তৈলাক্ত চুল নিয়ে অনেকেই বিরক্তি, বিশেষ করে গমরকালে। এই সময় চুলে গোঁড়া খুব ঘাম হয়, এছাড়া স্কাল্পে তেল জমে চুলের গোঁড়া নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই যেমন, চুলের গোঁড়া নরম করে দিয়ে চুল পরা বেড়ে যায়। ছোট ছোট দানার মতো ফুসকুড়ি উঠে। অনেকের ফোঁড়াও হয়। এই সব কিছুই চুল পরার কারন। এছাড়াও এই ধরনের চুলের ত্বকে ধুলোবালি বা ময়লা সহজে জমে যায়। আর তাতে খুশকির প্রবণতা বাড়ে। তাই চুলের ত্বক থেকে তেল দূর করতে নিয়মিত কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
পাতিলেবু
চুলের বারতি তেল দূর করতে পাতিলেবুর জুড়ি নেই। একটা গোটা পাতিলেবুর রস নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের মতো। শ্যাম্পু না করলেও চলবে। স্বাভাবিক জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। আবার এই একই প্রক্রিয়া শ্যাম্পু করার পরেও করতে পারেন। প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর চুল ভালো করে মুছে এই সলিউশন ভালো করে চুলের গোড়ায় লাগান। পাঁচ মিনিট রাখার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন টি
ঠিক পাতিলেবুর রসের মতো গ্রিন টিও ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি গ্রিন টি ব্যাগ বা খোলা গ্রিন টি থাকলে এক চামচ নিয়ে ফুটন্ত জলে দিয়ে ২০ মিনিটের মতো ডেকে রাখুন। (গ্রিন টি জলে দিয়ে ফুটানোর প্রয়োজন নেই)। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পাতিলেবুর মতোই ব্যবহার করুন।
গ্রিন টি এবং পাতিলেবুর রস এক সঙ্গেও মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভিনিগার
ভিনিগারও তৈলাক্ত চুলের জন্য খুব ভালো। এক চামচ ভিনিগারের সঙ্গে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের মতো এক পরে শ্যাম্পু করে নিন। অনেকেই ভিনিগার হিসাবে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করে থাকেন। তবে এটি মার্কেটে খুব সহজ লভ্য নয়। তাই ঘরে যে ভিনিগার খারারের জন্য রাখা থাকে সেটিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই প্রক্রিয়া সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে প্রতিবারই যে শ্যাম্পু করতে হবে, তার কোন মানে নেই। শ্যাম্পু সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন। তবে ট্রাই করবেন হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে। চুলে তৈলাক্তভাব থাকলে ক্রিম বেস শ্যাম্প্য এড়িয়ে চলাই ভালো । শ্যাম্পু করার পর চুল ঝরঝরে করতে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তৈলাক্তভাব থাকলে মাসে ২ থেকে ৩ বার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন তাও আবার চুলের আগা দিকে। এরপর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন।