চুল উঠে এত পাতলা হয়ে যাচ্ছে যে, সারা মাথা ঢেকে রাখাই এখন একটা বড় কাজ। কিছুতেই টাক ডেকে রাখা যাচ্ছে না। দু’টো ক্লিপ ঠিকঠাক না লাগালে, ক্লিপের পাশ দিয়ে মাথা চকচক করে। এখন এটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কি হেয়ার স্টাইল করলে এই চকচক মাথার একটু অংশও দেখা যাবে না। বা কি ধরণের হেয়ার স্টাইল এই পাতলা চুলে মানাবে? কোথাও যাওয়া মানে কি একটা ক্যাচার দিয়ে চুল আটকানো বা একটা গাডার ছাড়া কি উপায় নেই! সব সমস্যারই একটা সমাধানও আছে। আর আজকের পোস্ট সেই সমস্যার সমাধান অবশ্যই করবে।
পাতলা চুলের যত্ন কীভাবে করবেন ?
সপ্তাহে দু’দিন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। চুল খুব পাতলা হলে কন্ডিশনার দেওয়ার দরকার নেই। কারণ আমাদের স্ক্যাল্প থেকে এমনিতেই তেল বের হয়, সেটাই চুলকে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। কন্ডিশনার দিয়ে আলাদা করে ময়শ্চারাইজ করার দরকার নেই, এতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল আরও বেশি পড়ে যেতে পারে।
চুলে হিট এক্কেবারেই ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহে একদিন ক্যাস্টর তেল ও নারকেল তেল গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। সেদিনই শ্যাম্পু করে নিন। চুল শ্যাম্পু বা অয়েলিং করার সময়, সবসময় মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে নেব। এতে মাথায় রক্ত সঞ্চালন হয় যা চুলের গ্রোথের জন্য ভাল। তেলে কেশুত পাতা বা জবা ফুলের রস মিশিয়ে মাথায় লাগান। অথবা দুটি একসঙ্গেও ব্যবহার করতে পারেন। এটা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। এতো গেলো চুলের যত্ন কিভাবে নেবেন। কিন্তু যত্নের পাশাপাশি সঠিক খাওয়াদাওয়ার প্রতিও যত্ন নিতে হবে। ডিম, দুধ, শাক, গাজর, বাদাম আর কলা এগুলোর মধ্যে কিছু-একটা রোজ অন্তত একবার খেতেই হবে। চুলের যত্ন শুধু বাইরে থেকে নয় শরীরের ভেতর থেকেও নিতে হবে।
হেয়ারস্টাইল
চুলের জট ছাড়ানোর জন্য মোটা দানার চিরুনি ব্যবহার করতে হবে এবং সঙ্গে রাখতে হবে সরু দানার চুরুনি। সে কোন হেয়ার স্টাইল করার আগে প্রথনেই মোটা দানার চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিতে হবে। এর পরে সরু দানার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে। সরু দানার চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে মাথার টাক বা ফাঁকা অংশ বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা কম থাকে। চুল বেঁধে নেওয়ার পরেও যদি ফাঁকা ফাঁকা দেখা যায় তাহলে একবার সরু দানার চিরুনি দিয়ে উপরে উপরে হালকা হাতে চুরুনি বুলিয়ে নিতে হবে। অস্বাভাবিক কিছু করার দরকার নেই, করলে আরও বেশি করে টাকটা লোকের চোখে পড়বে।
হেয়ারস্টাইল ১
- প্রথমে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। এবং পেছনের চুলগুলোকে সরু দাঁতের চিরুনি দিয়ে উল্টো আঁচড়ে খানিকটা ফুলিয়ে নিন।
- এবার একটি ইলাস্টিক হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করুন। এক রঙের ইলাস্টিক হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন বা ডিজাইন করা ব্যবহার করতে পারেন।
- মাথার চুলে হেয়ার ব্যান্ড আটকে নিন।
- এবার পেছনে ঝুলতে থাকা বড় চুলগুলো সুন্দর করে ব্যান্ডের ভেতরে গুঁজে দিন।
- সামনের দুপাশের চুল একটু পেঁচিয়ে হেয়ার ব্যান্ডে গুঁজে নিন।
হেয়ারস্টাইল ২
পুরো চুল মাথার উপর ঠিক মাঝখানে নিয়ে এসে একটা বান করে কিছু চুল বের করে রাখা যেতে পারে।আবার চুল বাঁধার পর, যেখানে বাঁধব সেই জায়গা থেকে হাত দিয়ে ঠেলে-ঠেলে চুল একটু আলগা করে দিতে পারেন।
হেয়ারস্টাইল ৩
পাতলা চুল একটু ফুলিয়ে বাঁধলে ভালো দেখায়। বেণি করলেও লুজ বেণি করা যেতে পারে বা বেণি করে নেওয়ার পরে বেনির চুলে একটু টেনে টেনে বের করে নিতে হবে, যাতে চুল পাতলা, সেটা বোঝা না যায়। এতে করে বেনির ভলিউম বেশি দেখায়।
আরও কিছু সিম্পল হেয়ারস্টাইল -
হেয়ারস্টাইল ছাড়াও এই ধরনের চুলে বিভিন্ন রকমের হেয়ার কাটও দেওয়া যেতে পারে। এই ধরনের হেয়ার কাট অনেক স্টাইলিশও যেমন হয় তেমনি চুলের ভলিউম বেশি দেখাতেও সাহায্য করে। হেয়ার কাট নিয়ে অন্য আরেক দিন না হয় টিপস সেয়ার করবো। তার আগে আমাকে জানাতে ভুলবেন না, কেমন লাগলো আজকের পোস্ট। কোন সাজেশন থাকলে সেয়ার করুন আমার সঙ্গে।
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক ও সেয়ার করুন !