সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরকেই শর্টে এসপিএফ বলে। বিভিন্ন এসপিএফ রেঞ্জে সানস্ক্রিন লোশন বাজারে পাওয়া যায়। এসপিএফ ১৫ থেকে এসপিএফ ৭০ পর্যন্ত সানস্ক্রিন বাজারে পাওয়া যায়। এসপিএফ সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রে থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। যত বেশি এসপিএফ ভ্যালু হবে, ইউভি রে থেকে আমাদের ত্বককে তত বেশি রক্ষা করে। যেমন এসপিএফ ১৫, ৩০ ও ৪৫ আমাদের ত্বকে ইউভি রে থেকে যথাক্রমে ৯৪%, ৯৫% ও ৯৮% রক্ষা করে।
এসপিএফ ১৫, ২০, নাকি ৩০? কোনটা আমার স্কিনের জন্য ভাল?
বিভিন্ন রকম স্কিনের উপরই শুধু নির্ভর করে না যে আমি কত এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করব। বরং সূর্যের আলোয় বা রোদে কতক্ষণ থাকব, তার উপরেও নির্ভর করে আমার সানস্ক্রিন লোশনের এসপিএফ কত হবে। যেমন সানস্ক্রিন ছাড়া দশ মিনিট পর্যন্ত রোদে থাকা যায়। কিন্তু দশ মিনিটের বেশি কড়া রোদে থাকলে সানবার্ন শুরু হয়ে যায়। আধঘণ্টা মতো যদি রোদে থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে এসপিএফ ১৫ সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে পারি। এক ঘণ্টা মতো রোদে থাকতে হলে এসপিএফের মাত্রা হবে ৩০। এরকমভাবে সানস্ক্রিন লোশনের এসপিএফ কত হলে তা আমার জন্য উপযুক্ত সেটা বুঝব।
এবার ত্বকের ধরনে আসি। ত্বকের ধরনের উপরেও এসপিএফের মাত্রা নির্ভর করে। কারণ এসপিএফ যত বেশি হবে, ক্রিমের থিকনেসও তত বেশি হবে। আর ক্রিমের থিকনেস বেশি হলে ঘামও বেশি হবে। তাই তৈলাক্ত ত্বকে কম এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই উচিত। তৈলাক্ত ত্বকে সানস্ক্রিন জেলও ব্যবহার করতে পারি। আর স্কিন ড্রাই হলে ময়শ্চারাইজ়ারযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করব।
কখন ব্যবহার করবো ?
বারো মাস ব্যবহার করুন। যখনই রোদে বের হবেন তখনই আপনি আপনার স্কিন বুঝে এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন বাছাই করে ব্যবহার করুন। এমন কি রান্না করার সময় এবং বাগানে ফুল গাছের যত্ন নেবার সময় এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।
টিপসগুলি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন!