মুলতানি মাটি বা ফুলার্স এ রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড যা বিশেষ করে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। মুলতানি মাটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মুখের বিভিন্ন রকমের প্যাকগুলিতে। তাছাড়া মুলতানি মাটি ত্বকের জন্য ভালো ক্লেনজারের ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ময়েশ্চরাইজারের কাজও করে।ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মুলতানি মাটির জুড়ি নেই। উজ্জ্বল ত্বক পেতে এই মাটির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগানো যায়। আমাদের দেশে প্রায় সব প্রসাধনীর দোকানে এই মাটি কিনতে পাওয়া যায়।
মুলতানি মাটি কিভাবে কাজে আসে -
- > মুলতানি মাটি মৃত স্কিনস দূর করতে সাহায্য করে।
- > মুলতানি মাটি দিয়ে তৈরি কৃত্রিম মাস্ক চামড়া উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
- > ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে করে তোলে মসৃণ।
- > একটি সিরাম আকারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- > তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে গোপাল জলের সঙ্গে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- > ত্বকের রক্তসংবহন করার জন্য এই কৃত্রিম মাটির ব্যবহার হয়ে থাকে।
- > ত্বকের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব দূর করার জন্য বাদাম পেস্ট এবং দুধ সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- > গ্রীষ্ম ঋতুতে এর ব্যবহার ত্বককে শীতল করে তোলে। গ্রীষ্মকালে ত্বকে লাল ফুসকুড়ি দেখা দিলে এই মাটির প্রলেপ ব্যবহার করলে লাল লাল ফুসকুড়ি আশ্চর্য রকম ভাবে কমে যায়।
- > মুলতানি মাটি খুঁত চিহ্ন কমিয়ে দেয়।
- > ত্বকের ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে এই মাটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি স্ক্রাবের কাজ দেবে।
মুলতানি মাটি কিভাবে ব্যবহার করবেন -
এই মাটি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়। মুলতানি মাটি প্যাক বা মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করে গেলে আরও সব অনান্য উপকরণ মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়। বিশেষ করে রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে শুধু গোলাপজল দিয়েও ব্যবহার করা যায়।
ব্রণর জন্য মুলতানি মাটির সঙ্গে টোম্যাটোর রস, হলুদ এবং চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে হবে। দশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক সপ্তাহে দু’দিন লাগালে ব্রণ কমে যাবে।
অনেক সময় ব্রণ শুকিয়ে গেলেও, ব্রণর কালো দাগ মুখকে বিশ্রী করে তোলে। সেখানেও মুশকিল আসান মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটির সঙ্গে নিমপাতা বাটা, লবঙ্গ, এক চিমটে কর্পূর এবং গোলাপজল মিশিয়ে প্রলেপ তৈরি করে লাগাতে হবে।
বডিওয়াশ হিসেবে আজকাল স্পাতেও এ মাটি ব্যবহার করা হয়। যদি আপনাকে ঘরে ব্যবহার করতে হয়, তাহলে স্নানের আগে পুরো গায়ে এ মাটি নিয়ে হালকাভাবে মালিশ করে নিন। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মিশিয়ে নিলে আরও ভালো কাজে দেবে। এছাড়াও এক কাপ ওটমিল ও তার সঙ্গে নিমপাতা বাটা, হলুদ, চন্দনের গুঁড়ো, ছানা পাউডার (এক চা-চামচ), দুধ ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সারা গায়ে মাখতে হবে স্নানের আগে। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। ব্যস,পেয়ে যাবেন ঝকঝকে ত্বক।
স্নানের আগে চুলেও দিব্যি মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে শুষ্ক চুলে আর্দ্রতা আসবে। চুলে স্বাভাবিক কন্ডিশনার ও ময়শ্চারাইজ়ার হিসেবে কাজ করে মুলতানি মাটি। চুলের ডগা যদি বেশি মাত্রায় ফাটে বা চুল পড়ার সমস্যা থাকে, তবে আগের দিন রাতে হট অয়েল মাসাজ করে পরদিন মুলতানি মাটির সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। প্যাক শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন এবং পরের দিন শ্যাম্পু করে নিন।
স্ক্রাবার হিসাবে মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে হলে এতে পেঁপে বা আপেল পেস্ট করে মিশিয়ে নিন। তারপর হালকা হাতে স্ক্রাব করুন। ২০ মিনিট হালকা মালিশের পর ধুয়ে নিন।
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক করুন, শেয়ার করুন।
take care
Facebook এর সঙ্গে থাকুন।