চুল নিয়ে কারো ভাবনা নেই, এমন কথা আজকাল শোনাই যায় না। চুল পরার সমস্যা কম বেশি সবার। প্রথমে জানতে হবে কেন চুল পড়ছে? সমস্যা জানলে সমাধান সহজ হয়ে যায়।মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, নানা রকম অসুখ কিংবা জন্মগত কারণে আমাদের চুল ঝরে। চুল ঠিকমতো পরিষ্কার না রাখা এবং ছত্রাকের সংক্রমণের ফলেও চুল পড়তে পারে।ভিটামিনের অভাব, রক্তস্বল্পতা, চুলের সঠিক যত্ন না হওয়া আর নানা রকম কেমিক্যালের ব্যবহারেও চুল ঝরে। তবে প্রতিদিন ১০০টি চুল ঝরে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি চুল পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রাথনিক ভাবে আমরা চুল ভাল রাখার কিছু যত্ন নিতে পারি,
যেমন -
টিপ ১ - চুলে তেল দেওয়ার চলটা এখন প্রায় উঠেই গেছে। কিন্তু তেল দিয়ে দিনে ২-৩ বার চুল আঁচড়ালে আপনার চুল, মসৃণ চকচকে এবং সুস্থ থাকবে।
টিপ ২ - অন্যদের সঙ্গে আপনার towels এবং কম্বস শেয়ার করবেন না। সপ্তাহে অন্তত দু’বার বালিশের ডাকা পাল্টে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পর তো অবশ্যই, পাশাপাশি চিরুনিও পরিস্কার রাখুন।
টিপ ৩ - আপনি চুল ধোয়া জন্য যে জল ব্যবহার করবেন তা যেনো কখনই খুব ঠাণ্ডা বা খুব গরম না হয়। খুব ঠান্ডা বা খুব গরম জল চুলকে নির্জীব ও শুষ্ক করে তোলে।
টিপ 4 – প্রাকৃতিক বা ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে শ্যাম্পু নির্বাচনের আগে আপনার চুলের ধরন জেনে নিন।
এছাড়াও আরও কিছু জিনিসের প্রতি নজর দিতে হবে। যেমন
· ভেজা চুল আঁচড়ানো ঠিক নয়
· অন্যের চিরুনি ব্যবহার করবেন না
· নিয়মিত পুষ্টির খাবার খেতে হবে, খাদ্য তালিকায় ফল, শাকসবজি, ডিম ও দুধ রাখুন
- ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং করার সময়ও লক্ষ রাখুন চুল বেশি পড়ছে কিনা
- আর চুল খুশকিমুক্ত রাখতে ও চুল ঝরা কমাতে, সপ্তাহে অন্তত একবার চুলে মেহেদি, পেয়াজের রস, লেবুর রস, ডিম এবং টক দই এর প্যাক লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন।
সবশেষে, এক বালতি জলে লেবুর রস ছিটিয়ে দিয়ে আপনি আপনার বাকি কাজ সেরে ফেলুন। স্নানের সময় চুল ধোয়ার জন্য সেই জলটাই ব্যবহার করুন। ব্যাস আবার কি! নিজেই তফাত দেখুন।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।