খুব ভাল থাকবে।
প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে যে ফাইনাল কাজ থাকে সেগুলো সারতে সারতে ঠোঁটে মধু লাগিয়ে রাখুন। লাইট নেভাবার আগে ঠোঁট ধুয়ে নিন। এটা নিয়মিত করুন ঠোঁট খুব ভাল থাকবে।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
Posted on : [0] comments Label: Beauty & Care, Diy beauty care, Skin
ঘরোয়া প্যাকে উজ্জ্বল ত্বক
লম্বা চুল , পরিষ্কার ত্বক এবং উজ্জ্বল রং- যে কোন তন্বী নারীর স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য ভালই কসরত করতে হয়। আজ উজ্জ্বল রং এর জন্য তন্বীদের কিছু দারুন সব ঘরোয়া বিউটি টিপসের কথা বলবো। তবে তার আগে একটা কথা বলতেই হয়। যতই আমরা ফেস প্যাক লাগাই বা পার্লারে যাই, এতে তো কিছু হলেও ফল পাওয়া যায়। কিন্তু এই ফলটাকে দীর্ঘ দিন ধরে রাখতে গেলে আমাদের নিজেদের কিছু অভ্যাস পাল্টাতে হবে। ডায়েট মেনে খাবার খাওয়া, রাতে ঠিক সময় ঘুমোতে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
অতিরিক্ত পরিশ্রমের ছাপ আমাদের ত্বকের ওপর পরে। ফলে অনেক সময় ত্বক নির্জীব ও কালো দেখায়। তাই আমাদের ত্বকের নিয়মিত যত্ন প্রয়োজন। ত্বকে উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখতে আমরা কতগুলি অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারি। যেমন-
১. প্রতিদিন ৮ গ্লাস জল খাবার অভ্যাস তৈরি করুন।
২. ভালো ঘুম ত্বকের জন্য খুব প্রয়োজন। তাই রাতে দেরী করে না ঘুমিয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পরুন।
৩. প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরি করুন।
৪. ত্বকের যত্ন করার জন্য একটি রুটিন অনুসরণ করুন।
৫. এছাড়া নিয়মিত ত্বকের স্ক্রাবিং করুন। এতে আপনার ত্বকের মৃত কোষ ঝরে যাবে এবং ত্বক দেখাবে উজ্জ্বল। স্ক্রাবার হিসেবে ওটমিল ব্যবহার করতে পারেন। এছারাও বাজারে অনেক অপশন আছে!
৬. প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে আপনার মেকআপ মুছে ফেলতে ভুলবেন না কিন্তু।
৭. আপনার খাদ্যের ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নেবেন। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আপনার ত্বকের একটি প্রাকৃতিক আভাস আনতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি ট্যাবলেট হিসাবেও আপনি আপনার লাঞ্চের পরে প্রতি দিন একটা করে নিতে পারেন।
ফেয়ার স্কিন জন্য ঘরোয়া বিউটি টিপস:
সুতরাং, এখন প্রশ্ন হলো কি করে আমরা উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারি? প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু ঘরোয়া বিউটি টিপস আছে যা আমাদের ত্বকের রং কে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
১. চায়ের জল এবং মধু্র মুখে প্যাক :
কি কি লাগবে- ১ কাপ ঠাণ্ডা চা এর জল, চালের ময়দা ২ চামচ, ১/২ চামচ মধু
চালের ময়দা খুব ভাল স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে এবং মধু ত্বকে মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি:
উপরোক্ত উপকরণগুলি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং ত্বকে প্রয়োগ করুন। মাস্কটি প্রায় ২০ মিনিট বা তার বেশী সময় পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রখুন। যতক্ষণ না প্যাকটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে আসে। প্যাকটি শুকিয়ে এলে জল দিয়ে পরিষ্কার করার আগে, একবার মুখের ত্বক ম্যাসেজ করে নিন। এতে মৃত চামড়া সরে যাবে এবং চামড়া টানটান দেখাবে। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২. ওটস এবং লেবুর প্যাক :
কি কি লাগবে- ১ চামচ ওটস (গরম করে গুঁড়ো করে নিন) ও ১ চামচ লেবুর রস। যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয় তাহলে আপনি জল সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
পদ্ধতি:
উপরোক্ত উপকরণ দিয়ে একটি মিশ্রন বানিয়ে মুখের লাগান। ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩ . হলুদ এবং লেবুর প্যাক :
কি কি লাগবে- আটা, হলুদ, লেবু রস, ও দুধ
পদ্ধতি:
সমস্ত উপকরণ ১ চামচ করে মেশান এবং মুখের ওপর সমানভাবে লাগান।
৫ মিনিটের জন্য প্যাকটি মুখে আলতো করে স্ক্রাবিং করুন এবং পরে ২০ মিনিটের জন্য শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
৪. হলুদ ও টমেটো প্যাক :
কি কি লাগবে- হলুদ ও তাজা টমেটো থেঁতো করা জুস
পদ্ধতি:
টমেটো জু্সের সঙ্গে হলুদ মিক্স করে মিশ্রণটি আপনার মুখের প্রয়োগ করুন এবং এটি শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাকটি ঘরে তৈরি করা খুব সহজ এবং এর ফলও খুব ভালো পাওয়া যায়। তাই নারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় প্যাক। আপনি ইচ্ছে করলে শুধু টমেটো থেঁতো করেও ত্বক ম্যাসেজ করতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। তফাৎ আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
৫ . হলুদ দিয়ে প্যাক :
হলুদ দিয়ে ফেস প্যাক একটি সব সময় জনপ্রিয়! বিবাহ আগে প্রত্যেকটি নারীকে হলুদ মাখানো হয়। গাঁয়ে হলুদ অনুষ্ঠান ভারতীয় সমাজের একটি গুরুতবপুর্ন রীতি। হবেই না কেন? নারী যে হলুদ মেখে আরও রূপসী হয়ে ওঠে।
হলুদ দিয়ে প্যাক বানাতে আপনার যা যা লাগবে- ময়দা ( স্ক্রাবার ), হলুদ এক চিম্টি ( ত্বকে উজ্জ্বল করতে )ও দুধ (মশ্চারাইজার )
পদ্ধতি:
ময়দা, হলুদ এক চিম্টি ও দুধ এক সঙ্গে মেশান এবং প্যাকটি ৫ মিনিটের জন্য আপনার মুখে আলতো করে স্ক্রাব করুন এবং 20 মিনিটের জন্য রেখে দিন। শুকিয়ে এলে জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
৭ . দই এবং শুকনো কমলালেবুর খোসার প্যাক:
কি কি চাই- শুকনো কমলালেবুর খোসা এবং টাটকা দই
ফল খাওয়া র পরে ঐ কমলার খোসা না ফেলে খোসা ড্রাই করে রাখুন।
পদ্ধতি:
১ চামচ কমলার খোসার গুঁড়োর সঙ্গে ১ চামচ দই মিশিয়ে, প্যাকটি ১৫-২০ মিনিটের জন্য আপনার মুখে প্রয়োগ করুন শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
৮. দই এবং লেবুর প্যাক :
যা যা লাগবে- টাটকা দই এবং লেবুর রস
পদ্ধতি:
১ চামচ দই এর সঙ্গে ১ চা চামচ লেবুর রস ভাল করে মেশান। মিশ্রনটি ১৫-২০ মিনিটের জন্য আপনার মুখে প্রয়োগ করুন শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
এটি আপনার ত্বকের শুধুমাত্র উজ্জ্বলই করবে না এ আপনার ত্বকে যদি ব্রণ চিহ্ন বা কোন কাল দাগ থাকে তা কমাতে সাহায্য করবে।
৯. দুধ , লেবুর রস ও মধুর প্যাক :
কি কি চাই- দুধ, লেবু রস,ও মধু
পদ্ধতি:
১ কাপ দুধ বা দুধের গুঁড়াও ব্যবহার করতে পারেন এর সঙ্গে মধু ও লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ১৫-২০ মিনিট মিখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
এই ভাবে আপনি পেঁপে ও মুলতানি মাটির প্যাক যা গ্রীষ্মের জন্য আদর্শ, তাছাড়া আলুর রস, আলুর টুকরা বা পেস্ট দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন,লেবু বা কমলা রস কাঁচা দুধ সঙ্গে মিশিয়ে মুখে, শরীরের খোলা অংশে ব্যবহার করুন এতে কালো দাগ সহজেই দূর হবে।
আমাদের দেশে ঐতিহ্যবাহী একটি প্যাক হল বেসন, হলুদ এবং দই এর মিশ্রণ। হলুদ ত্বককে উজ্জ্বলতা দেয় এবং কাল দাগ সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। দই অত্যধিক রোদে পোড়া দাগ মুছে ফেলে, এবং, বেসন আপনার ত্বকের পরিশোধক হিসেবে কাজ করে। সপ্তাহে তিন দিন প্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন। আপনার থেকে কেউ চোখ সরাতে পারবেনা।
Follow Tanni's board Beauty and Lifestyle of Tanni on Pinterest.