by : Ami Tanni
বডি পলিশিং হল যে পদ্ধতিতে আপনি আপনার ত্বক নরম ও মসৃণ করতে পারেন। এটি ত্বকে স্ক্রাবিং, ময়শ্চারাইজিং করার একটি প্রক্রিয়া। বাজারে আজকাল বিভিন্ন ধরনের বডি পলিশিং প্রডাক্ট পাওয়া যায়। এমন কি স্পা তে গিয়েও আপনি বডি পলিশিং করিয়ে আসতে পারেন। তবে এটা অনেক বেশি সময় এবং খরচ সাপেক্ষ। তাই সব থেকে ভালো উপায় হল ঘরোয়া পদ্ধতিতে বডি পলিশিং করা। আজ আমি এ রকমই কিছু কার্যকর বডি পলিশিং রেসিপি সেয়ার করবো যা সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায়।
বডি পলিশিং হল যে পদ্ধতিতে আপনি আপনার ত্বক নরম ও মসৃণ করতে পারেন। এটি ত্বকে স্ক্রাবিং, ময়শ্চারাইজিং করার একটি প্রক্রিয়া। বাজারে আজকাল বিভিন্ন ধরনের বডি পলিশিং প্রডাক্ট পাওয়া যায়। এমন কি স্পা তে গিয়েও আপনি বডি পলিশিং করিয়ে আসতে পারেন। তবে এটা অনেক বেশি সময় এবং খরচ সাপেক্ষ। তাই সব থেকে ভালো উপায় হল ঘরোয়া পদ্ধতিতে বডি পলিশিং করা। আজ আমি এ রকমই কিছু কার্যকর বডি পলিশিং রেসিপি সেয়ার করবো যা সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায়।
১। ফ্রেশ স্ট্রবেরি বডি স্ক্রাব - স্যালোর রিফ্রেশিং স্ট্রবেরি স্ক্রাব বাড়িতে বসে উপভোগ করতে হলে প্রথমে এক কাপ ফ্রেশ স্ট্রবেরি মিক্সিতে পেস্ট করুন (খুব মিহি করে পেস্ট করা চলবেনা,দানা ভাবটা যেন বজায় থাকে)।তারপর তাতে দু চা-চামচ চিনি আর তিন থেকে চার চামচ অ্যালমন্ড অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিন।এরপর সারা শরীরে তা ১০ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন সার্কুলার মোশনে। বিশেষ করে শরীরের যেই অংশে ট্যানিংটা বেশি হয়েছে সেসব জায়গায় স্ক্রাবিং করুন ভাল মতন।সপ্তাহে একদিন করে এভাবে বডি পলিশিং করতে পারলে কালচে ছোপ উঠে স্কিন টোন অনেকটা উজ্জ্বল হবে।
২। লেমন-স্যুগার বডি স্ক্রাব - স্পাএর তরতাজা অনুভূতি, সঙ্গে ফর্সা ত্বক বাড়িতে বসেই পেতে হলে চট করে বানিয়ে ফেলুন এই বডি পলিশার। চার চামচ হোয়াইট স্যুগারের সঙ্গে একটি গোটা পাতিলেবুর রস,দু চা চামচ শসার রস,চার-পাঁচ চামচ অলিভ অয়েল আর এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন ভাল করে। এরপর একই ভাবে হাল্কা হাতে আপনার সারা শরীর পলিশ করুন মিনিট দশেক ধরে।
৩। গ্রিন টি বডি স্ক্রাবঃ শরীর – মনের ক্লান্তি দূষণ অবসাদ কাটিয়ে উঠে নিমেশে ফ্রেশ হয়ে যান গ্রিন টি বডি পলিশার দিয়ে।তার জন্য প্রথমে ৩ চামচ শুখনো গ্রিন টির সঙ্গে দু চামচ মধু,দু-তিন ফোঁটা টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল,আর দু চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে বডিতে ঘষুন আলতো হাতে।
৪। বানানা-কোকোনাট-ওটমিল নারিশিং স্ক্রাব - ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয় তাহলে এই বডি পলিশার দিয়ে ১০ মিনিট ধরে পুরো বডিটাকে ভাল ভাবে স্ক্রাবিং করুন। ত্বকের ধুলো ময়লা সব পরিস্কার হয়ে স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় থাকবে।এর জন্য যেসব ঘরোয়া উপকরণ প্রয়োজন তা হল, ২ টো পাকা চটকানো কলা,তিন থেকে চার চামচ নারকেল তেল,চার চামচ ওটস,এক চামচ হোয়াইট বা ব্রাউন স্যুগার আর এক চামচ মধু।এই অনন্য মিশ্রণ যে কেবল বডি পলিশ করে তাই নয় ত্বকের এসেনশিয়াল অয়েলও নষ্ট হয়ে স্কিন ড্রাই হয়ওয়ার থেকে ত্বক কে রক্ষা করে।
৫। কমলা খোসার নারিশিং স্ক্রাব – এই পদ্ধতিটি খুবই সহজ। আধা কাপ শুকনো কমলালেবুর খোসা গুঁড়া এবং চিনি ছোট কাপে ২/৩ নিন এর সঙ্গে জলপাই তেল আধা কাপ মেশান। আপনার শরীরের এবং হালকা হাতে মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পরে সামান্য গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
স্ক্রাবিং হয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ভাল ভাবে গা মুছে ফেলুন।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
by : Ami Tanni
প্রথমে আসি সরু ও পাতলা ঠোঁটে কীভাবে লিপস্টিক পরব, সেই প্রসঙ্গে। প্রথমে ঠোঁটের বাইরে একটু চওড়া করে লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ঠোঁটের রং-এর সঙ্গে লিপ লাইনারের রং-এর যেন বিরাট ফারাক না থাকে। এতে লিপ লাইন কৃত্রিম নয়, স্বাভাবিক মনে হবে। লিপ লাইনিংয়ের পর ঠোঁটে চ্যাপস্টিক স্টাইলের লিপবাম লাগাব। এর পর স্কিনটোনের সঙ্গে মানানসই রং-এর লিপস্টিক লাগিয়ে নেব। লিপস্টিকের পর লিপ গ্লসের পালা। এবং অবশ্যই তা যেন শাইনি হয়। বাকি অংশের তুলনায় ঠোঁটের মাঝখানে গাঢ় করে গ্লস লাগাতে হবে। এতে ঠোঁট ভরাট লাগে। পাতলা ঠোঁটে কখনওই খুব গাঢ় রং-এর লিপস্টিক বা লিপ লাইনার ব্যবহার করা উচিত নয়। আর লিপস্টিক ও লিপলাইনারের রং এক হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ঠোঁট যদি মোটা ও চওড়া হয়, তা হলে ঠোঁটের ভিতরের দিকে লিপ লাইনার দিয়ে আউটলাইন এঁকে নিয়ে লিপস্টিক পরব। মোটা ঠোঁটে গাঢ় রং-এর লিপস্টিক পরলে ঠোঁট ছোট ও পাতলা দেখায়। লিপস্টিক যাতে বেশিক্ষণ স্টে করে, তার জন্য প্রথমে এক কোট লাগিয়ে তার উপর টিসু চেপে রেখে আরও একবার লিপস্টিক লাগিয়ে নেব। লিপস্টিকের রং যেন অবশ্যই পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়। যদি সেই রং-এর লিপস্টিক না থাকে, তা হলে একটা ছোট্ট টোটকা বলে রাখি, প্রথমে যে কোনও রং-এর লিপস্টিক ঠোঁটে লাগিয়ে তার উপর যে রং-এর পোশাক পরব সেই রং-এর আইশ্যাডো লাগিয়ে নেব। ব্যস, আমিও পেয়ে যাব আমার মনের মতো রং-এর লিপস্টিক।
by : Ami Tanni
শীত অনেকেরই খুব প্রিয় ঋতু। তবে আমার খুব একটা ভালো লাগেনা। এর একটাই কারন এই সময় ত্বকের আর চুলের পেছনে অনেক বেশি সময় দিতে হয়। রুক্ষ এবং শুষ্ক আবাহাওয়া প্রভাব খুব বেশি ত্বকও চুলের উপরে পরে। তাই বাড়তি যত্নও নিতে হয়।
মাঝ রাতে বা সকালের দিকে আমার বেশ একটা শীতের অনুভূতি হয়। যদিও জাঁকিয়শীত পরতে এখনো অনেক সময় বাকি। তবুও মনে হল এখনই সঠিক সময় শীতের জন্য প্রস্তুতি নেবার, বিশেষ করে চুলের।একে তো চুল নিয়ে আমাদের হাজারো সমস্যাথাকে, তাই আগে থেকেই যদি এই টিপসগুলো ফলো করা যায়,তাহলে কিছুটা হলেও উপাকার পাওয়া যাবে। তাহলে চলুন ঝটপট করে দেখে নিই শীতে কীভাবে চুলের যত্ন নেবো।
শীতে চুলের তেল প্রয়োজন:
এই সময় চুলে তেল খুব প্রয়োজন। এতে চুলের আদ্রর্তা থাকবে। তাই যদি সম্ভব হয় সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তেল হালকা গরম করে মাথায় লাগাবেন।
চুল ধোওয়ার সময় সাবধান:
আমি সারা বছরই সামান্য গরম জল ব্যবহার করি। কিন্তু শীত কালে একেবারেই না। কারন শীতকালে গরম জল চুলের ময়েশ্চার শুষে নেবে।
শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে:
শীতকালে হালকা ধরনের শ্যাম্পু লাগাবেন। কারণ বেশি ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু চুলকে আরও রুক্ষ করে দেবে। অ্যান্টিফ্রিজ় শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে জট পড়বে না।
কন্ডিশনিং ভুলবে না:
সপ্তাহে যতবার শ্যাম্পু করবে, কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। তেব এই ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় ঘরে তৈরি কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
নো ড্রায়ার:
শ্যাম্পু করার পর, শীতকালে ড্রায়ার না ব্যবহার করাই ভাল। চেষ্টা করবেন চুল স্বাভাবিকভাবে শুকোতে।
সহজ কিছু টিপস
> ঠান্ডা হাওয়া দিতে শুরু করলে মাথায় টুপি পরবেন বা স্কার্ফ বাঁধবে। ঠাণ্ডা হাওয়া যেন সরাসরি চুলকে বা মাথায় না লাগে।
> চেষ্টা করবেন পুরো চুলে শ্যাম্পু না দিয়ে, শুধুমাত্র স্ক্যাল্পে শ্যাম্পু লাগাতে।
> নরম টুথব্রাশ দিয়ে চুলের গোড়ায় হেয়ার সিরাম লাগাবেন।
> ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগাবে। তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এটি মাসে ২ বার করুন।
> শীতকালে হেনা বা মেহেন্দি করবেন না।
> খুশকির সমস্যা হলে লেবু ও মধু মিশিয়ে ৪ কি ৫ দিন অন্তর অন্তর লাগান।
এছাড়াও সন্দুর চুলের জন্য যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক খাদ্যতালিকা। শীতের শাসকবজি তো আছেই। পাশাপাশি জল পান করুন প্রচুর পরিমাণে। চুলে হেয়ার স্প্রে ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। গরম ড্রায়ার, আয়রন যথাসম্ভব কম ব্যবহার করুন।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
by : Ami Tanni
উপকরণ:
অলিভ অয়েল, ডিপ কন্ডিশনার, শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক, তোয়ালে, মোটা দাঁড়ের চিরুনি ইত্যাদি
পদ্ধতি: একটা ছোট পাত্রে কিছুটা অলিভ অয়েল নিয়ে সেটা একটু গরম করে নিন। এর পর এই তেল ঠান্ডা করে ঈষদুষ্ণ হলে সেই তেল স্ক্যাল্পে ও পুরো চুলে ভাল করে লাগিয়ে আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে সার্কুলারভাবে মাসাজ করে নিতে হবে । খেয়াল রাখবেন চুলে তেল লাগানোর সময় বেশি জোরে মাসাজ করবে্ন না। এতে সহজেই চুল উঠে যায়।
এর পর একটা তোয়ালে উষ্ণ জলে ভিজিয়ে নিয়ে জল ঝড়িয়ে নেবেন। তারপর এই তোয়ালে দিয়ে পুরো চুল ভাল করে বেঁধে রাখবে্ন। এর ফলে স্ক্যাল্পে স্টিম পাবে এবং চুলের কোষগুলিও সতেজ হয়ে উঠবে।
এইভাবে কিছুক্ষণ রাখার পর আপনার চুলের ধরন অনুসারে শ্যাম্পু বাছাই করে চুল ধুয়ে নিন। এক্ষেত্রে কোনও হার্বাল শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন।
শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে নিয়ে কোনও ডিপ কন্ডিশনার শুধুমাত্র চুলের লেংথে ভাল করে লাগিয়ে নেবেন এবং একটা মোটা দাঁড়ের চিরুনি দিয়ে চুল হালকা করে আঁচড়ে নেবেন। প্রতিটি চুলে ভাল করে কন্ডিশনার লাগানো যায় এবং চুল মসৃণ হয়। কন্ডিশনার লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখার পর ভাল করে চুল ধুয়ে নিন।
হেয়ার মাস্ক: চুল ধুয়ে নেওয়ার পর হালকা করে শুকিয়ে নিয়ে চুলের ধরন অনুসারে কিছুটা হেয়ার মাস্ক নিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলে ভাল করে লাগিয়ে নেবেন। এই অবস্থায় উষ্ণ জলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে পুরো চুল বেঁধে ১৫- ২০ মিনিট রেখে ভাল করে চুল ধুয়ে নেবেন এবং ঝকঝকে মসৃণ চুল পেয়ে যাবেন।
take care
Facebook এর সঙ্গে থাকুন।
by : Ami Tanni
আজ আমার পোস্টে আমি ত্বক ও চুলের জন্য ভিটামিন ই কিভাবে উপকারি তা সেয়ার করবো। আমি জানি অনেকেই হয় তো জানেন বা পড়েছেন সৌন্দর্য বা রূপচর্চার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। অনেক ত্বক বা চুলের প্রডাক্টে ভিটামিন ই ব্যবহার করা হয়। এমন কি ঘরে তৈরি রূপচর্চার প্যাকগুলিতেও অনেকে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল সরাসরি ব্যবহার করেন। যেমনটি আমি করি। আমার স্কিন কেয়ার বা চুলের যত্নের প্রায় সব ঘরে তৈরি সামগ্রীতে আমি একটা মাত্রায় ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরের তরলটি ব্যবহার করি।
আজ আমার পোস্টে আমি ত্বক ও চুলের জন্য ভিটামিন ই কিভাবে উপকারি তা সেয়ার করবো। আমি জানি অনেকেই হয় তো জানেন বা পড়েছেন সৌন্দর্য বা রূপচর্চার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। অনেক ত্বক বা চুলের প্রডাক্টে ভিটামিন ই ব্যবহার করা হয়। এমন কি ঘরে তৈরি রূপচর্চার প্যাকগুলিতেও অনেকে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল সরাসরি ব্যবহার করেন। যেমনটি আমি করি। আমার স্কিন কেয়ার বা চুলের যত্নের প্রায় সব ঘরে তৈরি সামগ্রীতে আমি একটা মাত্রায় ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরের তরলটি ব্যবহার করি।
সৌন্দর্য চর্চায় এই আশ্চর্য উপাদানটির আরও কিছু উপকারিতা জেনে নেই।
ত্বকের জন্য ভিটামিন ই
ভিটামিন ই ত্বকে nourishes এবং মশ্চালাইজ করে।প্রতিদিনের ব্যবহার করা বডি লোশনের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বা ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করে দেখুন। অথবা যাদের চামড়া একটু রুক্ষ তাঁরা অলিভ তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে নিন। দেখবেন কিছু দিনের মধ্যে ত্বক হয়ে উঠেছে মসৃণ।
ভিটামিন ই তার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মূলক কাজের জন্য পরিচিত এবং এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহের আপনার ত্বকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ ত্বকে যে সমস্ত ক্ষতিকারক মৌল উত্পাদিত হয় তার বিরুদ্ধে লড়াই করে।এই ক্ষতিকারক মৌলগুলি সেলুলার পর্যায়ে গিয়ে ত্বকের কোষ এবং কোলাজেন তন্তু কে ক্ষতি করতে পারে। উপরোক্ত কারনে ত্বকের যে বয়সের ছাপ পড়ে তা রুখতে ভিটামিন ই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ই কোলাজেন তন্তুর পুনর্জন্ম দিতে সাহায্য করে। এই জন্যই অকালে, আপনার মুখে চিন্তার লাইন,কুঁচকানো ভাজ এবং অন্যান্য সূক্ষ্ম লাইন কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের স্বাভাবিক রং এবং বয়স দাগ দূর করতে ভিটামিন ই সাহায্য করে। রোদে পোড়া দাগ এবং চামড়ায় চুলকানোর মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। এমন কি আপনি যে কোন রকমের দাগ দূর করার জন্য ভিটামিন ই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
যদি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুলকে আপনার দৈনন্দিন ত্বক চর্চার অপরিহার্য অংশ করতে চান তাহলে আপনার দৈনন্দিন ময়েশ্চারাইজার বা মুখের প্যাক বা রাতের ক্রিম একটি ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
এছাড়াও মেকআপ রিমুভার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন এই ক্যাপস্যুল বা তেল । নারকেলের জলের সঙ্গে সমান পরিমাণে ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার বা চোখের মাস্কারা তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা আবলম্বন করতে হবে।
এলার্জি প্রবণ এবং ব্রণের সমস্যা আছে এই রকম ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত জরুরী। তাছাড়া ভিটামিন ই ব্যবহারের আগে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় আপনার ত্বকে প্রয়োগ করে দেখে নিতে হবে যে এটি সুট করছে কি না। যদি সুট না করে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার ত্বকের উপর ভিটামিন ই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ত্বক মত, ভিটামিন ই চুল জন্য ভীষণভাবে উপকারি
ভিটামিন ই তেল সামান্য গরম করে আপনার স্কাল্পে ও চুলে মালিশ করুন। এই তেল চুলকে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তোলার পাশাপাশি চুলের গোঁড়া মজবুদ করে তোলে।চুলের দু’মুখো সমস্যাকে দূর করতে ভিটামিন ই তেল সাহায্য করে। এছাড়া খুসকি, পাকা চুলের সমস্যা, দূর করতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি চুল পড়া রোধ করে।
তাই আর দেরি না করে ঔষধের দোকান থেকে কিছু ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিনে আনুন। ডেইলি রূপচর্চার রুটিনে ভিটামিন ই ক্যাপসুলকেও যোগ করুন। দামও খুব বেশি না। কেমন লাগলো আজকের পোস্টটি জানাবেন। আর এই পোস্ট সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই করবেন। আপনি যদি অন্য কোন ভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সেটিও সেয়ার করতে পারেন।
take care
Facebook এর সঙ্গে থাকুন।
Follow Tanni's board Beauty and Lifestyle of Tanni on Pinterest.