টোনার আইস কিউব


সাধারণত টোনিং ত্বকের বলিরেখা ও ঝুলে পড়া ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া টোনার ত্বকের PH ঠিক রাখে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল, মরা কোষ, ময়লা, মেক-আপ দূর করে ত্বকের সজীবতা বজায় রাখে টোনিং। মুখের ক্লান্তিকর ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ রোধ করে। আমি সাধারণত টোনার বাড়িতে বানিয়েই ব্যবহার করি। আজকের যে পোস্টটি সেয়ার করছি তা হল টোনার আইস কিউব। ঘরে টোনার বানানোর জন্য আমি, শসার রস, লেবুর রস, টমাটো, গোলাপ জল, তরমুজ ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। টোনার তরল হিসাবে ব্যবহার না করে কেন আইস কিউব আকারে ব্যবহার করি , তার কারণও আছে। গরমে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ রাখা খুবই জরুরি। আইস কিউব টোনার লোমকূপ সংকোচিত করার পাশাপাশি ত্বক ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করে।



এছাড়াও বরফ ত্বকের রক্ত চলাচল পরিমান বাড়িয়ে ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ব্রণের সমস্যা ও বলিরেখা দূর করতে আইস কিউব সাহায্য করে।আইস কিউব টোনার ত্বকের নিজেস্ব যে তেল রয়েছে তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাছারাও ত্বকের বিশেষ করে চোখের নীচের ফোলা ভাব এই আইস কিউব টোনারের মাধ্যমে দূর করা যায়।
এই গরমের প্রকোপ ও সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে এই ধরনের আইস কিউব টোনার বেশ ভালো কাজ করে। এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ন আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। আমি প্রায় সারা বছরই এই ধরনের আইস কিউব ব্যবহার করি। অনেক সময় ব্রণ হলে এর চারপাশে যে লালচে ভাব থাকে তা দূর করতে এক টুকরো আইস কিউব ঘষে নিলেই হয়। তবে এই ক্ষেত্রে দেখতে হবে কি দিয়ে আইস কিউবটি তৈরি। যেমন টমাটোর রস দিয়ে তৈরি আইস কিউব ব্রণের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। আবার শসার রস, বা Aloe-Vera দিয়ে তৈরি আইস কিউব রোদে পোড়া দাগ বা ব্রণের দাগের উপরে ভালো কাজ করে।


আরেকটা কথা সাধারণত বিভিন্ন বিউটি টিপসের পাতাতে দেখি যে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে মেকআপ করার কিছুটা সময় আগে মুখে আইস কিউব মাসাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সত্যিই এই পদ্ধতি মেকআপ অনেকক্ষণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে আমি বেশ কিছুদিন আগে এর মধ্যে সামান্য পরিবর্তন এনেছি। মেকআপের আগে আমি এখন শুরু বরফ না ব্যবহার করে এই টোনার আইস কিউব ব্যবহার করি। কম্বিনেশন টা হল – শসা ও আলু রসের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে আইস কিউব তৈরি করি। এই কম্বিনেশন মেকআপ ধরে রাখতে তো সাহায্য করেও পাশাপাশি ত্বককে যেন আরও বেশি উজ্জ্বল করে (আমার মনে হয়)।



কিভাবে লাগাবেন

ত্বকে টোনার আইস কিউব ঘষার আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বক যেন পরিষ্কার হয়। এই টোনার আইস কিউব ত্বকে সরাসরি ২-৩ মিনিট সময় নিয়ে ত্বকে আলতো করে ঘষে নিতে হবে। তবে যদি আপনার আ্যাজমার সমস্যা থেকে থাকে বা ঠান্ডাতে এলার্জি থেকে থাকে অবশ্যই এই পদ্ধতি পরিহার করবেন। সেক্ষেত্রে টোনার, তরল হিসাবেই ব্যবহার করুন।

এই গ্রীষ্মে টোনার আইস কিউব বানিয়ে দেখুন, ব্যবহারের পরে কতোটা ফ্রেশ লাগে। কেমন লাগলো আমার টোনার আইস কিউব আইডিয়া অবশ্যই জানাবেন। ভালো লাগলে লাইক সেয়ার করতে ভুলবেন না।

 www.nykaa.com


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্য