চুল নিয়ে চুল চেরা বিচার

  
নতুন চুল যেমন গজায় তেমনি পুরনো চুল পড়ে। এটি খুব স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে থাকে। দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক। যে হারে পরবে সেই হারে গজাবেও। কিন্তু চিন্তা হয় তখনই, যখন চুল পড়ছে কিন্তু গজাচ্ছে না। আমাদের প্রথমেই জানতে হবে যে চুল পড়ার চক্র টি ঠিক কি রকম ? চুল কি কি কারনে পরতে পারে ইত্যাদি। এর মধ্যে কোন একটি লক্ষণ যদি নিজের মধ্যে খুঁজে পাই তবেই চুল পড়া কমানোর চিকিৎসা করা যাবে ।


চুল পড়ার চক্র - একটা চুল গড়ে / বছর পর্যন্ত বাঁচে, এবং যখন এই চুল টি মরে যায় তখন সেই জায়গায় আবার নতুন চুল গজায় নির্দিষ্ট চক্রের মাধ্যমে। এই চক্রকে আবার তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়। () অ্যানাজেন, () ক্যাটাজেন () টেলোজেন। চুল বৃদ্ধির মূল কাজটি হয় অ্যানাজেন পর্যায়ে থেকে যা সাধারণত - বছর পর্যন্ত হতে থাকে চুলের ব্রিদ্দি .২৫ সেন্টিমিটার প্রতি মাসে অথবা ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত এক বছরে বাড়ে , কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে চুলের এই বৃদ্ধির হার কমতে থাকবে ( বার্ধক্যতার সময় অনেকের একেবারে না থাকতে পারে ) প্রতিটি চুল টেলোজেন পর্যায়ের পর পড়ে যায় এবং এই পড়ার হার হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টি প্রতিদিন। আমাদের মাথার শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ চুল অ্যানাজেন পর্যায়ে থাকে প্রায় ১০ থেকে ১৫% চুল টেলোজেন পর্যায়ে থাকে (ক্যাটাজন খুবই স্বল্পকালীন সময় সাধারণত সপ্তাহ) এবং এর পরেই শুরু হয় টেলাজেন পক্রিয়া যা / মাস পর্যন্ত হয় টেলোজেন পর্যায়ের পর একটি চুলের গোড়ায় নতুন চুলের আবির্ভাব ঘটে এবং পুরাতন চুলটি পড়ে যায়। এভাবে নতুন চুলটি অ্যানাজেন পর্যায়ে জন্ম নিয়ে জীবন চক্র শুরু করে। যদি সে সময় যে কোন কারনে টেলোজেন পর্যায় দীর্ঘতর হয় তা হলে চুল বেশি পড়বে ছাড়া চুলের ফসিকল শুকিয়ে গেলে নতুন চুল নাও গজাতে পারে তখন মাথায় টাকের সৃষ্টি হয় তখন চুল পড়ার জন্য চুলের গোড়ার বা ফলিকলে একটি এনজাইম তৈরি হয়, যার নাম ফাইভ আলফা রিডাকটেজ। এই এনজাইম রক্তে অতিবাহিত হরমোন টেস্টস্টেরনকে ডাই হাইপ্রোটেস্টস্টেরনে পরিণত করে। যার আরেক নাম ডিএইচটি ( DHT ) ডিএইচটি চুলের গোড়ায় আক্রমণ চালায় এবং চুল দুর্বল করে ঝরে পড়তে সাহায্য করে। পুরম্নষদের চুল সাধারণত সামনের দিকে পড়ে এবং টাকে পরিণত হয়। আর মহিলাদের পুরো মাথার চুলই এককভাবে পড়ে এবং পাতলা হয়ে যায়। মহিলাদের শরীরে অ্যারোমাটেজ নামে এক প্রকার এনজাইম তৈরি হয় যা ডিএইচটিকে ইস্ট্রোজেনে পরিণত করে সাধারনত পুরুষের বেলায় বেশির ভাগ সময় টাক দেখা যায় তবে মহিলাদের টাক হতে পারে যখন একজন মহিলার মেনপুজের সময় হয়ে যায় ( বয়স ৩৮/৪৮) তখন তখন ফিমেল হরমোনের পরিমাণ কমে যায় এবং মেল হরমোন বা টেস্টোস্টেরন/ এন্ড্রোজেনের আধিক্য বেড়ে যায় একই নিয়মে ছেলেদের মতো টাক পড়তে পারে তবে পুরুষের বেলায় একি নিয়মে টাক না পড়লে চুল একেবারে পাথলা হয়ে ঝরে যায়। তখন যদি একটু খেয়াল রাখেন তা হলে ডিএইচটিকে বাধা দেয় এমন ওষুধ ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করা যেতে পারেন শরীরের ডিএইচটি মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হলে চুল পড়া কমবে বা টাক জাতীয় অসুখ থেকে মুক্ত থাকা সম্বভ বর্তমানে ধরনের ওষুধ ব্যবহারে চুল পড়ার চিকিৎসা চলছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এসব ওষুধ ব্যবহার করলে আর বেশ কয়েক বছর টাক জাতীয় অসুখ কে এড়িয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ সম্বভ
এবার দেখে নেবো চুল কি কি কারনে পড়ে থাকে।


এখন পর্যন্ত চুল পড়ার মুল কারনের মধ্যে ৯৫ ভাগ চুল পড়ার কারণ জিনগত বা বংশ গত বলতে পারেন যাকেঅ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপিসিয়া বলা হয়


১। যদি অস্বাভাবিক চুল পড়ে তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই আপনার কোন শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। হয় তো আপনি বুঝে উঠতে পারছেন না যে কি হয়েছে। তখনই ডাক্তার দেখানো উচিৎ।

২। দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে চুল পড়তে পারেতবে চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় চুল গজায় কিন্তু দীর্ঘদিন মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে বা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল পড়ে যেতে পারে

আরও পড়ুন - নতুন চুল গজানোর ৫ টি টিপ্স

৩। শরীরে বড় কোনো সার্জারি বা অপারেশনের পর অনেক ক্ষেত্রেই চুল পড়ে যায় এটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অপারেশনের কারণে শারীরিক পরিবর্তন অথবা মানসিক উদ্বেগের জন্য হতে পারে সুস্থ হওয়ার পর চার থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে চুল আগের অবস্থায় ফিরে যায়


৪। কিছু অসুখে, যেমন অ্যানিমিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস , ভিন্ন ধরণের চর্ম রোগ, বা মাথার খুসকি ইত্যাদিতে চুল পড়ে যেতে পারে অনেক সময় অসুখ ভালো হওয়ার পরও চুল আর আগের অবস্থায় ফিরে যায় না


৫। হরমোনের কমবেশি হওয়ার কারণে চুল উঠে যেতে পারে যেমন থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কম বা বেশি হলে, গর্ভবতী অবস্থায় এবং বাচ্চার জন্মের পর হরমোনাল ভারসাম্য পরিবর্তিত হয় বলে তখন চুল বেশি পড়ে মহিলাদের হরমোনের পরিবর্তন আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেলে পুনরায় চুল গজায়  তবে তা আগের অবস্থায় যেতে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে

৬। কোনো কোনো ওষুধের পার্র্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়তে পারে, যেমন: জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি হঠাত করে সেবন ছেড়ে দেওয়া , প্রেসারের ওষুধ, রক্ত তরলীকরণের ওষুধ, হরমোন, মানসিক অসুস্থতার ওষুধ ইত্যাদি


৭। টিনিয়া ক্যাপাইটিস , এটি এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন, যা স্কাল বা মাথার খুলিতে হয়ে থাকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্য ওই অংশের চুল পড়ে যায় ক্ষেত্রে নাইজোরাল শ্যাম্পু (কিটোকোনাজল) চুলে ব্যবহার করতে হয় কখনো কখনো দিনে একটি করে এন্টিফাঙ্গাস ওষুধ আট থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত খেতে হতে পারে ইনফেকশন ভালো হয়ে গেলে চুল আবার গজায়। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।


৮। খুব বেশি পরিমাণ কালারিং এজেন্ট, ব্লিচিংসামগ্রী, চুল সোজা করা বা ক্রমাগত রিবল্ডিং করানো ঘন ঘন চুল পার্ম করার সামগ্রী ব্যবহার করলে চুল পড়ার হার বেড়ে ল। বিশেষ করে প্রোডাক্টগুলো যদি উন্নতমানের না হয় সে ক্ষেত্রে চুল বেশি করে পড়ে যায় অনেক ক্ষেত্রেই আবার চুল ওঠে, কিন্তু অনেক সময় হেয়ার ফলিকলের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গেলে চুল আবার নাও গজাতে পারে


৯। শারীরিক নিউট্রিশনাল স্ট্যাটাসের ওপর চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেলস ভিটামিন পরিমিত পরিমাণে না থাকলে চুল পড়ে যায় এছাড়া দীর্ঘদিন শরীরে কোনো একটি উপাদানের অভাবে চুল পড়তে পারে

এছাড়াও আও যে কারন গুলি কে দায়ি করা যেতে পারে তা হল, অতিরিক্ত নেশার করা, হঠাৎ করে জলের পরিবর্তন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ইত্যাদি। আবার অনেক সময় বেশি ডায়েট কন্ট্রোল করতে গিয়েও চুলের খাদ্যের অভাব ঘটে, তখন চুল ঝরতে শুরু করে।

চুল পড়া নিয়ে কিছু ভুল তথ্য

প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে যায়। আসলে শ্যাম্পু করলে মাথার চামড়া পরিষ্কার থাকে। তবে সব শ্যাম্পু প্রতিদিন ব্যবহার করা যায় না। প্রতিদিন ব্যবহারের কিছু শ্যাম্পু আছে, যা ব্যবহার করলে চুল পড়ে না।

দিনে বার বার চুল আঁচড়ালে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে বলে অনেকেই বলেন। চুল বেশি আঁচড়ালে টান লেগে বরং চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। দিনে পাঁচ-ছয়বার আঁচড়ানোই যথেষ্ট।

চুল বারবার কামালে ঘন চুল ওঠে বলে ছোটবেলায় আমরা অনেকেই মাথা ন্যাড়া করেছি। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বেশি বার কামালে হেয়ার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে বরং চুল কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

তেল দিলে চুল ঘন হয় বলে মনে করেন বেশির ভাগ মানুষ। বাস্তবে চুল ঘন হওয়ার সঙ্গে তেলের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে চুল তেল দিয়ে মসৃণ রাখলে জট লেগে চুল ছেঁড়ার আশঙ্কা কম থাকে।



গরম তেল মালিশ করলে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকে বলেও কারো কারো ধারণা। কিন্তু গরম তেল হেয়ার ফলিকলে ক্ষতি করতে পারে। অবশ্য সাধারণ তাপমাত্রার তেল দিয়ে মাসাজ করলে চুলের গোড়ার রক্তসঞ্চালন খানিকটা বাড়ে

চুল টাইট করে বেণী করে ঘুমালে চুলের বৃদ্ধি বেশি হয় বলে অনেকেই মনে করে কিন্তু বেশি টাইট করে না বাঁধাই ভালো এতে চুল উঠে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে



চুল পড়া প্রতিরোধ


প্রকৃতিগতভাবে চুল পড়াকে প্রতিরোধ করা সব সময় সম্ভব নয় তবে চুলের নিয়মিত যত্ন নিলে চুল পড়ার হার অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব করতে পারেন এই কাজগুলো

খেতে হবে সঠিক খাবার : চুল পড়া প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো সঠিক খাবার গ্রহণ আপনার শরীর যদি সঠিক পুষ্টি না পায় তাহলে চুলও হবে দুর্বল ভঙ্গুর, যার ফলে চুল যাবে ঝরে খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন আয়রন যুক্ত খাবার আয়রন মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং ভিটামিন রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে চুলের গোড়া মজবুত করে ভেজিটেবল প্রোটিনও চুলের জন্য দরকারি, কারণ এতে আছে ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুল পড়া রোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে তাই নিয়মিত মাছ এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খান ভিটামিন সি একই ভাবে কাজ করে এছাড়া খান ভিটামিন বি৬ জিংক সমৃদ্ধ খাবার দুটোর অভাবে চুল সহজেই খুশকি দ্বারা আক্রান্ত হয়, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ

চুলে তেল মাসাজ করুন : প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট চুলের মাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায় যার ফলে চুল পড়া রোধ এবং নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় অলিভ অয়েল অথবা এলমন্ড অয়েল দিয়ে চুলে মাসাজ করলে চুল পড়া রোধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুশকি দূর হবে এবং চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ঝলমলে হয়ে উঠবে

চুলের যত্নে ভেষজ : অ্যালোভেরার গুণের কথা কে না জানে! অ্যালোভেরার নির্যাস মাথার ত্বকে প্রয়োগ করুন এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে চুল পড়া রোধে মেহেদি সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত একটা ভেষজ এটি চুলকে করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল মজবুত মেথিও চুল পড়া রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এছাড়া মাঝে মাঝে চুলে ডিম, ভিটামিন ক্যাপসুল মাখলেও উপকার পাওয়া যায়

নিয়মিত চুল পরিষ্কার : চুল সুস্থ মজবুত রাখতে চাইলে নিয়মিত চুল পরিষ্কার খুবই জরুরি তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার করুন সপ্তাহে অন্তত দিন চুলে শ্যাম্পু করুন তবে অবশ্যই চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু করবেন নতুবা এই ভুল শ্যাম্পুর ব্যবহারই আপনার চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এমনকি নিজেও ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন হার্বাল শ্যাম্পু।

চুল আঁচড়ান প্রতিদিন : দিনে অন্তত - বার চুল আঁচড়ান বিশেষ করে রাতে ঘুমুতে যাবার আগে চুল আঁচড়ান এতে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে চুলের গোড়া মজবুত হয় চুল জোরে না আঁচড়িয়ে বরং আস্তে আঁচড়ান ভেজা চুল বেশি আঁচড়াবেন না চুল নরম থাকতে ঠিক করে ফেলুন চুল আঁচড়াতে ব্রাশের পরিবর্তে দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করা বেশি ভালো চুল কখনোই টেনে, শক্ত করে বাঁধবেন না এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে


চুলের যত্নে জল খান : অস্বাস্থ্যকর খাবার দূষণ শরীরের ভেতর যে টক্সিন তৈরি করে তা চুল ত্বক উভয়েই জন্যেই ক্ষতি বয়ে আনে জল শরীরের ভেতরটা ধুয়ে-মুছে এসব ক্ষতিকর জিনিস শরীর থেকে বর্জ্য আকারে বের করে দেয় যা চুলের জন্য খুবই উপকারী প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। যাতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, চুলকেও সতেজ মজবুত রাখে  প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খান।
  take care
Follow Me on Pinterest
                                             Facebook এর সঙ্গে থাকুন।