শীত যাবো যাবো। গ্রীষ্ম দোড়গোড়ায়। এই সিজন চেঞ্জের সময় আমাদের ত্বকে অনেক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। যার এফেক্ট পরবর্তী সিজন জুড়ে থাকে। তাই জরুরি সিজন চেঞ্জের সময় নিজের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া। নিমপাতা হল এমন একটি আয়ুর্বেদিক ঔষুধ যা গ্রীষ্ম থেকে শীত সব ঋতুতেই ত্বকের পরিচর্চায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ব্ল্যাকহেডস থেকে ইনফেকশন সব উপসর্গে নিমের থেকে ভালো সমাধান আর নেই।
>> ত্বকের ডার্ক পিগমেন্টশন সারাতে নিমপাতা সাহায্য করে। ২০ টি নিমপাতা জলে ফুটিয়ে নিন। জলের কালার চেঞ্জ হয়ে সবুজ হয়ে গেলে জল নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। এবার রাতে শোবার আগে নিমের জল তুলো দিয়ে রোজ মুখে লাগান। এটি ত্বকের ডার্ক পিগমেন্টশন সারিয়ে তোলে। পাশাপাশি ত্বকের টোনার হিসেবে কাজ করে।
>> যেকোনও ধরেনর ত্বকের ইনফেকশন সারাতে নিমপাতা খুব উপকারী। নিমপাতা ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের যাবতীয় ইনফেকশন দূর করা সম্ভব।
>> নিম তেল ব্যাকহেডস সারাতে সাহায্য করে।
>> ফেসপ্যাক হিসেবে ১০টি নিমপাতা ও একটি ছোট কমলার খোসা ছাড়িয়ে অল্প পরিমাণ জলে সিদ্ধ করতে হবে। উপকরণগুলো মসৃণ করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অল্প পরিমাণ মধু ও দুধ পেস্টে মেশাতে হবে। ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করা যাবে। এটি ত্বকের ব্রণ, কালো দাগ, চেহারায় ক্ষতের গর্ত দূর করবে।
>> ত্বক পরিষ্কার করতে নিমপাতা খুব কাজে লাগে। নিমপাতার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের নোংরা দূর হয়। আর ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
>> অয়েলি স্কীনের ক্ষেত্রে নিম খুব উপকারী। নিম ত্বকের অতিরিক্ত তেল টেনে নেয়। লেবুর রস, নিমপাতা ও দই ভালো করে মিক্সড করে নিন। এই প্যাকটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়।
>> নিমপাতা বাটার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকের লাগাতে পারেন। এটি উন্নতমানের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে
এই গরমে তাহলে নিমপাতা আপনার রূপচর্চায় সামিল হচ্ছে ?
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক ও সেয়ার করুন।